‘প্রফেট সং’ পল লিঞ্চের পঞ্চম বই এবং চার বছর ধরে লিখেছেন এটি।
Published : 27 Nov 2023, 08:40 AM
সর্বগ্রাসবাদের ঘূর্ণাবর্তে ডুবে যেতে থাকা আইরিশ সমাজের চিত্র তুলে ধরা উপন্যাস ‘প্রফেট সং’ এর জন্য এ বছর বুকার পুরস্কার জিতেছেন পল লিঞ্চ।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো সম্মানজনক কোনো পুরস্কার পেলেন ৪৬ বছর বয়সী লেখক লিঞ্চ।
সিরিয়া যুদ্ধ এবং শরণার্থী সঙ্কটে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা ‘প্রফেট সং’ উপন্যাসে উঠে এসেছে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের একটি পরিবারের গল্প। দীর্ঘদিন ধরে যে গণতান্ত্রিক নিয়মরীতির মধ্যে পরিবারটি বেড়ে উঠেছে, হারিয়ে যেতে বসা সেই ব্যবস্থায় মানিয়ে নিতে পরিবারটির কঠিন লড়াইয়ের কথা উঠে এসেছে উপন্যাসে।
পুরস্কার পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় লন্ডনের ওল্ড বিলিংসগেটে মঞ্চে দাঁড়িয়ে পল লিঞ্চ বলেন, বুকার পুরস্কার আয়ারল্যান্ডে ফিরিয়ে নিতে পেরে তিনি আনন্দিত।
লিমেরিকে জন্ম নেওয়া এবং বর্তমানে ডাবলিনে বসবাস করা এই লেখকের ভাষ্য, এমন একটি উপন্যাস লেখাটা মোটেই সহজ ছিল না।
চলতি সপ্তাহে ডাবলিনে ঘটে যাওয়া দাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা ঘটেছে, তাতে তিনি বিস্মিত হয়েছেন।
“এ ঘটনাকে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা উচিত আমাদের,” বলেন এই আইরিশ লেখক।
তবে এই ঘটনার ১৮ মাস আগেই উপন্যাসটি লেখা হয়েছে জানিয়ে লিঞ্চ বলেছেন, তিনি ‘রাজনৈতিক ঔপন্যাসিক’ নন।
পুরস্কারের অর্থ হিসেবে পাওয়া ৫০ হাজার পাউন্ডের কিছু অংশ বন্ধকী সম্পত্তি মুক্ত করতে ব্যয় করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
‘প্রফেট সং’ পল লিঞ্চের পঞ্চম বই এবং চার বছর ধরে লিখেছেন এটি। তিনি যখন উপন্যাসটি লিখতে শুরু করেন, তখন মাত্র তার ছেলের জন্ম হয়েছে, আর যখন লেখা শেষ করেছেন, ততদিনে ছেলে বাইকে চড়তে শিখে গেছে।
বুকার পুরস্কারের জন্য বিচারক প্যানলের প্রধান এসি এডিগিয়ান বলেন, প্যানেল এমন একটি উপন্যান খুঁজছিল, যা বর্তমান সময় নিয়ে কথা বলবে এবং দীর্ঘ একটা সময় ধরে তার প্রয়োজনীয়তা টিকে থাকবে।
“বর্তমান অস্থির সময়ে পথনির্দেশক দৃষ্টিভঙ্গি আছে এমন একটি উপন্যাসের সন্ধান করেছি আমরা- একটি বই যা আমাদের মনে করিয়ে দেবে যে, আমরা নিজেদেরকে ছাড়িয়ে যেতে পারি এবং যা দীর্ঘ সময় টিকে থাকবে।”
এবছর বুকার পুরস্কারের জন্য আরো যেসব বই মনোনীত হয়েছিল, সেগুলো হল- পল ম্যুরের ‘দ্য বি সিটিং’, চেতনা মারুর ‘ওয়েস্টার্ন লেইন’, পল হার্ডিংয়ের ‘হিজ আদার ইডেন’, জনাথন এসকোফারির ‘ইফ আই সারভাইব ইউ’ এবং সারাহ বার্নস্টেইনের ‘স্টাডি ফর ওবিডিয়েন্স’।