চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সদস্যদের জবরদস্তি শ্রমে বাধ্য করার ঘটনা ঘটেছে- এমন ‘উপসংহার টানা’র যৌক্তিকতা আছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের শীর্ষ একজন বিশেষজ্ঞ।
প্রতিবেদনটি এ সপ্তাহে প্রকাশ করা হয়েছে। সমসাময়িককালের দাসত্বের স্বরূপ বিষয়ক জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ তোমোয়া ওবোকাতা গত মঙ্গলবার তার টুইটার একাউন্টে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
“যে সব তথ্য পাওয়া গেছে তার নিরপেক্ষ মূল্যায়নের ভিত্তিতে” প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিবেদনে উপসংহার টেনে ওবোকাতা বলেছেন, চীনের শিনজিয়াংয়ে উইঘুর স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলে কৃষি ও উৎপাদনের মতো খাতগুলোতে উইঘুর, কাজাখ এবং অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের শ্রমে বাধ্য করার ঘটনা ঘটছে।
এমন প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। শিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নের সব অভিযোগ চীন বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
বুধবারও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আবার শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘুদের শ্রমে বাধ্য করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা শ্রমিকদের অধিকারের সুরক্ষায় তাদের দেশের রেকর্ডের পক্ষে সাফাই দিয়েছে এবং জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করেছে।