কোভিডের কঠোর সব বিবিধিনিষেধের কারণে তিন বছর বাদবাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল চীনের মানুষ। এখন বিধিনিষেধগুলো উঠে যাওয়ায় এবং আগামী মাসে সীমান্ত খোলার আগে দিয়ে চীনারা ঝুঁকছে ভ্রমণে।
মঙ্গলবার চীনারা দলে দলে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণে বেরিয়েছে। যদিও কোভিড মহামারীর ভয়াল থাবা এখনও চীনকে গ্রাস করে রেখেছে। বাড়ছে সংক্রমণ। অর্থনীতি হয়ে পড়ছে নাজুক।
কিন্তু তার মধ্যেই বিক্ষোভের মুখে দীর্ঘদিনের ‘শূন্য কোভিড’ নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে চীন। দেশটিতে প্রবেশকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন বিধি ৮ জানুয়ারি থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। তার আগে এখন থেকেই বিদেশ ভ্রমণের জন্য টিকেট বুকিং শুরু করে দিয়েছে চীনারা।
সোমবার সীমান্ত পুনরায় খোলার ঘোষণা আসার আধঘণ্টার মধ্যে চীনা গণমাধ্যমে ভ্রমণ সাইট ট্রিপডটকম- এর তথ্যে দেখা গেছে, ভ্রমণের জনপ্রিয় স্থানগুলোর খোঁজ বছরের হিসাবে ১০ গুন বেড়ে গেছে।
ভ্রমণের জন্য তাদের সবচেয়ে পছন্দনীয় স্থানগুলো হচ্ছে- ম্যাকাউ, হংকং, জাপান, থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়া।
কেবল ভ্রমণ সাইটই নয়, চীনা ভ্রমণ সংস্থা কুনারের ওয়েবসাইটেও দেখা গেছে, চীনাদের ফ্লাইটের তথ্য চাওয়া আগের তুলনায় ৭ গুন বেড়ে গেছে। তাও আবার সীমান্ত খোলার ঘোষণা আসার প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই। চায়না ডেইলি এ খবর দিয়েছে।
তবে চীনারা যে এখনও অবাধে সব দেশে প্রবেশকরতে পারবে তা নয়। চীনে কোভিড পরিস্থিতির অবনতির মধ্যে কিছু দেশ চীনাদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
উদাহরণস্বরূপ, জাপান এবং ভারত তাদের দেশে চীনাদের প্রবেশের শর্ত হিসাবে কোভিড নেগেটিভ সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করেছে।