প্রত্যাবর্তনের এক বছর: প্রতিশ্রুতি কতটা রক্ষা করেছে তালেবান?

কাবুলের ক্ষমতায় ফিরে তালেবান আভাস দিয়েছিল, আগের কট্টর অবস্থান থেকে তারা কিছুটা হলেও সরে আসবে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2022, 03:59 AM
Updated : 13 August 2022, 03:59 AM

দুই দশকের আফগানিস্তান মিশন শেষে গত বছর অগাস্টে সেখান থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্রসহ নেটোভুক্ত দেশগুলো; এরপরই প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় বসে তালেবান।

ওই বছরের ১৫ অগাস্ট কাবুল দখলের কয়েকদিনের মধ্যেই সরকার গঠন করে সশস্ত্র দলটি। নবগঠিত তালেবান মন্ত্রিসভা সংবাদ সম্মেলনে করে নব্বইয়ের দশকের তাদের ‘কঠোর নীতি’ থেকে বেরিয়ে ‘মডারেট পলিসি’ বা মধ্যপন্থার নীতি নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

তালেবান ‘শরিয়ত মেনে’ নারী অধিকার, নারী শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, শত্রুদের জন্য ‘সাধারণ ক্ষমার’ ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি সাংবাদিকদের জুলম-নির্যাতন না করার অঙ্গীকার জানায়। এমনকি অবৈধভাবে মাদক উৎপাদন না করার কথাও তারা সে সময় বলে।

২০ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে তালেবান যেসব ঘোষণা দিয়েছিল, এক বছর পর তার কতটা পূরণ হয়েছে, সেই উত্তর খুঁজেছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চেভেলে।

নারী অধিকারের প্রতি সম্মান

২০২১ সালের অগাস্টে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ইসলামের কাঠামোর আওতায়’ তাদের পড়াশোনা ও কাজের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে বাস্তবতা যাচাই করে ডয়চে ভেলে বলছে, তালেবান সেই কথা রাখেনি।

এক প্রতিবেদেন সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, তালেবান যখন ক্ষমতা দখল করে, তখন অনেকের ভয় ছিল, নব্বইয়ের দশকের মত কঠোর শাসন আবার ফিরবে আফগানিস্তানে। বাস্তবেও অনেক ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। এক বছরের মধ্যেই তালেবান নারীদের উপর অনেক বিধিনিষেধের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।

তালেবানের আফগানিস্তানে জনসম্মুখে আসা নারীদের অবশ্যই আপাদমস্তক ঢাকতে হয়। কোনো নারী যদি তা না করেন, তাহলে তার বাবা বা নিকট কাউকে জেলে ভরা হতে পারে কিংবা সরকারি চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হতে পারে।

নারীরা তাদের পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বিমানে চড়তে পারেন না। আর সেই পুরুষটি তার স্বামী বা বয়ঃসন্ধিকাল পার করা কোনো নিকট আত্মীয় পুরুষ হতে হবে।

সরকারি পার্কগুলোতে প্রবেশে লিঙ্গভিত্তিক বিধিনিষেধ আছে। তিন দিন মেয়েদের জন্য এবং চারদিন পুরুষদের জন্য পার্কে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়। একটি ডিক্রিতে তারা কঠোরভাবে জানিয়েছে, যখন প্রয়োজন পড়বে তখনই কেবল নারীরা ঘরের বাইরে যেতে পারবে।

তালেবানের ভাষ্য, নারীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের এসব ব্যবস্থা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের বিধিনিষেধ ইসলামি আইনে নেই।

আফগানিস্তানভিত্তিক ইসলামিক পণ্ডিত সায়েদ আব্দুল হাদি হেদায়াত তালেবানের এ ধরনের নিয়ম আরোপের বিরোধিতা করেছেন।

ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, “হিজাব পরার বিষয়ে পণ্ডিতরা একমত হলেও নারীর হিজাবের ধরন নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। ইসলামে মুখ, হাত ও পায়ের পাতা উন্মুক্ত রাখার সুযোগ রয়েছে।”

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, কিছু খাতে নারীদের কাজের ওপর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে তালেবানের শাসনে। চিকিৎসা ও শিক্ষা খাত বাদে বেশিরভাগ নারী চাকরিজীবীদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজের অধ্যাপক ফরিদ ইউনুস বলছেন, তালেবানের এই নিয়মও ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে যায়। কারণ ইসলাম নারীদের সমান গুরুত্ব দিয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে।

“নারীরা শিক্ষার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার উদাহরণ হযরত মুহম্মদ (সা.) এর স্ত্রী ও কন্যা।”

হেদায়াত ও ইউনুস উভয়েই বলেন, নারী-পুরুষের জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক। ইসলামী শরীয়া শিক্ষা ও নারীদের কাজ করার বিরুদ্ধে নয়; কারণ নারীদের ভূমিকা ছাড়া সমাজে উন্নতি করতে পারে না।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, আফগান নারীদের মধ্যে যারা তালেবানের নিয়মের বাইরে গেছেন, তাদের নির্যাতন, হুমকি, এমনকি গ্রেপ্তারও হতে হয়েছে।

মাধ্যমিকে মেয়েদের পড়ার সুযোগ

তালেবানের ক্ষমতা দখলের কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত মেয়েরা বিচ্ছিন্ন কয়েকটি শ্রেণিতে পড়ালেখা করতে পারলেও মাধ্যমিকে নারী শিক্ষার্থীরা ফিরতে পারেনি।

জাবিহুল্লাহ গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিকের নারী শিক্ষার্থীদের জন্য যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার সুযোগ তৈরিতে কঠোরভাবে কাজ করছে।”

তবে সেই সুযোগ মিলবে, তার কোনো সময় তিনি উল্লেখ করেননি।

ডয়চে ভেলে বলছে, গত মার্চে তালেবান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, মেয়েসহ সকল শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস উন্মুক্ত। মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার একদিন পর সেই ঘোষণায় পরিবর্তন আনা হয়। মেয়েদের স্কুল ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।

পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব এবং স্কুল ইউনিফর্মকে কারণ দেখিয়ে মন্ত্রণালয় দাবি করে, ইসলামিক আইন ও আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে মেয়েদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়া হবে। ততদিন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না।

শত্রুদের সাধারণ ক্ষমা

২০২১ সালের ১৭ অগাস্ট জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, “আমি সকল দেশবাসীকে নিশ্চিত করতে চাই, হোক তারা দোভাষী, যারা সামরিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল, কিংবা হোক তারা সাধারণ নাগরিক, তারা সকলেই গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে প্রতিহিংসার চোখে দেখা হবে না।

“হাজারো সৈন্য, যারা ২০ বছর ধরে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে, তাদের সকলকেই ক্ষমা করে দেওয়া হবে।”

ডয়চে ভেলে লিখেছে, তালেবানের ক্ষমতা দখলের সময় প্রতিশোধের হত্যার ঢেউ দেখা গেছে আফগানিস্তানে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, তালেবান নেটোবাহিনীর সাহায্যকারী আফগানদের খুঁজতে বাড়ি বাড়ি ঘুরেছে। তবে সাবেক শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে তাদের ততটা আগ্রাসী হতে দেখা যায়নি।

‘ইউনাইটেড নেশসনস অ্যাসিসটেন্স মিশন ইন আফগানিস্তান’ গত বছরের ১৫ অগাস্ট থেকে এ বছরের ১৫ জুনের মধ্যে আফগানিস্তানে ১৬০টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে, ১৭৮ জনকে কোনো কারণ না দেখিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ২৩ জনকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে এবং আগের সরকার ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে ৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তালেবান।

কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি মানা হয়নি বলেও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে জাতিসংঘের ওই মিশন।

ডয়চেভেলে লিখেছে, ইউএন মিশন যে চিত্র তুলে ধরেছে, সেখানে ‘ইসলামিক স্টেট-খোরাসান’ ও ন্যাশনাল রেজিস্টেন্স ফ্রন্টের (এনআরএফ) কয়েক ডজন সদস্যকে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্বিচারে গ্রেপ্তারের বিষয়গুলো নেই।

সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্তও এনআরএফ পানশির উপত্যকা নিজেদের দখলে রাখতে তালেবানের সঙ্গে লড়াই করেছে এবং এখনও সেই চেষ্টা করছে।

সাংবাদিক নির্যাতন

তালেবান মুখপাত্র রিপোর্টারস উইদাউট বর্ডারসকে (আরএসফ) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আফগানিস্তানে গণমাধ্যম হবে পক্ষপাতহীন, সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা ভোগ করবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সাংবাদিকরা তালেবানের ‘সাংস্কৃতিক কাঠামোতে’ হস্তক্ষেপ না করছে।

ডয়চে ভেলে লিখেছে, কাবুল দখলের কয়েক দিন পরই তাদের এক সাংবাদিকদের আত্মীয়কে হত্যা করে তালেবান, তাকে তারা খুঁজছিল।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস জানায়, ফাহিম দস্তী নামের ওই ব্যক্তি আফগানিস্তান ন্যাশনাল জার্নালিস্টস ইউনিয়নের প্রধান ছিলেন। এনআরএফের সঙ্গে তালেবানের সংঘর্ষের সময় তিনি নিহত হন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ওই সাংবাদিককে যে তালেবানই হত্যা করেছে- সে ব্যাপারে অকাট্য কোনো প্রমাণ নেই। তবে তলেবানের কাবুল দখলের পর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা যে খর্ব হয়েছে, সে ব্যাপারে কারও সন্দেহ নেই।

গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোর বার্তা বিভাগে ১০ হাজারের মত কর্মী ছিলেন। আর তালেবান ফেরার পর ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ করছিলেন ৪ হাজার ৩৬০ জন।

আরএসএফ গত বছরের শেষ দিকে এক প্রতিবেদনে জানায়, দেশটির ৫৪৩টি সংবাদমাধ্যমের মধ্যে ২৩১টির কার্যক্রম এ বছরের গ্রীষ্মে চালু ছিল। তালেবান শাসনের প্রথম তিন মাসেই বাকিগুলো উধাও হয়ে গেছে।

আফগান সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টস পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা যায়, তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর ৩১৮টি সংবাদমাধ্যম বন্ধ হয়ে যায়।

এ বছরের জানুয়ারিতে তালেবানের এক মুখপাত্র দাবি করেন, তালেবান দেশে কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেনি। কেউ কেউ পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় অফিস গুটিয়ে নিয়েছে।

মার্চে আন্তর্জাতিক কিছু গণমাধ্যমকে আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ করে তালেবান। এর মধ্যে বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা এবং ডয়চে ভেলে রয়েছে। তার এক মাস পর আফগানিস্তানে কমপক্ষে এক ডজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাংবাদিক ইউনিয়নের এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা যায়, তথ্যের অভাব, সেলফ-সেন্সরশিপ, প্রতিশোধের ভয় এবং অর্থনৈতিক সংকট আফগান মিডিয়ার সংকটের প্রধান কারণ।

উত্তরদাতাদের এক তৃতীয়াংশ বলছেন, তারা স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে বিশ্বাস করেন না। ১০ জনের মধ্যে প্রায় নয়জনই বলছেন, তারা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে বিশ্বাস করেন।

অবৈধ মাদকের ব্যবসা

জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, “দেশের নারী-পুরুষ ও আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা কোনো ধরনের মাদক উৎপাদন করব না।”

বিশ্বকে তিনি মনে করিয়ে দেন, তালেবান ২০০০ হাজার সালের মধ্যে পপিভিত্তিক মাদকের উৎপাদন শূন্যতে নামিয়ে এনেছিল।

পপি বাদে বিকল্প শস্য উৎপাদনে তিনি আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানান।

ডয়চে ভেলে লিখেছে, হেরোইন ও আফিমের উৎপাদন ও রপ্তানিতে এখনও বিশ্বের বৃহত্তম দেশ আফগানিস্তান।

জাতিসংঘের ড্রাগ অ্যান্ড ক্রাইম অফিস জানিয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্ব আফিমজাত মাদকের প্রায় ৮৫ শতাংশ সরবরাহ করেছে আফগানিস্তান।

এ বছরের শুরুর দিকে তালেবান এপ্রিল মাসের পপি উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা দেয়। কৃষকদের জেলে পাঠানোর হুমকির পাশাপাশি মাঠ পুড়িয়ে দেয় তারা।

আফগান মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অন্তর্বর্তীকালীন উপ মন্ত্রী মুল্লাহ আব্দুল হক আখুন্দ বলেন, কৃষকের আয়ের ব্যবস্থা করতে বিকল্প ফসল উৎপাদনে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তালেবান কাজ করছে।

এখন পর্যন্ত মাদকের ব্যাপারে তালেবানকে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই দেখা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০০ সালে তালেবান পপি উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় ২০০৪ সালে উৎপাদন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। কিন্তু ২০০১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অভিযানের পর থেকে তার পুনরায় বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, এই সময়ে আফিমের উৎপাদন নির্মূল করার চেষ্টা কতটা কার্যকর এবং টেকসই হবে, যদিও এই প্রচেষ্টায় সাফল্য পেলে তা বৈদেশিক সম্পর্কের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

তালেবানের অর্থনীতির বড় অংশ মাদকের চোরাচালান থেকে আসে। ২০২১ সালে মাদক বিক্রি থেকে তাদের আয় ছিল ১৮০ কোটি থেকে ২৭০ কোটি ডলারের মধ্যে। এই বাণিজ্যের পরিমাণ আফগানিস্তানের জিডিপির ৯ শতাংশের বেশি।

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক শেহরিয়ার ফজলি বলেন, তালেবান যদি মাদকের কারবার বন্ধ করে দেয়, তাহলে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে তারা পশ্চিমাদের কাছ থেকে যথেষ্ট সহায়তা নাও পেতে পারে। আবার তালেবানের সশস্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বীরা তখন মাদকের কারবারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে, তাতে সহিংসতা আরও বাড়বে।