বিদ্যুৎ ও জ্বলানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় গাজার প্রধান আল-শিফা হাসপাতালের কার্যক্রম পুরোপুরি অচল হয়ে আছে।
Published : 12 Nov 2023, 11:48 PM
গাজার সর্ববৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফায় জ্বালানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় দায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকেই দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
রোববার তিনি বলেন, আল শিফায় জ্বালানি সরবরাহের জন্য ইসরায়েলের দেওয়া প্রস্তাব হামাস ফিরিয়ে দিয়েছে।
জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতালের নিও-নেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) ৩৯ থেকে ৪৫টি শিশুর চিকিৎসা চলছিল। হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই শিশুদের প্রাণপ্রদীপ নিভু নিভু।
এনবিসি নিউজলেটার থেকে নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, গাজার প্রধান হাসপাতাল ভবনের নিচে হামাসের কমান্ড সেন্টার থাকার অভিযোগ তুলে ইসরায়েল সেখানে অবস্থান নিয়ে হাসপাতালের অসুস্থ মানুষ এবং শিশুদের জীবনকে যেভাবে বিপর্যস্ত করছে তা ঠিক কিনা।
জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা আসলে এর বিপরীতে গতরাতে হাসপাতাল চালানোর জন্য, ইনকিউবেটর চালু রাখা এবং অন্যান্য কাজ চালাতে যথেষ্ট জ্বালানি সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কারণ, রোগী কিংবা সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমাদের কোনও যুদ্ধ আদৌ নেই।”
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীও রোববার আল-শিফা হাসপাতাল থেকে শিশুদের সরিয়ে নিতে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানায়। কিন্তু ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, হাসপাতালের ভেতরে ফিলিস্তিনিরা এখনও আটকা পড়ে আছে। তিনটি নবজাতক মারা গেছে। আরও কয়েক ডজন শিশু বিদ্যুৎ না থাকার কারণে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। হাসপাতালের কাছে লড়াই তীব্র হচ্ছে।
গাজার হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জ্বালানি দেওয়ার পরিকল্পনা ইসরায়েলের আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা মাত্রই শিফা হাসপাতালে জ্বালানি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু তারা সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে।
“হামাস যোদ্ধারা হাসপাতালগুলোতে লুকিয়ে আছে। তারা সেখানে অবস্থান নিয়েছে। তারা হাসপাতালের জন্য জ্বালানি চায় না…তারা জ্বালানি পেতে চায় যে জ্বালানি তারা হাসপাতাল থেকে তাদের সুড়ঙ্গে নিয়ে যেতে পারবে… যুদ্ধের সাজ-সরঞ্জামে নিতে পারবে।”
তবে হামাস গাজার শিফা কিংবা অন্য হাসপাতালগুলোর নিচে তাদের কোনও কমান্ড সেন্টার থাকা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হাসপাতালে জ্বালানি সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া নিয়ে নেতানিয়াহু যে কথা বলেছেন, সে ব্যাপারেও গোষ্ঠীটি তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি।