এর মধ্য দিয়ে এই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে যে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপদেশটি চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়েই থাকবে।
Published : 02 May 2024, 10:05 PM
সলোমন দ্বীপপুঞ্জের আইনপ্রণেতারা চীনপন্থি জেরেমায়া মানেলেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন। এর মধ্য দিয়ে এই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে যে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপদেশটি চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়েই থাকবে।
বৃহস্পতিবার প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যাথিউ ওয়ালেকে ৩১-১৮ ভোটে পরাজিত করে প্রধানমন্ত্রী পদে জয়ী হন জেরেমায়া মানেলে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মানসেহ সোগাভারের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ছিলেন পশ্চিমাদের কট্টর সমালোচক।
পশ্চিমাদের কট্টর সমালোচক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মানাশেহ সোগাভারের স্থলাভিষিক্ত হবেন মানেলে।
২০১৯ সালে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ যখন তাইওয়ানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক থেকে চীনের দিকে ঝুঁকেছিল, তখন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মানেলে। সলোমনের ওই পদক্ষেপ আঞ্চলিক প্রতিবেশী দেশগুলোকে হতভম্ব করেছিল।
মানেলে ইতোমধ্যেই দ্বীপের গোপন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বিবিসি জানায়, বিরোধী প্রার্থীরা চুক্তিটি রদ করার কথা বলে এসেছেন। নাহলেও অন্তত চুক্তির বিস্তারিত বিবরণ জনগণের কাছে প্রকাশের পক্ষে তারা।
কিন্তু বিশ্লেষকরা এও আশা করছেন যে, মানেলে তার পূর্বসূরির চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার মতো সলোমনের ঐতিহ্যবাহী পশ্চিমা অংশীদারদের প্রতি কম সংঘাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নেবেন।
সলোমনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর মানেলেকে প্রথম যারা অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। নতুন নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে উন্মুখ বলে জানিয়েছেন তিনি।
শত শত দ্বীপ নিয়ে গঠিত গরিব দেশ সলোমন দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ৭ লাখ মানুষের বাস। রাজধানী হোনিয়ারার বাইরে বাস করে ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ। তারা বিদ্যুৎ, স্কুল, চিকিৎসা এবং গণপরিবহনের মতো মৌলিক পরিষেবা সহজে পায় না।