ইউক্রেইনের রাশিয়ার ভূখণ্ডে আক্রমণের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বিবিসি জানায়, জার্মানি সফরে গিয়ে নিজেদের জন্য নতুন করে বৃহৎ আকারের প্রতিরক্ষা সহায়তা প্যাকেজ নিশ্চিত করেছেন এই নেতা।
বার্লিনে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে বৈঠক শেষে জেলেনস্কি বলেন, ‘‘আমরা রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানতে যাচ্ছি না। বরং আমরা অবৈধভাবে দখল করা অঞ্চলগুলো তাদের দখলমুক্ত করতে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
শলৎস ইউক্রেইনকে ‘যতদিন প্রয়োজন’ সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একইসঙ্গে ২৭০ কোটি ইউরো মূল্যের সমরাস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
যার মধ্যে জার্মানির তৈরি অত্যাধুনিক লেপার্ড ট্যাঙ্ক এবং রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা থেকে সুরক্ষা পেতে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেমও রয়েছে।
জার্মানির প্রতিশ্রুত অস্ত্রের নতুন এই বহরটিকে ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ‘সর্ববৃহৎ সামরিক সহায়তা’ বলে বর্ণনা করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
এদিকে, রাশিয়া ক্রমাগত ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে রুশ ভূখণ্ডের ভেতরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার অভিযোগ করে আসছে। মস্কোয় রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কার্যালয় ক্রেমলিনে হামলার অভিযোগও করেছে তারা।
কিইভ অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে দৃঢ়তার সঙ্গে তারা এটাও বলেছে, বর্তমানে তাদের সেসব অঞ্চল রাশিয়া দখল করে আছে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে দখলমুক্ত করতে ইউক্রেইনীয় সেনাবাহিনী তাদের পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করছে এবং এটি তাদের আইনি অধিকার।
এবারের যুদ্ধে রাশিয়া দক্ষিণ ও পূর্বে ইউক্রেইনের চারটি অঞ্চল দখল করেছে। আর ২০১৪ সালের যুদ্ধে তারা ইউক্রেইনের কাছ থেকে ক্রিমেয়া উপদ্বীপ ছিনিয়ে নেয়। কিইভ এবার ক্রিমেয়া দখলমুক্ত করার প্রতিজ্ঞাও করেছে।
জেলেনস্কি শনিবার রাতে ইতালি থেকে জার্মানি যান। জার্মান বিমান বাহিনীর দুইটি যুদ্ধবিমান তাকে বহন করা উড়োজাহাজটিকে পাহারা দিয়ে ইতালি থেকে জার্মানিতে নিয়ে যায়।
ইতালিতে তিনি ক্যাথেলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে দেখা করেন।