যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড় ইয়ানে মৃত বেড়ে ৮৩, দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ

তিন দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মূল-ভূখণ্ডে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল ইয়ান।

রয়টার্সবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2022, 01:57 PM
Updated : 3 Oct 2022, 01:57 PM

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা এবং নর্থ ও সাউথ ক্যারোলাইনায় তাণ্ডব চালানো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়ানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩ হয়েছে। সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিও শত কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।

কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় যথাযথ প্রস্তুতি না নেওয়া এবং যথাসময়ে নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করারও অভিযোগ উঠেছে।

গত বুধবার চার মাত্রার প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে ফ্লোরিডায় আছড়ে পড়ে ইয়ান। ওই সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার।

ঝড়ে এখন পর্যন্ত যে কয়জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাদের মধ্যে চারজন ছাড়া বাকি সবাই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। ফ্লোরিডার উপকূলীয় লি কাউন্টিতে মারা গেছেন ৪২ জন। ঘূর্ণিঝড় ইয়ান সমুদ্র থেকে লি কাউন্টির উপর দিয়েই ভূখণ্ডে উঠে আসে। প্রতিবেশী চারটি কাউন্টি থেকে আরো ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ফোর্ট মায়ার্স ও কেপ কোরালসহ লি কাউন্টির কর্মকর্তারা এবং গল্ফ কোস্ট উপকূল রেখার কর্মকর্তারা যথাসময়ে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে পেরেছিলেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কাউন্টিস বোর্ড অব কমিশনারস এর চেয়ারম্যান সেসিল পেন্ডারগ্রাস রবিবার এ বিষয়ে বলেছিলেন, লি কাউন্টি ঘূর্ণিঝড় ইয়ানের কেন্দ্রের পথে পড়তে পারে এমন পূর্বাভাস আগেই একবার দেয়া হয়েছিল এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছিল।

তারপরও কিছু কিছু মানুষ ঝড়ের মধ্যে বাইরে থেকেছেন এবং তারা নিজেরাই সে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Also Read: হারিকেন ইয়ানের তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রে ২১ মৃত্যু, ক্ষয়ক্ষতি

‘‘আমি তাদের নিজের পছন্দ বেছে নেওয়াকে সম্মান জানাই। কিন্তু আমি নিশ্চিত, তাদের অনেকেই এখন এজন্য পস্তাচ্ছেন।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন আগামী বুধবার ফ্লোরিডার ঘূর্ণিঝড় দুর্গত এলাকা দেখতে যাবেন বলে শনিবার হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার তাদের পুয়ের্তো রিকো পরিদর্শনে যাওয়ার কথা। দুই সপ্তাহ আগে ওই দ্বীপটিতে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় ফিওনা। তারপর থেকে এখনো দ্বীপটির শত শত বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

নর্থ ক্যারোলাইনা কর্তৃপক্ষ জানান, ঘূর্ণিঝড়ে তাদের ওখানে অন্তত চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। সাউথ ক্যারোলাইনায় তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।