- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প; ইতিহাস গড়ে দ্বিতীয়বার তিনি যাচ্ছেন হোয়াইটহাউজে।
- উল্লসিত সমর্থকদের সামনে বিজয় মঞ্চে হাজির হয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা তাকে ‘নজিরবিহীন ম্যান্ডেট’ দিয়েছে।
- ব্যাটলগ্রাউন্ড নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া ও পেনসিলভেইনিয়ার পর উইসকনসিনে জয়ের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের বিজয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
- ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস হার স্বীকার করে কোনো বিবৃতি এখনো দেননি। সমর্থকদের সামনেও তিনি আসেননি।
- যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে রিপাবলিকানরা। নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদেও তারা এগিয়ে।
07 Nov 2024, 03:07 PM
আপাতত বিদায়
লাইভ আপডেট এখানেই শেষ হচ্ছে। সবাইকে ধন্যবাদ।
07 Nov 2024, 03:07 PM
আপাতত বিদায়
লাইভ আপডেট এখানেই শেষ হচ্ছে। সবাইকে ধন্যবাদ।
06 Nov 2024, 11:56 PM
ট্রাম্পের জয়ে রাশিয়ার সতর্ক প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর রাশিয়া সতর্ক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এখনও বৈরি রাষ্ট্র। ট্রাম্প ইউক্রেইন যুদ্ধ শেষ করার যে প্রত্যয় দেখিয়েছেন, তা বাস্তবে রূপ পাবে কিনা- সময়ই কেবল সেটি বলে দেবে।
২০২২ সালে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন মস্কো এবং পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে ১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর থেকে সবচেয়ে বড় সংঘাত সৃষ্টি করেছে।
ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারের সময় নির্বাচিত হলে ইউক্রেইন যুদ্ধ নিমেষেই বন্ধ করার কথা জোর দিয়ে বলে এসেছেন।
নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সেই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ট্রাম্পের কথা কাজে পরিণত হবে কিনা সময়ই তা বলবে।
সাংবাদিকদের পেসকভ বলেন, “আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে আমরা একটি অবন্ধুসুলভ দেশকে নিয়ে কথা বলছি, যে দেশ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষোভাবে আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত।”
ট্রাম্পের জয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাকে অভিনন্দন জানানোর কোনও পরিকল্পনা করেছেন কিনা তা জানা নেই বলেও জানান পেসকভ।
06 Nov 2024, 11:08 PM
যে কারণে ট্রাম্পের কাছে শোচনীয় হার হ্যারিসের
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প আরও একবার মানুষের আস্থা জয় করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। প্রয়োজনীয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ২৭০ পার করে জয়ী হয়েছেন তিনি।
আর ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হ্যারিস মাত্র ২২৩ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিয়ে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন। তার এই হারের পেছনে কারণ কি তা খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছেন বিশ্লেষকরা:
অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ: এবারের নির্বাচনে আমেরিকানদের কাছে প্রধান ইস্যুই ছিল অর্থনীতি। ট্রাম্প অর্থনীতি নিয়ে অনেক বেশি কথা বলেছেন। আর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার হ্যাসিনের তুলনায় ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির ওপরই বেশি আস্থা প্রকাশ করেছে। এ কারণেই হয়ত দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর ভোটাররা সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে।
কমলা হ্যারিসে আস্থার অভাব: শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের শক্তিশালী সমর্থন আছে। তাদের মধ্যে ট্রাম্পের সমর্থন সবসময়ই বেশি থাকে। এই সমর্থনে কমলা হ্যারিসের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে জয় পেতে এই শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের সমর্থন ট্রাম্পের জন্য সহায়ক হয়েছে। তার ওপর ভোটার জালিয়াতির মতো বিষয়গুলোতে ট্রাম্পের অবস্থান পছন্দ করেছে বিপূল সংখ্যক ভোটার। এদিক থেকে হ্যারিসের ওপর তারা আস্থা রাখতে পারেনি।
হ্যারিসের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ছিল কম: নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাত্র চারমাস আগে হুট করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সরে গিয়ে হ্যারিস সেই জায়গায় আসায় নির্বাচনি প্রচার চালানোর জন্য গুছিয়ে ওঠার সময় তার হাতে তেমন ছিল না। হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রচার শিবিরের মধ্যেই আটকে থেকে তার বার্তা সাবলীলভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। বাইডেনের সঙ্গে নিজের নীতির ভিন্নতা স্পষ্ট করতে না পারায় তার ওপর জনগণের আস্থা নষ্ট হয়েছে।
হ্যারিসের ভাষণ নিয়ে হতাশা: নির্বাচনি প্রচারের সময় হ্যারিসের যোগাযোগের স্টাইল নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। তার ভাষণ অস্পষ্ট বলে প্রায়ই সমালোচিত হয়েছে। বিপরীতে ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল অনেক বেশি সোজাসাপ্টা এবং আবেদন সৃষ্টিকারী। ফলে নির্বাচনি প্রচারের সময় হ্যারিসের বক্তব্যে অস্পষ্টতাই হয়ত ভোটারদের হতাশ করেছে এবং তার সক্ষমতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে।
দোদুল্যমান রাজ্যে জোরাল সমর্থন না পাওয়া: দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে ট্রাম্প আগেরবারের নির্বাচনে যা জনসমর্থন পেয়েছিলেন তার তুলনায় এবার বেশি পেয়েছেন। কিন্তু হ্যারিস এই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে জোরাল সমর্থন জোগাড় করতে পারেননি। আর সেটাই তার কাল হয়েছে।
কৃষ্ণাঙ্গ ও ল্যাটিনো ভোট: কৃষ্ণাঙ্গ এবং ল্যাটিনো ভোটারদের সমর্থনের দিক থেকেও পিছিয়ে ছিলেন হ্যারিস। যেখানে ট্রাম্প এই জনগোষ্ঠীর সমর্থন আগেরবারের চেয়ে বেশি পেয়েছেন।
আমেরিকার বর্ণবাদী ইতিহাস: আমেরিকার রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের একটি বাস্তবতা হচ্ছে বর্ণবাদ এবং নারীবিদ্বেষ। ১৯২০ সালের আগে নারীরা সেখানে ভোটের অধিকারই পায়নি। আর ১৯৬৫ সালে কৃষ্ণাঙ্গরা পুরোপুরি ভোটাধিকার পেয়েছে।
দেশটি কেবল একবারই একজন কৃষ্ণাঙ্গকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে। সেটি ছিলেন বারাক ওবামা। নারী প্রেসিডেন্ট এখন পর্যন্ত কেউ হয়নি। কৃষ্ণাঙ্গসহ অনেক আমেরিকান ভোটারই হয়ত এখনও অর্ধ-ভারতীয় এবং অর্ধ-কৃষ্ণাঙ্গ একজন প্রার্থীকে ভোট দেওয়াটা অনেক বড় সিদ্ধান্তের ব্যাপার বলেই মনে করে, তা তার প্রতিপক্ষ যে-ই হোক না কেন।
06 Nov 2024, 08:29 PM
ট্রাম্পের জয়ে অভিবাসনের কী হবে?
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনি প্রচারের সময় থেকেই রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প বলে এসেছিলেন, জয় পেলে গণহারে অভিবাসীদের ফেরত পাঠাবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা কাগজপত্রহীন অভিবাসীরাই তার এ কর্মসূচি নিশানা হবে।
‘আমেরিকার ইতিহাসে অভিবাসী বিতাড়নের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি এটিই হবে’ বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনার আওতায় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে আমূল রদবদলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নির্বাচনি প্রচারে তিনি অভিবাসন ইস্যুতে তার পরিকল্পনা জানিয়ে বলেছিলেন, কর্মক্ষেত্রগুলোতে ব্যাপক অভিযান চলতে পারে, সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো হতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার খরচ মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল কাজে লাগানো হতে পারে।
এবছরের নির্বাচনে ট্রাম্প এরই মধ্যে ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলেছেন। ক্ষমতা নেওয়ার পর রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে তিনি সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে কাজে লাগাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বিদেশে কূটনীতিক পর্যন্ত প্রত্যেককেই তিনি ডাকতে পারেন এবং রিপাবলিকান-নেতৃত্বাধীন রাজ্যগুলোর সহোযোগিতা নিয়েও কাজ করতে পারেন ট্রাম্প।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছে আনুমানিক ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসী। বছরে বছরে এই অভিবাসীদেরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে।
ট্রাম্পের রানিং মেট জে ডি ভ্যান্স বছরে কতজন অভিবাসীকে বের করে দেওয়া হতে পারে তার আনুমানিক হিসাব দিয়ে বলেছিলেন, প্রতি বছর বের করে দেওয়া হতে পারে ১০ লাখ মানুষকে।
অভিবাসনের পক্ষে যারা সোচ্চার তারা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ হবে ব্যয়বহুল, বিতর্কিত এবং অমানবিক। এর ফলে বহু পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে এবং বিভিন্ন কমিউনিটি বিপর্যস্ত হতে পারে।
06 Nov 2024, 06:57 PM
ট্রাম্পের জয়ে ফিরছে অনিশ্চয়তা
যুদ্ধ অবসানের কথা বলতে পছন্দ করেন ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এরই মধ্যে বিশ্বে চলতে থাকা দুটো বড় ধরনের যুদ্ধ মাথায় নিয়েই তিনি প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় আসতে চলেছেন।
একটি- ইউক্রেইনে রাশিয়ার যুদ্ধ, আরেকটি- মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের বহুমুখী যুদ্ধ। গতবার তিনি যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, এই দুই যুদ্ধ তখন ছিল না।
আরেকদিকে আছে উত্তর কোরিয়া, যে দেশটি পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে গতি সঞ্চার করেই চলেছে। আবার আমেরিকার মিত্র তাইওয়ানকে চীনের অবরুদ্ধ করে রাখার আশঙ্কাও আছে।
এতসব সমস্যা ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে কিভাবে সামাল দেবেন সেটি আঁচ করা কঠিন। বিশেষ করে আগের প্রেসিডেন্সির আমলে যেসব ভাল অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, সজাগ জেনারেলরা ট্রাম্পের পাশে ছিলেন তাদের বলিষ্ঠ হাত ছাড়া তার সমস্যা সামলানোর বিষয়টি আঁচ করা কঠিন।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে, আগে থেকে কিছু বলতে না পারার বিষয়টি (আনপ্রেডিক্টিবিলিটি) কখনও কখনও সুবিধাজনকও হতে পারে। কারণ, সেরকম ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ বা শত্রুপক্ষ কি হতে পারে তা নিয়ে ভাবনায় থাকবে।
ট্রাম্পের নতুন প্রেসিডেন্টির আমলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কি ইউক্রেইন নিয়ে চুক্তি করবেন? কিম জং-উন কি আলোচনার টেবিলে ফিরবেন? চীন কি তাইওয়ান দখল করা থেকে পিছু হটবে? ইরান কি তাদের পারমাণবিক স্থাপণাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ইসরায়েলের হামলা ঠেকাতে তাদের মিলিশিয়া বাহিনীর রাশ টানবে? এ সবই এখন প্রশ্ন।
ট্রাম্পের গত প্রেসিডেন্ট আমলে জনশ্রুতি হয়ে ছিল ‘আনপ্রেডিক্টেবিলিটি’ শব্দটি। তার জয়ে মধ্য দিয়ে আবার ফিরে আসছে সেই ‘অনিশ্চিত’ প্রেসিডেন্সির আমল।
06 Nov 2024, 05:48 PM
মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ জিতিয়েছে ট্রাম্পকে
১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিল ক্লিনটনের প্রচার কৌশলবিদ জেমস কারভিলের একটি উক্তি বিখ্যাত হয়ে আছে। তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মূলত প্রাধান্য পায় ‘অর্থনীতি আর বোকারা!’
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররাও অন্য কোনো বিষয়ের চেয়ে অর্থনীতিকেই বেশি আমলে নেয়। এবারের নির্বাচনি প্রচারের সময় বিভিন্ন জনমত জরিপে আমেরিকানদের প্রায় অর্ধেকই বলেছিলেন, চারবছর আগের তুলনায় এখন তারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খারাপ অবস্থায় আছেন।
সুতরাং দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাদের কাকে পছন্দ তা খুব স্পষ্টই ছিল। তিনি হলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার ভোটের পর ফক্স নিউজ দোদুল্যমান তিন রাজ্য পেনসিলভেইনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং জর্জিয়ায় ট্রাম্পের জয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার পর তিনি জয় ঘোষণা করেন। বাকি আরও ৪ টি দোদুল্যমান রাজ্যে তিনি এগিয়ে ছিলেন। এরপর উইসকনসিনে জয়ের মধ্য দিয়ে ২৭০ ইলোকটোরাল ভোটের ম্যাজিক নম্বর ছাড়িয়ে গেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প।
এডিসন রিসার্চ এর জাতীয় বুথফেরত জরিপের তথ্যে দেখা গেছে, অর্থনীতি ইস্যুটিকে শীর্ষে রেখেছে ৩১ শতাংশ ভোটার। আর ৩৫ শতাংশ ভোটার দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ, অর্থনীতি আছে দ্বিতীয় স্থানে। আর যেসব ভোটারের কাছে অর্থনীতিই প্রধান উদ্বেগের বিষয় তারা ব্যাপকভাবে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে। এ সংখ্যা ট্রাম্পের পক্ষে ৭৯ শতাংশ এবং হ্যারিসের পক্ষে ২০ শতাংশ।
অন্যদিকে, গত কয়েকবছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভোটারদের স্পষ্ট উদ্বেগ তাদেরকে ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার দিকে চালিত করেছে। ফলে সামগ্রিকভাবে কেবল অর্থনীতি নয়, মূল্যস্ফীতির বিষয়টি ট্রাম্পকে জেতাতে চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করেছে।
ভোটারদের অর্ধেকেরও বেশি বলেছেন, গতবছরে তারা মূল্যস্ফীতির কারণে দুরবস্থায় ছিলেন। আবার প্রায় চারজনে একজন আমেরিকানই বলেছেন, তারা মূল্যস্ফীতির কারণে মারাত্মক দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে গেছেন।
যে ভোটাররা বলেছেন, তাদেরকে মূল্যস্ফীতির কারণে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের অনেকেই ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকেছেন। এ সংখ্যা ৫০ শতাংশ থেকে ৪৭ শতাংশ। আর মারাত্মক কষ্টের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা বলা ৭৩ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন।
এডিসনের বুথ ফেরত জরিপের তথ্য বলছে, দেশজুড়ে ৪৫ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা চারবছর আগের তুলনায় এখন বেশি খারাপ গেছে। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।
এই ভোটাররা হ্যারিসকে ভোট না দিয়ে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। ট্রাম্পের পক্ষে পড়েছে ৮০ শতাংশ ভোট। আর হ্যারিস পেয়েছেন ১৭ শতাংশ ভোট।
06 Nov 2024, 04:40 PM
ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
ফলাফল আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট উইসকনসিনে জয়ের মধ্য দিয়ে ২৭০ ইলোকটোরাল ভোটের ম্যাজিক নম্বর ছাড়িয়ে গেলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাট কমল হ্যারিসকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি।
এ পর্যন্ত ট্রাম্প পেয়েছেন ২৭৬ ইলেকটোরাল ভোট। আর হ্যারিস ২১৯ ভোট পেয়েছেন।
06 Nov 2024, 04:26 PM
ট্রাম্প পাচ্ছেন বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরই মধ্যে জয় ঘোষণা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। যদিও আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা হয়নি। এমনকি প্রয়োজনীয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের জাদুসংখ্যা ২৭০ এখনও ছুঁতে পারেননি ট্রাম্প। তবে তার জয় ঘোষণার পরই বিশ্বনেতারা একের পর এক অভিনন্দন জানাচ্ছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।
ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানানো বিশ্বনেতাদের মধ্যে আছেন, যুক্তরাজ্যর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো, ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ আরও অনেকে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এক্সে লেখেন, “নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন। সামনে আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স বার্তায় ট্রাম্পকে বন্ধু সম্বোধন করে লিখেছেন, "আন্তরিক অভিনন্দন বন্ধু, আসুন এবার আমরা একসঙ্গে আমাদের জনগণের উন্নতির জন্য এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করি।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক্স-এ লিখেন, "ইতিহাসের সেরা প্রত্যাবর্তনের জন্য অভিনন্দন! হোয়াইট হাউজে আপনার ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন আমেরিকার জন্য এক নতুন সূচনা।”
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো শুভেচ্ছা বার্তায় লিখেছেন, “অভিনন্দন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বে আরও শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানানো অন্যান্য নেতাদের মধ্যে আছেন- জোনাস গাহর স্টোয়ার, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী; উলফ ক্রিস্টারসন, সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী; কার্ল নেহামার, অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর; ভিক্টর ওরবান, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী; পেত্র ফিয়ালা, চেক প্রধানমন্ত্রী।
মার্সেল সিওলাক, রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রী; উলফ ক্রিস্টারসন, সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী; জোনাস গাহর স্টোয়ার, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী; মেটে ফ্রেডেরিকসেন, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী; নায়িব বুকেলে, এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট। সব নেতাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
06 Nov 2024, 02:52 PM
এবার পপুলার ভোটও বেশি পাচ্ছেন ট্রাম্প
অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের নজির গড়ে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এবার পপুলার ভোটেও এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প, যেখানে ২০১৬ সালে ঘাটতি থেকে গিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পরাজয় নির্ধারিত হয় ইলেকটোরাল ভোটের হিসাবে। মঙ্গলবার ভোটাররা যে ভোট দিয়েছেন, তাতে প্রতিটি রাজ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেকটর নির্বাচিত হবেন। আর পুরো দেশের অর্ধেকের বেশি ইলেকটরের সমর্থন বা ইলেকটোরাল ভোট যে প্রার্থী পাবেন, তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি নিশ্চিত করতে হয়। ট্রাম্প ইতোমধ্যে ২৬৬ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে গেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২১৯ ইলেকটোরাল ভোট। ট্রাম্পের জয় নিয়ে তাই আর কোনো সংশয় এখন আর নেই।
এ পর্যন্ত ট্রাম্প পেয়েছেন মোট ৬ কোটি ৯৩ লাখ ১ হাজার ৩০০ পপুলার ভোট (৫১.১%)। আর হ্যারিস পেয়েছেন ৬ কোটি ৩৯ লাখ ৭৯ হাজার ১০১ পপুলার ভোট (৪৭.২)।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতির কারণে মোট ভোটের হিসেবে সারা দেশে বেশি ভোট পেয়েও ইলেকটোরাল ভোটে হেরে যেতে পারেন একজন প্রার্থী। আগের ছয় নির্বাচনের মধ্যে দুটোতে মোট ভোটে কম পেয়েও ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জর্জ ডাব্লিউ বুশ ও ডনাল্ড ট্রাম্প।
২০১৬ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, যদিও তিনি মোট ভোটের হিসাবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে ৩০ লাখ ভোট কম পেয়েছিলেন।
তার আগে ২০০০ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডাব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ২৭১টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে, যদিও মোট ভোটে তার চেয়ে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ভোট বেশি পেয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর।
সর্বশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন আট কোটি ১২ লাখের বেশি পপুলার ভোট পেয়েছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পাওয়া সর্বোচ্চ ভোট। এর বিপরীতে রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছিলেন সাত কোটি ৪২ লাখের বেশি ভোট।
06 Nov 2024, 02:38 PM
হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার ‘কারণ ছিল’: ট্রাম্প
সমর্থকদের উল্লাস, করতালির মধ্যে বক্তব্যে ট্রাম্প অল্প কথায় গত জুলাইয়ে তার ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনেছেন, যখন প্রচার সমাবেশে আততায়ীর গুলি থেকে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তার কান ছুয়ে বেরিয়ে যায় গুলি।
সেদিন তার হত্যাপ্রচেষ্টা থেকে ‘বেঁচে যাওয়ার একটি কারণ ছিল’- নির্বাচনে জয় দাবির পর এ কথা জনসম্মুখে আবারও বলেছেন ট্রাম্প; যে কথা নির্বাচনি প্রচারের পুরো সময় জুড়েই তিনি বলে এসেছেন।
ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে বক্তব্য রাখেন রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জে ডি ভ্যান্সও।
বক্তব্যের এক পর্যায়ের ট্রাম্প ভোটারদের পাশাপাশি স্ত্রী মেলানিয়াকেও ধন্যবাদ দেন। ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়া বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তার সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষার ব্রত নিয়ে কাজ করবে।
06 Nov 2024, 02:16 PM
অংক যাই বলুক, খেলা আসলে শেষ
অংকের হিসাবে জয়ের জন্য আরো চারটি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে ট্রাম্পকে, কিন্তু বাস্তবিক অর্থে, খেলা আসলে শেষ।
ডনাল্ড ট্রাম্পই হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় রাজনীতিবিদ, যিনি এক মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর দ্বিতীয় চেষ্টায় হেরে গিয়েও তৃতীয় চেষ্টায় ফের হোয়াইট হাউজে যাওয়ার চাবি হস্তগত করতে পেরেছেন।
৭৮ বছর বয়সী এ রিপাবলিকান নেতার ক্যারিয়ারজুড়ে কেলেঙ্কারির শেষ নেই। আদালতে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা চলছে। একটি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন। ভোটের প্রচারে নেমে আততায়ীর বুলেট এড়িয়ে দুই দফা তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।
সব কিছুর পরও অধিকাংশ আমেরিকানের সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত তিনি হোয়াইট হাউজে যাচ্ছেন।
06 Nov 2024, 02:07 PM
ইলন মাস্ক ‘নতুন তারকা,’ বললেন ট্রাম্প
সমর্থকদের উল্লাসের মধ্যে ট্রাম্প বিজয় মঞ্চে ওঠার পরই এমন এক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে কথা বলেছেন, যিনি তার নির্বাচনি প্রচারে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি হচ্ছেন, ইলন মাস্ক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর মালিক এবং বিশ্বের শীর্ষ ধনী মাস্ককে রিপাবলিকান পার্টির ‘নতুন তারকা’ বলেই অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, মাস্ক একজন ‘চমৎকার’ মানুষ।
06 Nov 2024, 01:48 PM
জনগণ নজিরবিহীন ম্যান্ডেট দিয়েছে: ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর উল্লাসে মাতোয়ারা সমর্থকদের সামনে এলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। বললেন, “আমেরিকা আমাদের নজিরবিহীন এবং দারুণ শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে।”
06 Nov 2024, 01:44 PM
ট্রাম্পের দরকার আর ৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট
পেনসেলভেইনিয়ায় এরই মধ্যে জয় পেয়ে প্রেসিডেন্সির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন ট্রাম্প। তার এ জয়ের মাধ্য দিয়ে ইলেকটোরাল কলেজের ২৬৬টি ভোট নিশ্চিত হয়েছে। যেখানে তার প্রতিপক্ষ কমলা হ্যারিস পেয়েছেন মাত্র ১৮৮ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।
সিএনএন এর পূর্বাভাস বলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে ট্রাম্পের এখন আর মাত্র ৪ টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে গেলে ২৭০ টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট দরকার পড়ে। ট্রাম্প ৩০০’র বেশি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে পারেন এমন পূর্বাভাসও দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
06 Nov 2024, 01:29 PM
সমর্থকদের উল্লাসের মধ্যে বিজয় মঞ্চে ট্রাম্প
06 Nov 2024, 01:27 PM
বক্তৃতায় চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন ট্রাম্প
রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প একটি ছবি শেয়ার করেছেন সোশাল মিডিয়ায়, যেখানে তাকে মঞ্চের পেছনে বক্তৃতায় চোখ বুলিয়ে নিতে দেখা যাচ্ছে।
ওদিকে পর্দাঘেরা মঞ্চের সামনে অপেক্ষায় থাকা সমর্থকরা সোল্লাসে চিৎকার করছেন– ‘উই ওয়ান্ট ট্রাম্প, উই ওয়ান্ট ট্রাম্প’।
06 Nov 2024, 01:12 PM
বৃহত্তম ব্যাটেলগ্রাউন্ড পেনসিলভেইনিয়াও ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাতটি ব্যাটেলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯টি ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা পেনসিলভেইনিয়াতেও ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন বলে জানাচ্ছে এডিসন রিসার্চ।
হোয়াইট হাউজের চাবি পেতে হলে একজন প্রার্থীকে পেনসিলভেইনিয়ার জয় পেতেই হবে বলে বিবেচনা করা হচ্ছিল। এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও পেনসিলভেইনিয়া জয়ের মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউজের চাবি পাওয়ার অনেক কাছে চলে গেলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট।
আর এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ডেমোক্র্যাটদের আশা প্রায় শেষ হয়ে গেল।
06 Nov 2024, 01:11 PM
দুই ব্যাটলগ্রাউন্ডে ট্রাম্পের জয়, বাকি পাঁচটিতেও এগিয়ে
06 Nov 2024, 01:05 PM
প্রথমবারের মতো স্বতন্ত্র ভোটারদের সংখ্যা ডেমোক্র্যাটদের ছাড়িয়ে গেল
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনা দলের সমর্থক নন এমন ভোটারের সংখ্যা ডেমোক্র্যাটদেরও ছাড়িয়ে গেছে বলে এডিসন রিসার্চের বুথ ফেরত তথ্য দেখাচ্ছে। এসব ভোটারের সংখ্যা রিপাবলিকানদের সমান ছিল।
এডিসন ২০০৪ সাল থেকে বুথ ফেরত জরিপ শুরু করে। তারপর থেকে এই প্রথম ভোটের স্বতন্ত্র অংশের শেয়ার যুক্তরাষ্ট্রের বড় দু’টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটির চেয়ে এগিয়ে গেল।
এডিসনের বুথ ফেরত তথ্য দেখাচ্ছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পড়া মোট ভোটের ৩৪ শতাংশ ছিল স্বতন্ত্র ভোটার আর বাকি অংশের ৩৪ শতাংশ ছিল রিপাবলিকান এবং ৩২ শতাংশ ডেমোক্র্যাট।
06 Nov 2024, 12:32 PM
সেনেট যাচ্ছে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রণে
ডনাল্ড ট্রাম্পের দল কেবল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের সুবাস পাচ্ছে না, মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সেনেটের নিয়ন্ত্রণও নিতে যাচ্ছে রিপাবলিকান পার্টি।
এখনও অনেক ভোট গণনা বাকি, তবে যে পূর্বাভাস মিলছে, তাতে ডেমোক্র্যাটরা যে সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে, তা স্পষ্ট।
06 Nov 2024, 12:14 PM
সমর্থকদের সামনে আসছেন ট্রাম্প
06 Nov 2024, 12:09 PM
আরেক ব্যাটলগ্রাউন্ড জর্জিয়াতেও জয়ের পথে ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাতটি ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যের অন্যতম জর্জিয়াতেও জয়ের পথে রয়েছেন ট্রাম্প। এর আগে আরেকটি ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনায় জয় পেয়েছেন তিনি।
জর্জিয়ায় ১৬টি ইলেকটোরাল ভোট আছে। এখানে ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস, উভয়ের জয়ের সম্ভাবনা আছে বলে বিভিন্ন জরিপগুলোতে আভাস পাওয়া গিয়েছিল।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন জর্জিয়ায় জয়ী হয়েছিলেন। এক সময়ের এই নির্ভরযোগ্য রিপাবলিকান অঙ্গরাজ্যে তৎকালীন প্রার্থী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১২ হাজারের কম ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।
সেটি ছিল প্রায় তিন দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় এই অঙ্গরাজ্যটিতে একজন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর প্রথম জয়।
06 Nov 2024, 11:58 AM
ফ্লোরিডায় ট্রাম্প সমর্থকদের উল্লাস
ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের ওয়াচ পার্টিতে বিপুল উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে, সেখানে সবাই ‘ইউএসএ’ স্লোগান দিচ্ছেন।
তাদের উল্লাসধ্বনি সিএনএনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
এনবিসি বলছে, সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আনন্দ উদযাপন করছেন রিপাবলিকান প্রার্থী। রাতেই তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনি বিজয়োল্লাসের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
অন্যদিকে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে ট্রাম্পের এগিয়ে যাওয়ার খবরে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কমলার সমর্থকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
উশার, কেনড্রিক ল্যামার ও বিয়ন্সের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা নাচাগানার পর কমলার সমর্থকদের স্নায়ুবিক দুর্বলতা দেখা দিয়েছে।
06 Nov 2024, 11:55 AM
সংকীর্ণ হয়ে গেল হ্যারিসের জয়ের পথ
এডিসন রিসার্চের প্রদর্শিত ফলে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম ব্যাটেলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনায় ডনাল্ড ট্রাম্প কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে দিয়েছেন।
এর মাধ্যমে অভাবনীয় রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন সম্পন্ন করার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন ট্রাম্প।
তবে এখনও ছয়টি ব্যাটেলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যের ফলাফল অনিশ্চিত অবস্থায় আছে। এসব অঙ্গরাজ্যের ফল জানা গেলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কে হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট- ট্রাম্প না হ্যারিস।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ট্রাম্পের শক্তিশালী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ইলেকটোরাল কলেজের প্রদর্শিত ফলাফলে ট্রাম্প অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। ইলেকটোরাল কলেজে আর মাত্র ৪০টি ভোট পেলেই ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউজের চাবি পেয়ে যাবেন।
আরেক ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ায়ও ট্রাম্প জয় পেতে যাচ্ছেন বলে ডিশিসন ডেস্ক এইচকিউর প্রদর্শিত ফল দেখাচ্ছে। যদি এমনটি হয় তাহলে হ্যারিসের জয়ের পথ অনেকটা সংকীর্ণ হয়ে পড়বে। তখন তাকে রাষ্ট্র বেল্টের তিনটি অঙ্গরাজ্য মিশিগান, পেনসিলভেইনিয়া ও উইসকনসিনের ওপর নির্ভর করতে হবে।
কিন্তু এই তিনটি অঙ্গরাজ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের চেয়ে পিছিয়ে আছেন তিনি।
সূত্র: রয়টার্স
06 Nov 2024, 11:13 AM
ট্রাম্প জিতলে সরকারে ভূমিকা রাখতে চান মাস্ক
রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এবং বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ীদের প্রশাসনে ভূমিকা রাখার সুয়োগ দিলে ফেডারেল এজেন্সির সংখ্যা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইলন মাস্ক।
ট্রাম্পের রিসোর্ট ‘মার-এ-লাগো’ থেকে টাকার কার্লসনের অনলাইন শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেছেন, সরকারকে আরও কার্যকর করতে ট্রাম্পের পাশে থাকতে চান।
ট্রাম্পের একনিষ্ঠ সমর্থক টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও মাস্ক বলেন, "আমাদের বিশাল আমলাতন্ত্র রয়েছে, আমাদের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা রয়েছে।
"আমেরিকা নির্মাণে আমাদের নির্মাতা তৈরি করতে দেওয়া দরকার।”
06 Nov 2024, 11:12 AM
স্নায়ুর চাপে ডেমোক্র্যাট শিবির
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্যতম দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনায় রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প জয় পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে ডেমোক্র্যাট শিবির। কমলা হ্যারিস জাতীয়ভাবে জয় পাবেন, ডেমোক্র্যাট শিবিরের এমন আশাও দোলাচালে পড়ে গেছে।
ট্রাম্প জয় পাওয়ায় নর্থ ক্যারোলাইনার ১৬টি ইলেটোরাল ভোট তার হিসাবে যোগ হয়েছে।
ডেমোক্র্যাট দলীয় সাবেক অঙ্গরাজ্য সেনেটর ও প্রতিনিধি স্যাম কুইন বলেন, “কমলা হ্যারিসের জন্য আমরা এটি (নর্থ ক্যারোলাইনা) জিততে পারিনি বলে আমার রাগ হচ্ছে, কিন্তু যা হয়েছে তা এটাই।”
এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের অর্থ সংগ্রহে সহায়তা করা ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা কুইন আরও বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আমরা জয়ী হতে পারবো। আমি সত্যি… জয়ের জন্য আমি অনেক খেটেছি আর তাই আমি হতাশ।”
জাতীয়ভাবে হ্যারিস ট্রাম্পকে হারাতে পারবেন কি না, তাই নিয়ে এখন দোলাচালে আছেন কুইন; তিনি বলেন, “আমি উদ্বিগ্ন, কিন্তু আমি এখনও আশাবাদী। আমি এখনও তাদের বদলে আমাদের জয় চাই।”
06 Nov 2024, 11:08 AM
ক্রমশ লাল হয়ে উঠছে ভোটের মানচিত্র
06 Nov 2024, 11:00 AM
নর্থ ক্যারোলাইনার জয়ে আরো এগিয়ে ট্রাম্প
১৬ ইলেকটোরাল ভোটের ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট নর্থ ক্যারোলাইনায় জিতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে আরেকটু এগিয়ে গেলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প।
যে সাতটি অঙ্গরাজ্যকে স্যুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্য বলা হচ্ছে, তার মধ্যে নর্থ ক্যারোলাইনাতেই প্রথম ফলাফল এল। বাকি ছয় রাজ্যেও ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের এ অঙ্গরাজ্যে কোনো দলের নিরঙ্কুশ প্রাধান্য না থাকলেও গত দুটি নির্বাচনেও তারা ট্রাম্পের পক্ষে রায় দিয়েছিল। ২০১৬ সালে ট্রাম্প এ রাজ্যে জিতেছিলেন ৩.৬৬% ভোটের ব্যবধানে। আর ২০২০ সালে ১.৩৪% ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ রাজ্য কোনো ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে বিজয়ী করেছিল। সেবার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বারাক ওবামা। কিন্তু পরেরবার, ২০১২ সালে ওবামা নর্থ ক্যারোলাইনায় হেরে গিয়েছিলেন রিপাবলিকান মিট রমনির কাছে।
06 Nov 2024, 10:35 AM
প্রাথমিক ফলাফলে বেশিরভাগ সুইং স্টেটে এগিয়ে ট্রাম্প
ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিতি পাওয়া অধিকাংশ দোদুল্যমান রাজ্যে প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প।
জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং পেনসিলভেইনিয়ায় তিনি এগিয়ে আছেন, যেখানে বেশিরভাগ ভোট গণনা করা হয়ে গেছে।
অ্যারিজোনা ও উইসকনসিনেও তিনি ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছেন। এ দুই রাজ্যে অর্ধেকের বেশি ভোট গণনা হয়েছে।
আর হ্যারিস এগিয়ে রয়েছেন মিশিগানে, সেখানে ৩২% ভোট গণনা হয়েছে।
এই রাজ্যগুলোর কোনোটিতেই এখনও আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার পর্যায়ে যায়নি। পরের ভোট গণনায় হাওয়া বদলেও যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
06 Nov 2024, 10:27 AM
ট্রাম্পের জয়ের আশায় পুঁজিবাজারে সুবাতাস
দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর ফল স্পষ্ট হয়নি এখনও, তবে প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে থাকা ডনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের আশায় যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে, সেই সঙ্গে এশিয়ায় বেড়েছে ডলারের দর।
এসএনপি ৫০০ ফিউচার সূচক ১.২ শতাংশ বেড়েছে, নাসডাক ফিউচার সূচক বেড়েছে ১.৩ শতাংশ।
আর মুদ্রা বাজারে ডলার সূচক ১.৫ শতাংশ বেড়ে হতয়েছে ১০৪.৯৭, যা ২০২৩ সালের পর এক দিনের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প জয় পাওয়ায় ট্রেজারি বন্ডের দর চার মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাতে পারে, সেই আশায় ফিউচার মার্কেটেও সুবাতাস বইছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প অভিবাসনের ওপর কড়াকড়ি বাড়ানো, কর কমানো এবং আমদানি পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে মূল্যস্ফীতির চাপ আরো বাড়বে।
06 Nov 2024, 10:14 AM
সবচেয়ে বড় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার হ্যারিসের জয়
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে বড় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় জয় পেয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে এখানেই সবচেয়ে বেশি, ৫৪টি ইলেকটোরাল ভোট আছে। তাই এ অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোটগুলো পাচ্ছেন হ্যারিস।
তবে ডেমোক্র্যাট সমর্থক অঙ্গরাজ্য হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার রায় হ্যারিসের পক্ষে যাবে এটি আগেই ধরে নেওয়া হয়েছে। ফলে এ ফলে কোনো চমক নেই। কারণ এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে ব্যাটেলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যগুলোর ইলেকটোরাল ভোটে।
এবারের ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যগুলো হল: অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভেইনিয়া ও উইসকনসিন।
06 Nov 2024, 09:58 AM
কোন রাজ্যে কার কী দশা
06 Nov 2024, 09:53 AM
৬ ব্যাটলগ্রাউন্ডে কার কী অবস্থান
06 Nov 2024, 09:14 AM
ভোটের ফল লাইভ
06 Nov 2024, 09:07 AM
গর্ভপাতের অধিকার পাচ্ছে না ফ্লোরিডা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার আলোচনার বড় বিষয় ছিল গর্ভপাতের অধিকার। দশটি রাজ্যে সেই অধিকারের প্রশ্নে ভোট হয়েছে। ডনাল্ড ট্রাম্পের অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডায় সেই প্রশ্নে যথেষ্ট সাড়া দেননি ভোটাররা।
সংবিধানে গর্ভপাতের অধিকার সংরক্ষণ করা উচিত কি না, সে বিষয়ে ভোটারদের মত জানতে চাওয়া হয়েছিল ব্যালটে। প্রস্তাবটি পাস হতে অন্তত ৬০ শতাংশ ভোট প্রয়োজন ছিল। অধিকাংশ ভোটার সেই অধিকার সংরক্ষণের পক্ষে মত দিলেও তা ৬০ শতাংশের ঘর ছুঁতে পারেনি।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস গর্ভপাতের অধিকারকে তার প্রচারের কেন্দ্রে রেখেছিলেন। সারাদেশের নারীদের জন্য প্রজনন অধিকার সুরক্ষা আইনের পক্ষে তিনি কথা বলেছিলেন।
অন্যদিকে রিপাবলিকান ট্রাম্প বলেছিলেন, নারীদেরকে যাতে গর্ভপাতের কথা ভাবতে না হয়, সেটি তিনি নিশ্চিত করবেন।
সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের সময়ে নিয়োগ দেওয়া তিন বিচারকের হাতেই যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল হয়েছিল। সে কারণে গর্ভপাত ইস্যুতে নারীদের মন জয় করতে হিমশিম খেতে হয়েছে ট্রাম্পকে।
ফ্লোরিডার বর্তমান আইনে গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহ হয়ে গেলে গর্ভপাত অবৈধ। মন্টানা, অ্যারিজোনা, মিজৌরি, নেব্রাস্কা, কলোরাডো, মেরিল্যান্ড, নেভাডা, নিউ ইয়র্ক ও সাউথ ডাকোটা রাজ্যেও গর্ভপাতের অধিকার প্রশ্নে ভোট হয়েছে মঙ্গলবার।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
06 Nov 2024, 08:44 AM
বিপুল ভোটের ইংগিত
গণনা যত এগিয়ে চলেছে, একটি বিষয় স্পষ্ট হচ্ছে, সেটা ভোটারদের বিপুল সাড়া। এবারের নির্বাচনের ভোটের হার আধুনিক আমেরিকার ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দিকে এগিয়ে চলেছে। ২০২০ সালে ৬৫.৯% ভোটের হারের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে ২০২৪।
ট্রাম্প ও হ্যারিস দুজনই বারবার বলেছেন, এবারের নির্বাচন জনগণের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন জনসাধারণ সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
06 Nov 2024, 08:34 AM
প্রাথমিক ফলে কোন রাজ্যের কী দশা
06 Nov 2024, 08:32 AM
কোন অঙ্গরাজ্যে কত ইলেকটোরাল ভোট?
২০২০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এবারও সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়, ৫৪টি। এরপর রয়েছে টেক্সাস ৪০, ফ্লোরিডায় ৩০, নিউ ইয়র্ক ২৮, ইলিনয় ও পেনসিলভেইনিয়ায় ১৯টি করে।
এছাড়া ওহাইওতে ১৭, জর্জিয়ায় ১৬ ও নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৬, মিশিগান ১৫, নিউ জার্সিতে ১৪, ভার্জিনিয়াতে ১৩, ওয়াশিংটনে ১২, আরিজোনা, টেনেসি, ম্যাসাচুসেটস ও ইন্ডিয়ানায় ১১, মিনেসোটা, উইসকনসিন, ম্যারিল্যান্ড, মিজৌরি ও কলোরাডোতে ১০, অ্যালবামা ও সাউথ ক্যারোলাইনায় ৯, কেন্টাকি, অরেগন ও লুইজিয়ানায় ৮, কনেটিকাট ও ওকলাহোমায় ৭, মিসিসিপি, আরকানস, ক্যানজাস, আইওয়া, নেভাডা ও ইউটায় ৬; নিউ মেক্সিকো ও নেব্রাস্কায় ৫; ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার, মেইন, রোড আইল্যান্ড, আইডাহো ও হাওয়াইতে ৪; মন্টেনা, নর্থ ডেকোটা, ভার্মন্ট, ডেলাওয়ার, ওয়াইওমিং, সাউথ ডেকোটা, আলাস্কা ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় ৩টি করে ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
06 Nov 2024, 08:20 AM
সতর্কতা: প্রাথমিক ফলই শেষ কথা নয়
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটেলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যগুলোতে ভোট গণনার প্রাথমিক হিসাব কে জয় পেতে যাচ্ছেন তা শেষ ফলাফল অনুমানের ভালো সূচক নাও হতে পারে, এর কারণ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনার নিয়ম ও অদ্ভুত নীতি।
২০২০ সালের নির্বাচনে কিছু অঙ্গরাজ্য একটি ‘লাল মরীচিকা’ দেখাল, আর তাতে নির্বাচনের দিন রাতভর রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেন, এরপর শুরু হল একটি ‘নীল বদল’ আর তাতে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন তাকে ছড়িয়ে গেলেন। ডাকযোগে আসা ভোটগুলো পরে গণনার কারণেই এমন হয়েছিল, এসব ভোটের অধিকাংশই ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে গিয়েছিল।
এমন যে হতে পারে, বিশেষজ্ঞরা তা নির্ভুলভাবে অনুমান করতে পারলেও এই ‘বদল’ এর ঘটনাকেই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নির্বাচনের ফল চুরি হয়ে গেছে বলে ট্রাম্প তার মিথ্যা দাবির অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।
এবারও বিশেষভাবে পেনসিলভেইনিয়া, মিশিগান এবং উইসকনসিনে এমনটি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
06 Nov 2024, 08:06 AM
পেনসিলভেইনিয়ায় জিতলেই ‘পুরোটা হয়ে যাবে আমাদের’: ট্রাম্প
কিছুক্ষণ আগে ভোট শেষ হয়েছে পেনসিলভেইনিয়ায়, যে রাজ্যের ফল নিয়ে আলোচনা বেশ আগে থেকেই। ভোট শেষের কিছু আগে সে কথাই আবার যেন স্মরণ করিয়ে দিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
ভোটের রাতে ফিলাডেলফিয়ার রেডিও স্টেশন টক রেডিও এর একটি শোতে সাবেক প্রেসিডেন্ট বললেন, ”আমরা পেনসিলভেইনিয়ায় জিতলে, পুরো জয়টা আমাদেরই হবে।”
সেসময় কেন্দ্রের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের ক্রমাগত তার দিকে টানার চেষ্টায় তিনি একথাই বললেন।
মঙ্গলবারের ভোটে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে পেনসিলভেইনিয়াকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। এদিকে নজর সবার। এ অঙ্গরাজ্যে যে প্রার্থী জয় পাবেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক কোটি ১৩ লাখ বাসিন্দার বৃহত্তম এ রাজ্য ঐতিহাসিকভাবে ডেমোক্রেটদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখানে ১৯টি ইলেকট্রোরাল কলেজ ভোট রয়েছে।
তবে এবার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে জনমত জরিপগুলো আভাস দিয়ে আসছিল।
টক রেডিওতে শেষ মুহূ্র্তে নিজের পক্ষে টানতে ভোটারদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, “আমরা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে দেশকে আরও বড় জায়গায় নিয়ে যাব, এজন্য আরও কিছুক্ষণ লাইনে থাকুন। আপনাকে যাতে লাইনে দেরি করিয়ে দিতে না পারে খেয়াল রাখুন। এটাই আপনার আইনত অধিকার, ভেতরে গিয়ে ভোটটি দিন। কারণ, আমরা যদি পেনসিলভেইনিয়ায় জিততে পারি, পুরনো সেই দারুণ কমনওয়েলথে; মনে রাখবেন- আমরা পুরোটাই জিততে চলেছি। সবটা আমাদেরই হবে।”
তথ্যসূত্র: সিএনএন, বিবিসি।
06 Nov 2024, 08:05 AM
নিজ রাজ্য ফ্লোরিডাসহ ট্রাম্পের দখলে যেসব রাজ্য
নিজ রাজ্য ফ্লোরিডার ৩০ ইলেকটোরাল কলেজের ভোটসহ সাউথ ক্যারোলাইনা, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, ওকলাহোমা, মিসৌরি, টেনেসি ও অ্যালাবামা ও আরও কিছু রাজ্য মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১০৫টি ইলেকটোরালা কলেজ ভোট পেয়েছেন পাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প।
অপরদিকে ভারমন্ট, ম্যাসাচুসেটস, মেরিল্যান্ড ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ইলেকটোরাল কলেজ ভোটসহ এখন পর্যন্ত ৩০টি ভোট পেয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
06 Nov 2024, 07:50 AM
শুভ সকাল!
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে লাইভ আয়োজনে স্বাগত! সঙ্গে আছি আফসার বিপুল, রোকন রাকিব ও জাহিদুল কবির।
06 Nov 2024, 07:16 AM
পেনসিলভেইনিয়াসহ ১৬ রাজ্যে ভোট শেষ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দোদুল্যমান জর্জিয়া ও পেনসিলভেইনিয়াসহ ১৬টি রাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ঘণ্টাখানেক পর দোদুল্যমান আরও তিনটি রাজ্য উইসকনসিন, অ্যারিজোনা ও মিশিগানসহ এক ডজনেরও বেশি রাজ্যে ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ হবে।
06 Nov 2024, 07:06 AM
‘আগেই ভালো ছিলাম’
প্রাথমিক বুথফেরত জরিপে অংশ নেওয়া ভোটাররা গণতন্ত্র আর অর্থনীতির বিচার বিবেচনায় দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর প্রতি তাদের আস্থা রাখার যুক্তির কথা তুলে ধরেছিলেন। সেসব বিশ্লেষণে আরও নতুন তথ্য সামনে এসেছে।
বিশেষ করে নিজের পকেটের চেহারার দিকে তাকিয়ে তারা বলছেন, কার আমলে কতটা ভালো ছিলেন, বিশেষ করে আর্থিক সুযোগ সুবিধার দিক থেকে।
এই দুই পক্ষের মধ্যে বেশি ভোট টেনেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
বুথফেরত জরিপে অংশ নেওয়া তিন চতুর্থাংশ ভোটার যারা ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন-তারা বলছেন, তারা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ২০২০ সালের তুলনায় এখন জঘন্য অবস্থায় আছেন। ১০ জনের মধ্যে একজনের কম বলেছেন, এখন তারা ভালো আছেন। ২০২০ সালে ক্ষমতায় ছিলেন ধনকুবের ট্রাম্প।
অপরদিকে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে ব্যালটের মাধ্যমে সমর্থন জানানো ১০ জনের মধ্যে ৪ জন বলেছেন, তারা এখন ভালো সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
মূল্যস্ফীতির উত্তাপে কীভাবে ভুগতে হয়েছে তা নিয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মতের বিভেদও উল্লেখযোগ্য।
ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া এক তৃতীয়াংশ বলছেন, মূল্যস্ফীতির কারণে তিনি ও তার পরিবার চরম দৈন্যের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। আর কমলাকে জয়ী করতে চাওয়াদের মধ্যে ১০ জনের একজন বলছেন তারা এখন উচ্চমূল্যের কারণে দুর্দিনে পড়েছেন।
দুই পক্ষের ভোটারদের মধ্যে, দুই তৃতীয়াংশ মনে করেন জাতীয় অর্থনীতি ‘খুব ভালো নেই’ বা খারাপ; এর বিপরীতে ট্রাম্পের সমর্থকরা এ সূচকের সবচেয়ে খারাপ অপশনটিতে টিক দিয়েছেন।
বুথফেরত জরিপে এর আগের তথ্য বলছিল, গণতন্ত্রের জন্য তারা কমলা হ্যারিসের পক্ষ নিয়েছেন। অপরদিকে অর্থনীতির কথা ভেবে ট্রাম্পকে বেছে নিতে ভোট দেওয়ার কথা বলেন অন্যরা।
তথ্যসূত্র: বিবিসি।
06 Nov 2024, 06:58 AM
জর্জিয়ায় আরও বোমার হুমকি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দোদল্যুমান রাজ্য জর্জিয়ায় আরও বোমার হুমকির খবর পাওয়া গেছে।
রাজ্যটির ডিকালব কাউন্টির পুলিশ আরও সাতটি ভোটকেন্দ্র এলাকায় বোমা হামলার হুমকির তথ্য পেয়েছে। ডিকালব কাউন্টি কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠ। ২০২০ সালে এই রাজ্যে জয় পেয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।
সূত্র: বিবিসি
06 Nov 2024, 06:38 AM
বুথফেরত জরিপ: হ্যারিসের (৩৬%) চেয়ে এগিয়ে ট্রাম্প (৪৭%)
দোদুল্যমান রাজ্যে বুথফেরত জরিপের প্রাথমিক একটি তথ্য অনেকটা এগিয়ে রাখছে কমলা হ্যারিসকে। সাবেক প্রেসিডেন্টের চেয়ে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্টে বেশিরভাগ তাদের আস্থা রাখছেন আচরণগত দিক বিবেচনায়।
এক্ষেত্রে তারা ’কট্টর’ বিষয়টিকে মানদণ্ড হিসেবে নিজেদের যুক্তি হিসেবে হাজির করেছেন। এ হিসাবের তথ্যের বিচারে ট্রাম্পের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে হ্যারিস।
ভোটদাতা ৪৭ শতাংশ বলছেন, ট্রাম্প খুবই কট্টর। আর ভোট দিয়ে আসাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হ্যারিসের ক্ষেত্রে এমনটা মনে করছেন।
06 Nov 2024, 06:21 AM
সুইং স্টেট জর্জিয়াসহ কয়েকটি রাজ্যে ভোট শেষ
যুক্তরাষ্ট্র্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সুইং স্টেট জর্জিয়াসহ কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, দক্ষিণ ক্যারোলিনা, ভারমন্ট, ভার্জিনিয়ায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটের ফলে এর মধ্যে কেনটাকি ও ইন্ডিয়ানা ট্রাম্পের দখলে। আর ভারমন্টে জয় হ্যারিসের।
06 Nov 2024, 06:18 AM
ভোটের হাওয়া: ট্রাম্পের মিডিয়া কোম্পানির শেয়ারে উথাল-পাতাল
ভোটাররা যখন ডনাল্ড ট্রাম্পের ভাগ্য নির্ধারণে ব্যস্ত সেই সময়ে পুঁজিবাজারেও অস্থির সময় পার করছে সাবেক প্রেসিডেন্টের কোম্পানির শেয়ার।
ব্যাপক ওঠানামার মধ্যে ট্রাম্পের মিডিয়া কোম্পানির শেয়ার দুই দফা হল্ট হয়েছে; সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে। এরপরই আবার দরপতনের ধাক্কা লাগে।
ভোটের দিন সকালে লেনদেনের এক সময় ১৭ শতাংশ দর বাড়ে। তবে তা ধরে রাখতে পারেনি, দ্রুতই দাম পড়ে যায়। পরে অবশ্য হারানো দর কিছুটা ফিরে পেয়ে দিন শেষে ৪ শতাংশ বাড়ে।
বিশ্লেষকরা এদিন শেয়ারটির এমন ওঠানামার ঠিক ব্যাখ্যা দিতে না পারলেও বিক্রির চাপ ও ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে ট্রাম্পের জয়ী হওয়া কিংবা হেরে হাওয়ার আশঙ্কার কথা বলছেন।
তাদের ভাষ্য, ট্রাম্প আবার নির্বাচিত হতে পারেন এমন ভাবনায় বিনিয়োগকারীরা এটিতে বিনিয়োগ করেছেন। দ্বিতীয়বারের মত প্রেসিডেন্ট হলে ট্রুথ গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে বলে তাদের ধারণা। দাম কমে যাওয়ার পেছনে এর বিপরীত ভাবনা কাজ করে থাকতে পারে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে গত কয়েকদিনে তড়তড়িয়ে বাড়তে দেখা যায় ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপের (ডিজেটি) শেয়ারদর। ভোটের আগের দিন সোমবার দর বাড়ে ১২ শতাংশ। এ কোম্পানির অধীনেই রয়েছে ট্রাম্পের নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল।
তবে ভোট যত এগিয়ে আসে এ শেয়ারের দরে ততই অস্থিরতা দেখা যায়। সোমবার দাম বাড়ার আগের তিন দিনে যেখানে ৪১ শতাংশ দরপতন হয়, এর আগের পাঁচ সপ্তাহে শেয়ারটির দাম বেড়ে চারগুণ হয়।
কয়েকদিন আগে বাজারমূল্যে ট্রুথ ছাড়িয়ে যায় এক্সকে। কোম্পানিটি গত মার্চে পুঁজিবাজারে আসার পর থেকে এর শেয়ারদর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
টুইট নিয়ে বিতর্কের জেরে আগের টুইটার কর্তৃপক্ষ (বর্তমানে এক্স) ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিলে তিনি ২০২১ সালে ট্রুথ সোশাল খোলেন।
এদিকে ভোটের দিন ওয়ালস্ট্রিটে ইতিবাচক হাওয়া বইতে দেখা গেছে। দেশটির প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচকে দিনের বড় সময়জুড়ে ঊর্ধ্বমুখী থাকতে দেখা যায়। তবে দিনের কিছু সময় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা ছুয়ে যায় সূচকের ওঠানামায়।
তথ্যসূত্র: সিএনএন, বিবিসি।
06 Nov 2024, 06:02 AM
বুথফেরত জরিপে যা বলছে
এবারের ভোটারদের তিন ভাগের মধ্যে দুই ভাগ দৃঢ় কণ্ঠে বলছেন, এ বছরের নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল, স্বচ্ছতাও কমতি ছিল না। যথাযথভাবেই ভোট হয়েছে বলে তারা সিএনএন এর প্রাথমিক বুথফেরত জরিপে অংশ নিয়ে তথ্য দিয়েছেন। তবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত একেক জনের কাছে একেক রকম।
নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করেন এমন ১০ ভোটারের মধ্যে ৯ জন বলছেন, তাদের প্রার্থী জিতবে বলে তারা আত্মবিশ্বাসী। অপরদিকে ট্রাম্পের সর্মথকদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা অর্ধেক, অর্থাৎ ১০ জনের মধ্যে ৫ জনের গলায় জোর ছিল বেশি।
গড়পড়তা হিসাবে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তিন চতুর্থাংশ মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে। বাকি ভোটাররা মনে করছেন গণতন্ত্র সুরক্ষিত ও সঠিক পথেই রয়েছে। ১০ জনের মধ্যে ৪ জন বলছেন, গণতন্ত্র খুবই বিপদের মধ্যে রয়েছে।
অরদিকে বড় সংখ্যক ভোটারের ধারণা, ১০ জনের মধ্যে ৭ জন নির্বাচনকেন্দ্রীক সহিংসতা নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত।
সিএনএন বুথফেরত জরিপের অংশ হিসেবে হাজারো ভোটদাতাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তাদের মধ্যে কেন্দ্রে গিয়ে যারা ভোট দিয়েছেন তারা যেমন আছেন, তেমনি অনলাইনে বা অগ্রিম ভোটদাতারাও রয়েছেন।
06 Nov 2024, 05:49 AM
‘৬ জানুয়ারি ভুলতে পারি না’, টেক্সাসে হ্যারিসকে ভোট রিপাবলিকানের
চাক সুদারল্যান্ড, যিনি পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক এবং সেইসঙ্গে টেক্সাসের নিবন্ধিত একজন রিপাবলিকানও। সিএনএন-কে ভোটের দিন তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে ভোটের প্রশ্নে তার পছন্দ খুবই স্পষ্ট। আর এই পছন্দের প্রার্থী হচ্ছেন, কমলা হ্যারিস।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের দাঙ্গার ঘটনার কথা উল্লেখ করে এই রিপাবলিকান ভোটার বলেন, “আমি সেই ৬ জানুয়ারি ভুলতে পারি না। ওই ঘটনা ঘটার সময় তা আমার মনে গেঁথে গেছে।”
সেকারণে আর ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার কথা ভাবতে পারেননি বলে জানান তিনি। তাছাড়া, হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার আরও একটি কারণ জানিয়েছেন চাক সুদারল্যান্ড। বলেছেন, তার চার মেয়ে আছে। তাদের প্রজননের স্বাধীনতা ও অধিকারের কথা ভেবে তিনি হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
06 Nov 2024, 05:47 AM
আরো যা যা পড়ার আছে
-
যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন: নেটো-ইউক্রেইন যুদ্ধে প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউরোপ
-
হিসপ্যানিক পুরুষ সমর্থনে এগিয়ে ট্রাম্প, শ্বেতাঙ্গ নারীতে হ্যারিস
-
যুক্তরাষ্ট্রে ভোটকেন্দ্রগুলো কতটা নিরাপদ? কর্মীরা হুমকি পাচ্ছে
-
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন: অর্থনীতির প্রশ্নে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন বাইডেনপন্থি ভোটাররা
06 Nov 2024, 05:39 AM
ভোটের দিন বাইডেন কোথায়?
এবারের নির্বাচন করার কথা ছিল তারই। প্রচারণাতেও নেমেছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট। তবে মাঝপথে সবাইকে চমকে দিয়ে জায়গা ছেড়ে দেন তার ভাইস প্রেসিডেন্টকে। তো, ভোটের দিন কোথায় থাকছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন? তাকে কি প্রকাশ্যে দেখা যাবে এদিন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর বলছে, ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ও সহযোগীদের নিয়ে বাইডেন ভোটের দিন ও রাতে হোয়াইট হাউসেই থাকবেন। সেখান থেকেই নির্বাচনি ফলাফল দেখবেন।
মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি নেই। তার প্রেস সচিবসহ অন্যদের অন্যদিনগুলোর মত নিয়মিত ব্রিফিংয়ের জন্য ব্যস্ততা দেখাতে দেখা যাবে না।
দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস-ওয়ালজের পক্ষে ভোটের প্রচারণায় গত শনিবার তাকে সবশেষ প্রকাশ্যে দেখা যায়। সেদিন পেনসিলভানিয়ার স্ক্রানটনে প্রচারণায় বক্তব্য দেন তিনি।
এরপর চলে যান নিজ রাজ্য ডেলাওয়্যারের উইলমিংটনের বাড়িতে। নির্বাচনের আগের দিন সোমবার হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন।
06 Nov 2024, 05:33 AM
ভোট গ্রহণ শেষ ইন্ডিয়ানা ও কেন্টাকিতে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে প্রথম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ানা ও কেন্টাকিতে।
06 Nov 2024, 05:18 AM
বুথফেরত জরিপ যা বলছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার গণতন্ত্র আর অর্থনীতির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় নিয়ে ভোট দিয়েছেন মার্কিন নাগরিকরা। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের বেশিরভাগের কাছেই এ দুটি বিষয় ছিল সবার আগে।
ভোট দেওয়ার পরে কেন্দ্র থেকে বের হওয়া ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদমাধ্যম সিবিএস। ভোটাররা কোন বিষয়কে মাথায় রেখে কাকে ভোট দিয়েছেন, আর তাতে কার পাল্লা ভারী হচ্ছে, সেটি জানার চেষ্টা চলছে এখন।
এক্সিট পোলে সিবিএস দেখেছে, হ্যারিসকে যারা ভোট দিয়েছেন, তারা গণতন্ত্রের দিকেই বেশি ঝুঁকেছেন। আর অর্থনীতির প্রশ্নে ট্রাম্পের দিকেই ঝুঁকেছেন বেশিরভাগ।
হ্যারিসের ভোটাদের মধ্যে-
. প্রতি দশজনে ছয়জন গণতন্ত্রকে প্রধান ইস্যু হিসেবে দেখেছেন।
. প্রতি পাঁচজনে একজনের কাছে গর্ভপাত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
. অর্থনীতিকে বেছে নিয়েছেন প্রতি দশজনে একজন।
ট্রাম্পের ভোটারদের মধ্যে-
. অর্ধেক বলেছেন অর্থনীতি তাদের এক নম্বর সমস্যা।
. অভিবাসন ইস্যু বড় দেখেছেন প্রতি পাঁচজনে একজন।
. প্রতি দশজনের মধ্যে একজন বলছেন, গণতন্ত্র সম্পর্কে তারা সবচেয়ে বেশি যত্নশীল।
সূত্র: বিবিসি
06 Nov 2024, 04:59 AM
হোয়াইট হাউজ জয়ের সম্ভাব্য পথরেখা
06 Nov 2024, 04:29 AM
সবার আগে ফল মেনে নেব, যদি...
২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে এবারের নির্বাচনে বলছেন- ভোটের ফলাফলকে তিনি চ্যালেঞ্জ করবেন না, যদি ভোট সুষ্ঠু হয়।
তার ভাষ্য, “যদি এটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে আমিই সবার আগে ফল মেনে নেব।”
যদিও তার কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের মানদণ্ড কী, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি।
এও বলছেন, নির্বাচনে হেরে গেলে সমর্থকদের ‘সহিংসতার ব্যাপারে’ বিরত থাকতে বলার কোনো পরিকল্পনাও তার নেই; কারণ তারা ‘সহিংস লোক’ নয়।
সূত্র: এপি
06 Nov 2024, 04:11 AM
ট্রাম্পের ওয়াচ পার্টিতে থাকবেন মাস্ক
ভোটের দিনের সন্ধ্যায় ডনাল্ড ট্রাম্প তার মার-এ-লাগো রিজোর্টে ওয়াচ পার্টির আয়োজন করেছেন। পরিবার এবং অল্প কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের পাশাপাশি সেই পার্টিতে রিপাবলিকান প্রার্থীর সঙ্গী হবেন টেসলার বস ইলন মাস্ক।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল হোয়াইট হাউজে বসে ভোটের ফল দেখবেন টেলিভিশনে।
06 Nov 2024, 03:56 AM
হঠাৎ ডিএনসি সদরদপ্তরে হ্যারিস
06 Nov 2024, 03:38 AM
ট্রাম্প না হ্যারিস? এআই যা বলছে
06 Nov 2024, 03:29 AM
ভোট দিলেন ইলন মাস্ক
Just voted in Cameron County, Texas, home of Starbase! pic.twitter.com/dE8oRGlI4p
— Elon Musk (@elonmusk) November 5, 2024
06 Nov 2024, 03:23 AM
বোমার ভুয়া হুমকি ‘রাশিয়া থেকে’: এফবিআই
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট চলাকালে কিছু জায়গায় বোমার ভুয়া হুমকি খবর পাওয়া গেছে, যেগুলো রাশিয়ান ডোমেইনের ইমেইল থেকে এসেছে বলে এফবিআই জানিয়েছে।
তদন্ত সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “হুমকির কোনোটিই এখন পর্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য নয়।”
06 Nov 2024, 03:14 AM
হ্যারিসের জন্য ৪টি ভোট: টিম ওয়ালজ
4 votes for @KamalaHarris!
— Tim Walz (@Tim_Walz) November 5, 2024
If you've already voted, make sure your family and friends do the same. https://t.co/uyNRZrYcpq pic.twitter.com/izcQMYqq1N
06 Nov 2024, 03:03 AM
সব জল্পনার মোড় ঘুরে যেতে পারে যেখানে
ছবি: বিবিসি
06 Nov 2024, 02:52 AM
ভোটদানে বাড়তি সময় কিছু জায়গায়
ভোট কেন্দ্র দেরিতে খোলার কারণে পেনসিলভানিয়ার লুজারনে কাউন্টিতে ভোট দানের সময় দেড় ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে জর্জিয়ার কব কাউন্টির দুটি ভোট কেন্দ্র বেশি সময় খোলা রাখার সুযোগ দেওয়া হয়। ওই কেন্দ্র দুটিতেও দেরিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল।
06 Nov 2024, 02:47 AM
ইলেকটোরাল কলেজ কাজ করে কীভাবে
06 Nov 2024, 02:36 AM
ভোট দিলেন মহাকাশচারীরাও
It doesn’t matter if you are sitting, standing, or floating - what matters is that you vote! pic.twitter.com/olRTOpIozp
— Nick Hague (@AstroHague) November 5, 2024
06 Nov 2024, 02:24 AM
ফিরে দেখা: এ পর্যন্ত যা যা ঘটেছে
• সব মার্কিন অঙ্গরাজ্যে ভোটগ্রহণ চলছে, সবশেষে যুক্ত হয়েছে হাওয়াই।
• ডনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডার পাম বিচে ভোট দিয়েছেন, তার স্ত্রী মেলানিয়াও সঙ্গে ছিলেন। সেখানে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, "আমরা খুব ভালো করছি।"
• কমলা হ্যারিস নিজের ভোট দিয়েছেন আগেই। গত সপ্তাহে ডাকযোগে ভোট দেওয়ার কাজটি তিনি সেরে ফেলেছেন।
• পেনসিলভেইনিয়ার ক্যামব্রিয়া কাউন্টিতে ভোটকেন্দ্রে কারিগরি জটিলতার খবর এসেছে। সফটওয়্যারে সমস্যার কারণে সাময়িকভাবে ভোট বন্ধ থাকায় ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানো হয়েছে।
• জর্জিয়ায় অঙ্গরাজের পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে বোমা থাকার ভুয়া খবর ছড়ায়। এর মধ্যে দুটি কেন্দ্র সরিয়ে নেওয়া হয় অন্য জায়গায়।
• জর্জিয়ার সেক্রেটারি অফ স্টেট প্রেসকে বলেছেন যে রাশিয়া থেকে হুমকি এসেছে।
• জরিপ বলছে, গুরুত্বপূর্ণ স্টেট পেনসিলভেইনিয়ায় এগিয়ে আছেন কমলা হ্যারিস। উইসকনসিন ও মিশিগানেও তিনি এগিয়ে আছেন সামান্য ব্যবধানে।
• অন্যদিকে ট্রাম্প নেভাডা, জর্জিয়া, উত্তর ক্যারোলাইনা ও অ্যারিজোনায় সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
06 Nov 2024, 01:57 AM
ভুয়া ভিডিও নিয়ে ফের এফবিআইয়ের সতর্কতা
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে ভুয়া ভিডিও প্রচারের বিষয়ে আবার সতর্ক করেছে দেশটির ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
অনলাইনে এসব ভুয়া ভিডিও ছড়ানোর তথ্য দিয়ে সংস্থাটি বলেছে, এগুলোতে ভোটারদের মধ্যে সংশয় তৈরি করতে কেন্দ্রে বোমা হামলার হুমকি এবং কারচুপির বিষয়ে নানান তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোটের দিন এফবিআই বলেছে, এমন দুটি ‘অপ্রমাণিত’ ভিডিওতে দেখা গেছে ভোটকেন্দ্রে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার হুমকি থাকার বিষয়ে তুলে ধরে ভোটারদের ‘রিমোটলি’ ভোট দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভিডিওতে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর কারগারগুলোতে ভোট নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগও করা হয়েছে।
ভিডিওগুলো এমনভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে, যাতে একটি এফবিআইর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং আরেকটি সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনের মত করে প্রচার করা হচ্ছে। তবে এগুলো এক্স প্ল্যাটফর্মে খুব বেশি ভিউ পায়নি।
এর আগে ২০১৬ ও ২০২০ সালের নির্বাচনেও অনলাইনে ভুয়া তথ্য প্রচারের বিষয়টি সামনে এসেছিল। তখন আলোচনায় এসেছিল রাশিয়ার তৎপরতা, অভিযোগ উঠেছিল দেশটির হস্তক্ষেপ নিয়ে।
এবারের ভিডিও দুটি নিয়ে এফবিআই বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নিচু করে দেখাতে এবং নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আস্থা নষ্ট করতে এসব ভিডিও ছাড়া হয়েছে।
সিবিএস নিউজ তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বলেছে, তাদের নাম ব্যবহার করে যে ভিডিও প্রচার করা হয়েছে তাতে সিবিএসের লোগোটি ‘ভুয়া’।
বিবিসি যাচাই করে দেখেছে, ভিডিও দুটি আগে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একের পর এক প্রচার করা শত শত ভুয়া ভিডিওর মত দেখতে, যেগুলো রাশিয়াভিত্তিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছিল।
06 Nov 2024, 01:40 AM
রিপাবলিকানদের মামলা খারিজ: মিজৌরি-টেক্সাসে ঢুকবে পর্যবেক্ষক
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান- নেতৃত্বাধীন কিছু রাজ্য কেন্দ্রীয় বিচার বিভাগের নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টায় মামলা করে ব্যর্থ হয়েছে। মামলা খারিজ করে বিচারক ওই রাজ্যগুলোতে পর্যবেক্ষকদের ঢোকার পক্ষে রায় দিয়েছে।
ফ্লোরিডা ও টেক্সাসের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তারা কেন্দ্রীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকদেরকে নির্বাচনের দিন মঙ্গলবার রাজ্যে ঢুকতে দেবেন না। মিজৌরি এর আগের দিনই পর্যবেক্ষকদের প্রবেশ ঠেকাতে আদালতে ফেডারেল আদালতে মামলা করে।
এরপর একইরকম মামলা করে টেক্সাসও। এ মামলার মধ্য দিয়ে ভোটের দিনে কোনরকম অনিয়মের বিষয়টি নজরে রাখার কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের কর্মসূচি আটকে দেওয়ার চেষ্টা চালায় রাজ্যগুলো।
কিন্তু ফেডারেল আদালতের বিচারক সোমবারেই সন্ধ্যায় মিজৌরির মামলা খারিজ করে বলেছেন, তিনি সেন্ট লুইসের ভোটকেন্দ্রগুলোতে পর্যবেক্ষক পাঠানোয় মার্কিন বিচার বিভাগকে বাধা দেবেন না।
ওদিকে, টেক্সাসের মামলায়ও মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট জাজ ম্যাথিউ মঙ্গলবার পর্যবেক্ষকদের রাজ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে কোনও আদেশ দেননি। তবে পর্যবেক্ষকদের যেন ভোটকেন্দ্রের বাইরে রাখা হয় সেটি নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।
টেক্সাসের রিপাবলিকানরা বিচার বিভাগকে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কেন্দ্রীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক মোতায়েন ঠেকাতেও আলাদা একটি মামলা করেছিল।
পরে রাজ্য কর্মকর্তারা জানান, তারা পর্যবেক্ষকদের ভোটকেন্দ্রের বাইরে রাখতে বিচার বিভাগের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছেছেন।
ডিস্ট্রিক্ট জাজ ম্যাথিউ এই চুক্তিই নিশ্চিত করার আদেশ দেন বিচার বিভাগকে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত সপ্তাহেই নির্বাচনের দিন ২৭ টি রাজ্যে নির্বাচন পর্যবেক্ষক মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছিল।
06 Nov 2024, 01:22 AM
ভোটের মধ্যে মিশিগানে গ্রেপ্তার ২
ভোটের জন্য হুমকি তৈরি করতে পারেন, এমন সন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআই এজেন্টরা।
এর মধ্যে এক সন্দেহভাজনের ‘সংযোগ রয়েছে’ ডনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে।
আইজ্যাক সিসেল নামে ওই ব্যক্তি স্যোশ্যাল কনটেন্ট রেটিং ওয়েবসাইট ‘রেডিট’ এ ‘স্যুট আপ ট্রাম্প র্যালি’ নামে পোস্ট করেছিলেন। তদন্তকারীদের বলেছেন, ‘ট্রাম্প মারা গেলে সবকিছুই ভালো হত’।
মঙ্গলবার আরেকটি ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৬ বছর বয়সী ক্রিস্টোফার ক্লে পিয়ার্সের বিরুদ্ধে গত দুই বছর ধরে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে যুক্ত একটি ‘অজ্ঞাত রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটির’ (পিএসি) বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পিয়ার্সকে এর আগে সতর্কও করেছিল এফবিআই। বলেছিল, অনলাইনে হুমকি ছড়ানো অব্যাহত রাখলে তাকে অপরাধে অভিযুক্ত করা হবে।
সূত্র: বিবিসি
06 Nov 2024, 01:16 AM
এ পর্যন্ত যেমন ভোট পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রে ভোটের দিনে সব রাজ্যেই এ পর্যন্ত ভালোভাবেই চলেছে ভোটগ্রহণ। কেবল কোনও কোনও জায়গায় ভোটিং মেশিনে সমস্যার কারণে সামান্য বিলম্ব ছাড়া আর তেমন কোনও ব্যাত্যায় ঘটেনি।
৪৮ টি রাজ্য এবং ওয়াশিংটন ডি সি থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ভোট দিয়েছে ৮ কোটির বেশি মানুষ।
পেনসিলভেইনিয়া এবং ফ্লোরিডায় দ্রুতই ব্যালট গণনা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ‘রাতে মানুষ ঘুমাতে যাওয়ার আগেই ফ্লোরিডার ভোটের ফল জানা যাবে’, বলেছেন রাজ্যটির সেক্রেটারি অব স্টেট কর্ড বায়ার্ড। ফিলাডেলফিয়ার সিটি কমিশনার সিএনএন-কে বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালের তুলনায় এবার ভোট গণনা আরও দ্রুত হবে। বুধবার দুপুরের মধ্যভাগেই গণনা শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
06 Nov 2024, 12:54 AM
১০ রাজ্যের ব্যালটে এবার আছে গর্ভপাত ইস্যু
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনি প্রচারে এবার অভিবাসনকে ছাড়িয়ে আগেই ভোটারদের মনে স্থান করে নিয়েছিল গর্ভপাতের বিষয়টি। এবারে দেশের রাজ্যগুলোর কিভাবে গর্ভপাতের বিষয়টি সামাল দেওয়া উচিত সে বিষয়ে ভোটারদের রায় জানতে ১০ রাজ্যের ব্যালটে যুক্ত করা হয়েছে বহুল আলোচিত এই ইস্যু।
রাজ্যগুলো হল: মন্টানা, অ্যারিজোনা, মিজৌরি, নেব্রাস্কা, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, মেরিল্যান্ড, নেভাডা, নিউ ইয়র্ক ও সাউথ ডাকোটা। এসব রাজ্যের ভোটাররা ব্যালটের মাধ্যমে তাদের রায় জানাবেন।
06 Nov 2024, 12:31 AM
ভোট দেওয়ার আহ্বান হ্যারিসের
মার্কিন নাগরিকদের ঘরে বসে না থেকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
ভোটের দিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় একটি রেডিও স্টেশনে সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, “আমাদের এটি (ভোট) শেষ করতে হবে। আজকে ভোটের দিন। লোকজনের বাইরে আসা এবং তৎপর হওয়ার দরকার।”
সূত্র: বিবিসি
06 Nov 2024, 12:02 AM
বেশি ভোট পেয়েও হারতে হতে পারে
ইতোমধ্যে আট কোটির বেশি ভোটার আগাম ভোট দিয়ে দেওয়ায় এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন বিশ্লেষকরা। তবে সারা দেশে মোট ভোটে এগিয়ে থাকা প্রার্থীকেও পরাজয় মেনে নিতে হতে পারে মার্কিন নির্বাচন পদ্ধতির কারণে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পরাজয় নির্ধারিত হয় ইলেকটোরাল ভোটের হিসাবে। মঙ্গলবার যে ভোট দেওয়া হচ্ছে, তাতে প্রতিটি রাজ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেকটর নির্বাচিত হবেন। আর পুরো দেশের অর্ধেকের বেশি ইলেকটরের সমর্থন বা ইলেকটোরাল ভোট যে প্রার্থী পাবেন, তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি নিশ্চিত করতে হবে।
এক একটি রাজ্যে ইলেকটরের সংখ্যা একেকরকম। এটি নির্ধারিত হয় কংগ্রেসে রাজ্যের কতোজন প্রতিনিধি ও সিনেটর আছেন তার বিচারে। জনসংখ্যার ওপর রাজ্যগুলোর প্রতিনিধির সংখ্যা নির্ভর করে, প্রতি ১০ বছর পর পর আদমশুমারির মাধ্যম এটি নির্ধারণ করা হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৪টি, টেক্সাসে ৪০, ফ্লোরিডায় ৩০টি, নিউ ইয়র্কে ২৮টি, পেনসিলভেইনিয়া ও ইলিনয়ে ১৯টি করে এবং ইলেকটোরাল ভোট আছে। আবার ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় আছে ৩টি।
নেব্রাস্কা ও মেইন বাদে বাকি সব রাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন ‘উইনার টেইক অল’ পদ্ধতিতে সেখানকার সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোটও তিনিই পাবেন। নেব্রাস্কা ও মেইনে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ইলেকটোরাল ভাগ করে দেওয়া হয়।
এখন মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ২৭০টি পেয়ে গেলেই একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন। আবার মোট ভোটের হিসেবে সারা দেশে বেশি ভোট পেয়েও ইলেকটোরাল ভোটে হেরে যেতে পারেন একজন প্রার্থী।
গত ছয় নির্বাচনের মধ্যে দুটোতে মোট ভোটে কম পেয়েও ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জর্জ ডাব্লিউ বুশ ও ডনাল্ড ট্রাম্প।
২০১৬ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, যদিও তিনি মোট ভোটের হিসাবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে ৩০ লাখ ভোট কম পেয়েছিলেন।
তার আগে ২০০০ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডাব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ২৭১টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে, যদিও মোট ভোটে তার চেয়ে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ভোট বেশি পেয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর।
সর্বশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন আট কোটি ১২ লাখের বেশি পপুলার ভোট পেয়েছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পাওয়া সর্বোচ্চ ভোট। এর বিপরীতে রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছিলেন সাত কোটি ৪২ লাখের বেশি ভোট।
05 Nov 2024, 11:49 PM
ব্লগ পর্বে পালাবদল
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে লাইভ ব্লগে স্বাগতম! এখন আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি ফারুক হোসেন ও রুহুল আমিন রানা।
05 Nov 2024, 11:33 PM
ভোটের দিনে ট্রাম্পের এক্স পোস্ট
It is now officially ELECTION DAY! This will be the most important day in American History.
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) November 5, 2024
Voter enthusiasm is THROUGH THE ROOF because people want to Make America Great Again. That means lines are going to be long!
I need you to deliver your vote no matter how long it takes.…
05 Nov 2024, 11:27 PM
জয়ে ‘আত্মবিশ্বাসী’, ভোট দিয়ে বললেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ফ্লোরিডার পাম বিচের ভোটকেন্দ্রে মাত্রই ভোট দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়াও।
মাথায় লাল ক্যাপ দেওয়া ট্রাম্প গণমাধ্যমে তার ভোট দেওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী বোধ করছি।” ভোটকেন্দ্রে ভোটারের দীর্ঘ সারি দেখে ‘সম্মানিত’ বোধ করছেন বলেও জানান তিনি।
মিশিগানে গতরাতের শেষ প্রচারের পর অনেক রাত করে ফিরেছেন জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “শুনেছি, আমরা ভোটে ভাল করছি।”
05 Nov 2024, 11:24 PM
৯ নির্বাচনের ফলের সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করা অধ্যাপকের ‘রায়’
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ ১০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যে ৯টিতে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করা একজন ইতিহাসের অধ্যাপকের বিশ্বাস হোয়াইট হাউজে যাওয়ার চাবিটি যাবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের হাতে।
তবে জনমত জরিপগুলোতে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী হ্যারিসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে।
অধ্যাপক অ্যালেন লিকম্যানের পদ্ধতি, যাকে ‘হোয়াইট হাউজের চাবি’ বলা হয়, সেখানে জরিপের তোয়াক্কা করা হয় না। তার বদলে কে হতে পারেন সফল প্রার্থী তা বের করতে সংগ্রহ করা তথ্যগুলো ১৩টি মাপকাঠি বিবেচনা করা হয়।
সিএনএনকে প্রফেসর লিকম্যান বলেন, “কেন আমি নিশ্চিত যে হ্যারিস জিততে যাচ্ছেন? কারণ জরিপ শুধু সম্ভাবনার কথা বলে আর আমার পদ্ধতি জরিপ উপেক্ষা করে।”
২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের জয়ের সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করা এই অধ্যাপক জরিপগুলোকে ‘তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করা’ বর্ণনা করে বলেন, “জনগণ জরিপকারীদের প্রশ্নে সাড়া দেয় না, তারা মিথ্যা বলে, তারা তাদের মন পরিবর্তন করে আর সম্ভাব্য ভোটার কারা তা তাদের অনুমান করতে হয়।”
অধ্যাপক লিকম্যান ১৯৮০ দশকে রুশ ভূতত্ত্ববিদ ভ্লাদিমির কিলিস-বোরাকের সঙ্গে মিলে পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করেন। তার এই পদ্ধতিতে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের দলের ওপর চোখ রেখে ১৩টি সত্য-মিথ্যা বিবৃতির মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করা হয়।
যদি এগুলোর মধ্যে ছয়টি বা তারও বেশি বিবৃতি মিথ্যা হয়, তাহলে বিরোধীদলীয় প্রার্থী- এই ক্ষেত্রে জনাব ট্রাম্প- জয় পাবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়।
লিকম্যানের পদ্ধতি এখন দেখাচ্ছে ১৩টি বিবৃতি বা চাবির মধ্যে আটটি হ্যারিসের পক্ষে আর তিনটি তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষে আছে।
শুধু ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অধ্যাপক লিকম্যানের এই পদ্ধতি সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেনি। সেবার ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে পাঁচটি বিবৃতি মিথ্যা হয়েছিল, তাই লিকম্যানের অনুমান ছিল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর জয়ী হবেন।
গোর পপুলার ভোটে জিতলেও নির্বাচনের ৩৬ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশকে জয়ী ঘোষণা করেন।
তথ্যসূত্র: স্কাই নিউজ
05 Nov 2024, 11:05 PM
ট্রাম্পের রানিং মেট ভোট দিলেন ওহাইওতে
রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের রানিং মেট জে ডি ভ্যান্স ভোট দিয়েছেন ওহাইও অঙ্গরাজ্যে।
মঙ্গলবার সিনসিনাটির সেন্ট অ্যান্থনি অব পাদুয়া গির্জার কেন্দ্রে ভোট দেন রিপাবলিকান পার্টির এই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। স্ত্রী ও সন্তানরাও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
ভোট দেওয়ার পর জে ডি ভ্যান্স সাংবাদিকদের বলেন, “বেশ ভালো লাগছে। নির্বাচনী লড়াইটা উপভোগ করছি।”
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
05 Nov 2024, 10:43 PM
হাতি বনাম গাধা
হাতি না গাধা। কে জিতবে এ লড়াইয়ে? এটাই এখন পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।
এই প্রশ্নের উত্তরই ঠিক করে দেবে আগামী চার বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শাসনভার কার হাতে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচনী প্রতীক গাধা, আর রিপাবলিকান পার্টির হাতি। এবারের নির্বাচনে গাধা প্রতীক নিয়ে কমলা হ্যারিস এবং হাতি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হাতি-গাধা কোথা থেকে এল?
যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান দলের শতাব্দী প্রাচীন প্রতীকের উত্থান ১৮০০ সালের দিকে, যখন গণমাধ্যমে রাজনৈতিক কার্টুন নিয়ে চর্চা ও বিশ্লেষণ হত আমজনতার মধ্যে। কার্টুনের মাধ্যমে রাজনৈতিক বার্তার সঙ্গে থাকত কৌতুকের চমক।
প্রেসিডেন্ট এন্ড্রু জ্যাকসন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম প্রেসিডেন্ট (১৮২৯-১৮৩৭)। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে ‘জ্যাকঅ্যাস’, অর্থাৎ গাধা বলে ডাকত। জ্যাকসন নামটি পছন্দ করেন এবং গাধাকে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বেছে নেন। যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের অবসানের পর ডেমোক্র্যাট দলীয় অন্য প্রার্থীদেরও প্রতীক হয়ে ওঠে গাধা।
একই সময়ে একজন কার্টুনিস্ট হাতিকে রিপাবলিকানদের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন। ওই সময় প্রশাসনের নানা কেলেঙ্কারিতে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি ওই প্রতীকের কথা চিন্তা করেছিলেন। এরপর অন্য কার্টুনশিল্পীরাও ওই প্রতীক লুফে নেন।
সেই থেকে মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের নির্বাচনী প্রতীক গাধা আর রিপাবলিকানদের নির্বাচনী প্রতীক হাতি।
05 Nov 2024, 09:53 PM
ট্রাম্প-হ্যারিস যিনিই জিতুন, হবে ইতিহাস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটি প্রার্থী কমলা হ্যারিস কিংবা রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প যিনিই জিতুন না কেন তা দেশটিতে ইতিহাস রচনা করবে।
হ্যারিস জয়ী হলে তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী, কৃষ্নাঙ্গ এবং এশিয়ান-আমেরিকান প্রেসিডেন্ট। আর সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জয়ী হলে তিনি হবেন দেশের ইতিহাসে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া প্রথম প্রেসিডেন্ট।
দুইবার অভিশংসিত হওয়া একজন প্রেসিডেন্টও হবেন ট্রাম্প। ভিন্ন মেয়াদে অরেকবার তিনি নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হবেন। তাছাড়া, পুনর্নির্বাচনের প্রথম চেষ্টায় হেরে যাওয়ার পর ট্রাম্পই হবেন হোয়াইট হাউজে ফেরা ইতিহাসের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রে পরাজিত প্রেসিডেন্টের ফের নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড আছে কেবল গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের। ১৮৮৮ সালে নির্বাচনে হেরে গিয়ে চার বছর পর ফের তিনি জয়ী হয়েছিলেন ১৮৯২ সালে।
ট্রাম্প এবং হ্যারিসের বৈশিষ্ট্য এবং ব্যাকগ্রাউন্ডই কেবল নয় আরও কিছু কারণে এবারের নির্বাচনের প্রকৃতি ঐতিহাসিক বলেই বর্ণনা করেছেন বিশ্লেষকরা। কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা এবার ঘটেছে।
উদাহরণস্বরূপ: নির্বাচনী প্রচারের মাঝপথে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী অদলবদল করার সিদ্ধান্ত ছিল ব্যতিক্রমী এবং বিরল। তিনি যেভাবে জোরাল সমর্থন পেয়ে ট্রাম্পের কাছাকাছি অবস্থানে উঠে এসেছেন সেটিও চমকে দেওয়ার মতো।
হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ব্র্যান্ডন রোটিংহাউস বলেন, “হ্যারিসের মনোনয়নই ঐতিহাসিক ছিল। তিনি জিতলে ১৯২০-এর দশক থেকে জাতি যে বাধার দেয়াল ভাঙার জন্য লড়াই করে আসছে, তা ভেঙে যাবে।”
ওদিকে, ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী দৌড়ে নামার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে পরবর্তীতে চারটি ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হয়েছিলেন। তারই একটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। নির্বাচনি প্রচারের সময় ট্রাম্প দুইবার হত্যাচেষ্টার শিকারও হন।
দুই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারও এবার ছিল খুবই ক্ষিপ্র। জরিপে দুইজনের এক সূতো ব্যবধান নিয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবস্থানে থাকা- এসবই এবারের নির্বাচনে ছিল নজিরবিহীন ঘটনা।
05 Nov 2024, 09:24 PM
ট্রাম্প ও হ্যারিসের শেষ বয়ান
05 Nov 2024, 09:11 PM
দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে নজর থাকবে যেসব কাউন্টিতে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে জয়-পরাজয় নির্ধারণে সাতটি দোদুল্যমান রাজ্য গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যগুলো হল: অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভেইনিয়া ও উইসকনসিন।
এই রাজ্যগুলোর ১০টি কাউন্টির ভোট নির্বাচনের ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই এ কাউন্টিগুলোর দিকে নজর রাখছেন নির্বাচনি বিশ্লেষকরা।
ম্যারিকোপা কাউন্টি, অ্যারিজোনা: অ্যারিজোনার রাজধানী ফিনিক্সের ম্যারিকোপা কাউন্টি এ রাজ্যের প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কাউন্টিতে ২ দশমিক ২ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রায় ৩ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে এ কাউন্টিতে জয়ী হন।
কোব কাউন্টি, জর্জিয়া: আটলান্টার উত্তরের শহরতলীর এই কাউন্টিতে ডেমোক্র্যাটরা জর্জিয়া রাজ্যে জয় পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে যেতে পারে। যেমনটি বাইডেন পেয়েছিলেন ২০২০ সালে। প্রায় ১৪ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে তিনি জয় পান। তবে ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন কোব কাউন্টিতে মাত্র ২ শতাংশ ভোট পেয়ে ট্রাম্পের কাছে হেরে গিয়েছিলেন।
বল্ডউইন কাউন্টি, জর্জিয়া: জর্জিয়ার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই কাউন্টি কোব কাউন্টির চেয়ে ছোট। তবে সেখানে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের উপস্থিতি রয়েছে। প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটারই কৃষ্ণাঙ্গ। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের তুলনায় ২০২০ সালে বাইডেনের জয়ের ব্যবধান এ কাউন্টিতে কম ছিল।
ওয়েইন কাউন্টি, মিশিগান: ডেট্রয়েটের ১৭ লাখ বাসিন্দার বাস এখানে। এ কাউন্টির প্রায় ৪০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ। ২০২০ সালে বাইডেন ৬৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে এ কাউন্টিতে জিতেছিলেন, যা মিশিগনে তার জয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখেছিল।
ওয়াশো কাউন্টি, নেভাডা: নেভাডার উত্তর-পশ্চিমে রেনো এলাকার কাছে অবস্থিত ওয়াশো কাউন্টিতে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বাস কম। তবে সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এ কাউন্টিতে ডেমোক্র্যাটদেরকে সমর্থনের প্রবণতা বেড়েছে। ২০২০ সালে বাইডেন এখানে ট্রাম্পের চেয়ে ৪ শতাংশের বেশি ভোট বেশি পেয়ে জিতেছিলেন।
ওয়েক কাউন্টি, নর্থ ক্যারোলাইনা: নর্থ ক্যারোলাইনার এই কাউন্টি সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে রাজ্যজুড়ে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। ২০২০ সালে ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলাইনায় জিতলেও বাইডেন ৬৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।
এরি কাউন্টি, পেনসিলভেইনিয়া: পেনসিলভেইনিয়ার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এরি কাউন্টির ভোটাররা গত চার নির্বাচনে বিজয়ী প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়েছে। ২০২০ সালে বাইডেন এই কাউন্টিতে ১ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। ২০১৬ সালে ট্রাম্প সেখানে ২ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন।
বাক্স কাউন্টি, পেনসিলভেইনিয়া: ফিলাডেলফিয়ার উত্তরে অবস্থিত বাক্স কাউন্টিতে শ্রমিক শ্রেণির বিপুল সংক্যক ভোটার থাকার জন্য এখানকার ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মধ্যে ট্রাম্পের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। ২০১৬ সালে ট্রাম্প পেনসিলভেইনিয়ায় জিতেছিলেন। এবারও তিনি রাজ্যটিতে জয় পাওয়ার আশা করছেন। ২০২০ সালে বাইডেনও এই কাউন্টিতে ৪ শতাংশ ব্যবধানে জিতে পেনসিলভেইনিয়ায় তার জয় নিশ্চিত করেছিলেন।
কাম্বারল্যান্ড কাউন্টি, পেনসিলভেইনিয়া: পেনসিলভেইনিয়ার রাজধানী হ্যারিসবার্গের শহরতলীর এই কাউন্টির ভোটাররা গত দুই নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু এবার সেখানে বাড়তে থাকা হোয়াইট কলার কর্মীদের আকৃষ্ট করে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের ভোট কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। ২০২০ সালে ট্রাম্প এ কাউন্টিতে ১১ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন।
ওয়াউকেশা কাউন্টি, উইসকনসিন: মিলওয়াকির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরতলীর এই কাউন্টি ট্রাম্পের আরেকটি শক্ত ঘাঁটি। ট্রাম্প গত দুই নির্বাচনে সেখানে ২০ শতাংশের বেশি পয়েন্টের ব্যবধানে জয়ী হন। ২০২০ সালে বাইডেন উইসকনসিন জিতেছিলেন। এবার রিপাবলিকানরা এই রাজ্যে জিততে হলে ওয়াউকেশা কাউন্টিতে ট্রাম্পকে আগের মতো একই মাত্রায় ভোট পেতে হবে।
05 Nov 2024, 08:36 PM
যদি কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়?
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে এই ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি নিশ্চিত করতে হয়।
কিন্তু যদি কোনো প্রার্থী এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়?
এরকম কোনো পরিস্থিতি হলে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী অনুযায়ী কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ- প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে আর সেনেট ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ পর্যন্ত মাত্র একবার এমনটি ঘটেছিল। ১৮২৪ সালে চারজন প্রার্থীর মধ্যে ইলেকটোরাল ভোট ভাগাভাগি হওয়ার পর তাদের মধ্যে কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি।
কিন্তু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতিতে দুই রাজনৈতিক দলের আধিপত্য তৈরি হওয়ায় এখন আর তেমনটি হবে না বলে ধরে নেওয়া হয়।
05 Nov 2024, 08:19 PM
কখন মিলবে ভোটের ফল?
প্রতিটি ভোট গণনা করতে কয়েক দিনও লেগে যেতে পারে। তবে সাধারণত যেদিন ভোট হয়, তার পরের দিন সকালেই জয়ী কে তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
এবছর আট কোটির বেশি আমেরিকান ভোটার ডাকযোগে আগাম ভোট দিয়েছেন। সেই হিসেবে মঙ্গলবার বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারেন মোট নিবন্ধিত ভোটারের অর্ধেক। ফলে বুথে পড়া ভোটের হিসাবে জয় পরাজয় নির্ধারিত নাও হতে পারে।
ডাকযোগে যারা ভোট দিয়েছেন, তাদের ব্যাটল পেপার পৌঁছাতে এবং গণনা শেষ হতে মঙ্গলবার পেরিয়ে আরও কয়েকদিন সময় লেগে যেতে পারে।
২০১৬ সালে নির্বাচনে জয়ের পর ডনাল্ড ট্রাম্প রাত ৩টাতেই নিউ ইয়র্কের মঞ্চে সমর্থকদের সামনে বিজয়ীর ভাষণ দিতে উঠেছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চার দিন পর নিশ্চিত হয় যে জো বাইডেন হোয়াইট হাউজে যাচ্ছেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
05 Nov 2024, 08:10 PM
মার্কিন নির্বাচনের ব্যালট পেপার কেমন?
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালট হতে পারে দীর্ঘ, এমনকি দুই বা তিন পৃষ্ঠারও হতে পারে।
সেখানে কমলা হ্যারিস বা ডনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার জায়গা যেমন আছে, তেমনি প্রতিনিধি পরিষদ ও সেনেট নির্বাচনের প্রার্থী এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রস্তাবের ওপর, যেমন কমিউনিটি পরিষেবা বা অর্থায়নের মত বিষয়ে ভোট দেওয়ার ঘর আছে।
এবারের নির্বাচনে অ্যারিজোনা ও নেভাডাসহ দশটি অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাতের অধিকারের ওপর ভোট হচ্ছে। ফ্লোরিডাসহ চার রাজ্যে ভোট হচ্ছে গাঁজার বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নে। নির্বাচন কীভাবে হওয়া উচিত- সেই প্রশ্নেও ভোট হচ্ছে কিছু এলাকায়। সেসব রাজ্যের ব্যালটে এ বিষয়গুওলোও রয়েছে।
নিয়ম হল নির্দিষ্ট ঘরের পাশে একটি বৃত্ত কলম দিয়ে ভরাট করতে হবে। টিক বা ক্রস চিহ্নের নিয়ম এখানে খাটবে না। আর ওই বৃত্ত ভরাটের জন্য একজন ভোটার ১০ মিনিট সময় পাবেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
05 Nov 2024, 07:43 PM
কেবল কি প্রেসিডেন্টই নির্বাচিত হচ্ছেন?
নির্বাচনের সব মনোযোগ প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থীদের দিকে থাকলেও মঙ্গলবারি ভোটাররা কংগ্রেসের নতুন সদস্যদেরকেও বেছে নেবেন। একইদিন অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নর ও আইন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ রিপাবরিকানদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তারা এবারের নির্বাচনে তা ধরে রাখার পাশাপাশি সেনেটেও নিয়ন্ত্রণও করায়ত্ব করার চেষ্টা করবে।
অপরদিকে ডেমোক্র্যাটরা সেনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার পাশাপাশি প্রতিনিধি পরিষদে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে।
দুই কক্ষেই রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারলে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যদি ডেমোক্র্যাট হন, সেক্ষেত্রে তার পরিকল্পনায় বাধ সাধা কিংবা তাতে বিলম্ব ঘটাতে পারবে কংগ্রেস।
প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনের সবগুলোতে এবং সেনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৩৪টিতে ভোট হচ্ছে মঙ্গলবার।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
05 Nov 2024, 07:41 PM
কার কী প্রতিশ্রুতি?
ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান পার্টির ডনাল্ড ট্রাম্প সোমবার শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। অর্থনীতি থেকে শুরু করে অভিবাসন কিংবা পররাষ্ট্র- প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের নীতি বা দৃষ্টিভঙ্গির দিকে যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, বহির্বিশ্বও চোখ রাখছে।
এবারের নির্বাচনি প্রচারে হ্যারিস এবং ট্রাম্প বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অবস্থানের নিরিখে ভোটারদের সমর্থন কুড়িয়েছেন। মূল্যস্ফীতি, কর, গর্ভপাত, অভিবাসন, পররাষ্ট্রনীতি ও বাণিজ্য ইস্যুতে দুই প্রার্থী ভিন্ন দৃষ্টিকোণ তুলে ধরেছেন।
কমলা হ্যারিস বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে প্রথম দিন থেকেই তার অগ্রাধিকার হবে শ্রমজীবী পরিবারের জন্য খাবার ও বাসস্থান খরচ কমানো। নিত্যপণ্যের মাত্রাতিরিক্ত দাম নির্ধারণের প্রবণতা বন্ধ করা এবং প্রথমবার বাড়ি কেনায় সহায়তা ও আবাসন খাতে প্রণোদনা দেয়ার কথাও বলেন তিনি।
ট্রাম্প অঙ্গীকার করেছেন মূল্যস্ফীতি কমিয়ে সবকিছু মানুষের ক্রয় সামর্থ্যের মধ্যে আনার। অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠালে আবাসনের ওপর চাপ কমবে বলে মনে করেন তিনি। আমদানি পণ্যের ওপর উচ্চ হারে কর আরোপেরও আভাস দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এর ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
অন্যদিকে, করের ক্ষেত্রে- বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বছরে চার লাখ ডলারের বেশি আয় করা আমেরিকানদের ওপর কর বাড়াতে চান হ্যারিস। যদিও কোনো কোনো পরিবারের করের বোঝা লাঘব করতে, সন্তানের বিপরীতে কর ছাড়ের ব্যবস্থা রাখার কথাও বলেছেন তিনি।
ট্রাম্পও বিপুল পরিমাণ করছাড় দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছেন। তবে সেটি তার ২০১৭ সালের কর কমানোর নীতিরই আরেক রূপ, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধনীদের জন্যই সহায়ক ছিল।
হ্যারিস গর্ভপাতের অধিকারকে তার প্রচারের কেন্দ্রে রেখেছিলেন। সারাদেশের নারীদের জন্য প্রজনন অধিকার সুরক্ষা আইনের পক্ষে তিনি কথা বলছেন।
ট্রাম্প গর্ভপাত বিষয়ে বলেছেন, নারীদেরকে যাতে গর্ভপাতের কথা ভাবতে না হয় সেটি তিনি নিশ্চিত করবেন। তবে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের সময়ে নিয়োগ দেওয়া তিন বিচারকের হাতেই যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল হয়েছিল। সে কারণে গর্ভপাত ইস্যুতে নারীদের মন জয় করতে হিমশিম খেতে হয়েছে ট্রাম্পকে।
নর্থ ক্যারোলাইনার সমাবেশে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছে, মেক্সিকো যদি সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসীসের অনুপ্রেবেশ বন্ধের ব্যবস্থা না করে, তাহলে সব ধরনের মেক্সিকান পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন তিনি।
আর পেনসিলভেইনিয়ার সমাবেশে হ্যারিস বলেছেন, ‘নতুন করে শুরুর জন্য’ আমেরিকা প্রস্তুত।
তথ্যসূত্র: সিএনএন ও বিবিসি
05 Nov 2024, 07:22 PM
আরও ১০ রাজ্যে ভোট শুরু
যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি রাজ্যে ভোট ইতোমধ্যেই চলছে। আর স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় আরও ১০ রাজ্যে ভোট শুরু হয়েছে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ টি রাজ্যের অর্ধেকেরও বেশি রাজ্যে এখন ভোট চলছে।
মাত্র ভোট শুরু হওয়া রাজ্যগুলো হল: অ্যালাবামা, আইওয়া, কানসাস, মিনেসোটা, মিসিসিপি, নর্থ ডেকোটা, ওকলাহোমা, সাউথ ডেকোটা, টেক্সাস, উইসকনসিন।
05 Nov 2024, 07:21 PM
হ্যারিস ও ট্রাম্পকে জনপ্রিয় তারকাদের সমর্থন
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি প্রচারের শেষ দিনগুলোতে বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার সমর্থন কুড়িয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প দুজনই।
ফিলাডেলফিয়ায় হ্যারিস তার শেষ প্রচার সমাবেশে মঞ্চে ওঠার আগে তার সমর্থকদের মধ্যে নেতৃত্বের সারিতে ছিলেন পপ তারকা লেডি গাগা এবং জনপ্রিয় মার্কিন টক শো উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রে।
এর আগে গত সপ্তাহে লাস ভেগাসে হ্যারিসের সঙ্গে দেখা যায় পপ তারকা জেনিফার লোপেজকে। অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ড এবং এনবিএ স্টার লেবর্ন জেমসও হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন।
এ তালিকায় আরও আছেন অভিনেতা মেরিল স্ট্রিপ, জুলিয়া রবার্টস, জেনিফার গার্নার এবং কমেডিয়ান ক্রিস রকও। সুপারস্টার গায়িকা বিয়ন্সে এবং টেলর সুইফটও হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন।
ওদিকে, জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট উপস্থাপক জো রোগান সমর্থন দিয়েছেন ট্রাম্পকে। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এ সমর্থন দেন। জো রোগান গত মাসে তার তিন ঘণ্টার একটি শো’তে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অতিথি হিসেবে নিয়ে এসেছিলেন।
এক্সে তিনি লেখেন “আমি ট্রাম্পকে সমর্থন করছি।”
অন্য যে তারকারা ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন অভিনেতা ডেনিস কায়েদ, ন্যাশনাল ফুটবল লিগ (এনএফএল) স্টার হ্যারিসন বাটকার, কান্ট্রি মিউজিকের জনপ্রিয় গায়ক জেসন আলডিন, গায়ক টেড নুজেন্ট, তারকা কিড রক এবং রেসলার হাল্ক হোগান।
05 Nov 2024, 07:09 PM
সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ভোট
২: প্রার্থী আছেন বেশ কয়েকজন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দুইজন। রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মধ্যে হবে মূল লড়াই
৫: এবারের ভোটের তারিখ ৫ নভেম্বর। ঐতিহ্যগতভাবে নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পরের মঙ্গলবারই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।
৭: এবার সাতটি অঙ্গরাজ্যকে বলা হচ্ছে দোদুল্যমান স্টেট। অর্থাৎ এসব অঙ্গরাজ্যে জিততে পারে যে কেউ।
৩৪ ও ৪৩৫: মঙ্গলবার কেবল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হচ্ছে না। এদিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের সবগুলো এবং উচ্চকক্ষ সেনেটের ১০০ আসনের ৩৫টিতেও একইসঙ্গে ভোট হচ্ছে।
৫৩৮: ইলেকটোরাল কলেজে স্বাগতম! ভোটাররা মঙ্গলবার যে ভোট দিচ্ছেন, তাতে প্রতিটি রাজ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেকটর নির্বাচিত হবেন। যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ (ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া) মোট ইলেকটোরাল কলেজ ৫১টি। ভোটাররা এই ৫১টি ইলেকটোরাল কলেজের ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত করেন। আর যে প্রার্থী অর্ধেকের বেশি ইলেকটোরাল ভোট পাবেন, তিনিই হবেন প্রেসিডেন্ট।
৭৭৪০০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যাতে মসৃণভাবে চলতে পারে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে আছেন ৭ লাখ ৭৪ হাজার নির্বাচনি কর্মী।
৮,১০,০০,০০০: এবারের নির্বাচনে আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন ৮ কোটি ২০ লাখের বেশি ভোটার। যার মধ্য দিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে।
২৪,৪০,০০০০০: যুক্তরাষ্ট্রে এবার যোগ্য ভোটারের সংখ্যা ২৪ কোটি ৪০ লাখের বেশি। তবে কেবল যোগ্য হলেই হয় না, ভোট দিতে হলে আগে থেকে নিবন্ধন করতে হয়। এবার ভোট দেবেন বলে মন ঠিক করেছেন ১৬ কোটির মত ভোটার।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
05 Nov 2024, 06:17 PM
বোমা মারার হুমকি দিয়ে জর্জিয়ায় নির্বাচনকর্মী গ্রেপ্তার
বোমা মারার হুমকি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া রাজ্যে নিকোলাস উইমবিশ নামের এক নির্বাচনকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওপর বোমা হামলার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো এবং গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর কাছে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ ২৫ বছরের জেল হতে পারে। বোমা হামলার হুমকি দেওয়া চিঠিটি তিনি এমনভাবে লিখেছেন যে দেখে মনে হয় সেটি কোনও ভোটার পাঠিয়েছেন।
২৫ বছর বয়সী উইমবিশ গত ১৬ অক্টোবর জর্জিয়ার গ্রে শহরের জোন্স কাউন্টিতে নির্বাচন কার্যালয়ে নির্বাচনকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেদিন একজন ভোটারের সঙ্গে তার বচসা হয়েছিল।
পরদিন কাউন্টির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তাকে তিনি একটি চিঠি পাঠান। কৌসুলিরা বলছেন, সেটি এমনভাবে লেখা হয়েছে যেন চিঠিটি ওই ভোটারের কাছ থেকেই এসেছে।
চিঠিতে উইমবিশ নির্বাচনকর্মীদের ওপর শারিরীক ও যৌন সহিংসতার হুমকি দেন এবং বোমা হামলার হুমকি দিয়ে চিঠি শেষ করেন বলে অভিযোগ আছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
05 Nov 2024, 06:10 PM
‘আমরা যখন লড়ি, আমরা জিতি’: হ্যারিস
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেনসিলভেইনিয়া রাজ্যে তার শেষ প্রচার সমাবেশে একতার শক্তি ও নারী অধিকারের ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “আমরা যখন লড়ি, আমরা জিতি।”
সমাবেশে উপস্থিত জনতাকেও সমস্বরে তার এই কথার সঙ্গে গলা মেলানোর ডাক দেন হ্যারিস।
জনতার সামনে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “আমরা কি আমেরিকার প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করি? আপনারা কি এর জন্য লড়তে প্রস্তুত? কারণ, আমরা যখন লড়ি, তখন আমরা জয়ী হই।”
ভাষণে হ্যারিস বলেন, পরাজিত অবস্থা থেকে তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু জয়ের আসনে পৌঁছাবেন।
“আমাদের এই জীবনকালে গুরুত্বপূর্ণ ভোটের দিনের মুহূর্তটি আমাদের অনুকূলেই আছে। এ নির্বাচন হতে পারে ইতিহাসে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন,” বলেন তিনি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
05 Nov 2024, 05:06 PM
ভার্মন্টে ভোটগ্রহণ শুরু
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ভার্মন্টে ঘড়ির কাঁটা ভোর ৫টা অতিক্রম করেছে, এরমানে সেখানে ভোট শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সকাল শুরু হল।
আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলো অঙ্গরাজ্যে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে যাবে। এই ভোটের মাধ্যমে দেশটির নাগরিকরা তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন। ভার্মন্টেই পরেই নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
05 Nov 2024, 04:43 PM
হ্যারিস নয়, ‘অশুভ ডেমোক্র্যাট ব্যবস্থার’ বিরুদ্ধে লড়ছি: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কমলা হ্যারিস নয়, অশুভ ডেমোক্র্যাট ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়ছেন।
মিশিগানে শেষ প্রচার সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ওয়াশিংটনে এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থাকে পরাজিত করব। কারণ, আমি কমলার বিরুদ্ধে লড়ছি না। অশুভ ডেমোক্র্যাট সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়ছি। এরা দুষ্টু লোক।”
এই যাত্রা অবিশ্বাস্য হবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, এ যাত্রা হবে দুঃখেরও। কারণ, এটাই হবে শেষবার। মঙ্গলবারের নির্বাচনে না জিতলে আগামীতে আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
মিশিগনে শেষ দিনের প্রচারে তিনি তাই বলেছেন, “এটিই তার শেষ প্রচার।” তবে জরিপে জনমর্থনের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ট্রাম্প এও বলেছেন যে তিনি আশাবাদী।
ট্রাম্প বলেন, “সুসংবাদ আছে। আমরা যাকিছু করছি তা আমাদেরকে জয় পাওয়ার অবস্থানেই নিয়ে যাচ্ছে।”
05 Nov 2024, 04:37 PM
কোথায় ভোটকেন্দ্র কখন খুলবে
সময়ের ভিন্নতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের একেক এলাকায় ভোটকেন্দ্রগুলো খুলবে একেক সময়ে। নিউ হ্যাম্পশায়ারসহ কিছু রাজ্যে এরই মধ্যে ভোট চলছে।
বিভিন্ন এলাকায় ভোটকেন্দ্র খোলার সময় প্রকাশ করেছে সিএনএন। (ইস্টার্ন টাইম= বাংলাদেশ সময় - ১১ ঘণ্টা)
সকাল ৬টা: কানেটিকাট, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, মেইন, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া
সকাল ৬:৩০: ওহাইও, উত্তর ক্যারোলাইনা, পশ্চিম ভার্জিনিয়া, ভার্মন্ট
সকাল ৭টা: আলাবামা, ডেলাওয়্যার, ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ইলিনয়, ক্যানসাস, মেরিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, মিশিগান, মিজৌরি, পেনসিলভেইনিয়া, রোড আইল্যান্ড, সাউথ ক্যারোলাইনা, টেনিসি
সকাল ৮টা: অ্যারিজোনা, আইওয়া, লুইজিয়ানা, মিনেসোটা, সাউথ ডাকোটা, নর্থ ডাকোটা, ওকলাহোমা, টেক্সাস, উইসকনসিন
তথ্যসূত্র: সিএনএন
05 Nov 2024, 04:10 PM
05 Nov 2024, 04:02 PM
‘ঘরের মেয়ে'র জন্য প্রার্থনা তামিলনাড়ুর গ্রামে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাটি প্রার্থী কমলা হ্যারিস। যার আদি নিবাস যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪ হাজার কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে।
সেখানে হ্যারিসের পিতৃপুরুষের গ্রাম থুলাসেন্দ্রপুরমে তার চলছে পূজার্চনা-প্রার্থনা। মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা, প্রসাদ বিতরণ হচ্ছে। প্রার্থনা একটাই- ঘরের মেয়ে যেন জেতে।
তামিলনাড়ুর ছায়া সুনিবিড় থুলাসেন্দ্রাপুরাম গ্রামে একশ বছরেরও বেশি সময় আগে জন্ম নিয়েছিলেন হ্যারিসের নানা পিভি গোপালান। চেন্নাই থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের এই অখ্যাত গ্রামই এখন শিরোনামে।
রাতারাতি প্রচারের আলোয় আসার কারণ স্বয়ং কমলা হ্যারিস। তার নানা পিভিগোপালান পরে থুলাসেন্দ্রাপুরাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন চেন্নাই। সেখান থেকে ভারতীয় কূটনৈতিক হিসাবে যান জাম্বিয়ায়।
কমলার মা শ্যামলা গোপালনের নিবিড় যোগসূত্র নেই এই গ্রামের সঙ্গে। আর সেভাবে দেশে ফেরেনি গোপালন পরিবার। কিন্তু থুলাসেন্দ্রপুরমের বাসিন্দারা মনে করে কমলা হ্যারিস তাদের ঘরের মেয়েই।
মঙ্গলবার সকালে মন্দিরে হ্যারিসের জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। তিনি জিতলে বিশেষ উৎসব উদযাপনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২০২০ সালে কমলা জো বাইডেনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর গ্রামের বাসিন্দারা উচ্ছ্বাসিত হয়েছিলেন। একইভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে হ্যারিস নির্বাচনে লড়াই করাতেও আনন্দিত গ্রামবাসীরা।
হ্যারিসের পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে গ্রামের রাস্তা-ঘাট। মন্দিরে চলছে পূজার্চনা। হ্যারিস একবার জানিয়েছিলেন তিনি দক্ষিণ ভারতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন। তাই তার পছন্দের রান্নাও খাওয়াচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
হ্যারিস জিতলে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। আর তখন ইতিহাসের পাতায় উঠবে ভারতের এই অখ্যাত গ্রামের নাম। সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন থুলাসেন্দ্রপুরমের বাসিন্দারা।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
05 Nov 2024, 03:14 PM
দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর সর্বশেষ জরিপ যা বলছে
গত কয়েক ঘণ্টায় নেভাডা, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং অ্যারিজোনার জরিপের ফলে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। আবার উইসকনসিন এবং মিশিগানে একইভাবে সামান্য এগিয়ে আছেন হ্যারিস। কেবল পেনসিলভেইনিয়ায় দুই প্রার্থী অবস্থান সমান সমান।
05 Nov 2024, 03:10 PM
দোদুল্যমান রাজ্যগুলো
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দীর্ঘ ঐতিহ্য অনুযায়ী অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা প্রতিটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো একটি দলকেই ধারাবাহিকভাবে বেশি ভোট দিয়ে আসছেন। অর্থাৎ ওই অঙ্গরাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোট নিয়মিতভাবে একটি দলের প্রার্থীই পেয়ে আসছেন। এভাবে এসব রাজ্য হয় রিপাবলিকান অথবা ডেমোক্র্যাট পার্টির ভোট ব্যাংক হিসেবে ভূমিকা রেখে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ ধরনের অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে যেগুলো ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীকে বরাবর সমর্থন জানিয়ে আসছে, সেগুলো ‘নীল’ অঙ্গরাজ্য বলে পরিচিতি পেয়েছে, আর রিপাবলিকান পার্টিকে সমর্থন জানিয়ে আসা অঙ্গরাজ্যগুলো ‘লাল’। যেমন, সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট থাকা ক্যালিফোর্নিয়া নীল অঙ্গরাজ্য, অর্থাৎ এখানে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জয়ী হবে এমনটি ধরে নেওয়া যায়। আবার ইলেকটোরাল ভোট সংখ্যায় এর পরে থাকা টেক্সাস লাল অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ এখানের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট রিপাবলিকান প্রার্থীর পক্ষেই যায়।
রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে নামা মাত্রই ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত অঙ্গরাজ্যগুলোর ইলেকটোরাল ভোট তারা পাচ্ছেন বলে নিশ্চিতভাবে ধরে নেওয়া হয়। যেমন, এবারের ২০২৪ এর ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ২২৬টি ইলেকটোরাল ভোট আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ২১৯টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে যাচ্ছেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করছে সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
সিএনএনের হিসাব অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে হোয়াইট হাউজে যেতে হলে হ্যারিসকে আরও অন্তত ৪৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হবে, এর বিপরীতে জয় নিশ্চিত করতে হলে ট্রাম্পকে পেতে হবে আরও ৫১টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।
এই ইলেকটোরাল কলেজ ভোটগুলো প্রার্থীদের ভোটব্যাংকের বাইরের অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে আসে। এসব অঙ্গরাজ্যর কোনটির সমর্থন কোন প্রার্থীর পক্ষে যাবে তা জরিপ বা অন্য কোনোভাবেই আগাম বলে দেওয়া যায় না।
এসব রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের নজির রয়েছে। আবার এসব রাজ্য একবার ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীর পক্ষে যায় তো আরেকবার যায় রিপাবলিকান প্রার্থীর পক্ষে। তাই সাধারণভাবে এসব রাজ্যকে সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যও বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকটোরাল ভোট নির্ভর নির্বাচনী পদ্ধতির কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় অঙ্গরাজ্যগুলোর তুলনায় এসব অঙ্গরাজ্য বেশি প্রভাব রাখে।
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাতটি অঙ্গরাজ্যকে দোদুল্যমান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে, পেনসিলভেইনিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন ও নেভাডা।
এসব দোদুল্যামান অঙ্গরাজ্যের মোট ইলেকটোরাল ভোট ৯৩টি। এরমধ্যে পেনসিলভেইনিয়ার ভোট ১৯টি, জর্জিয়ার ও নর্থ ক্যারোলাইনার ১৬, মিশিগানের ১৫, অ্যারিজোনার ১১, উইসকনসিনের ১০ ও নেভাডার ৬টি।
এই দোদ্যুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপরই নির্ভর করছে কে হবেন জো বাইডেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডন্ট। ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস? নাকি রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প?
তথ্যসূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স
05 Nov 2024, 03:02 PM
কেন এই ভোটের পদ্ধতি?
যুক্তরাষ্ট্রে যে পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়, তাকে বলে ইলেক্টোরাল কলেজ সিস্টেম।
ভোটাররা তাদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে একদল কর্মকর্তাকে নির্বাচিত করে থাকেন, তাদের বলা হয় ইলেকটর।
এই ইলেকটররাই নির্বাচকের ভূমিকা পালন করেন। একটি রাজ্যের ইলেকটরদের একসঙ্গে বলা হয় ইলেকটোরাল কলেজ । ৫০টি রাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ (ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া) দেশটিতে মোট ইলেকটোরাল কলেজ ৫১টি।
এই ইলেকটোরাল কলেজই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করে।
নির্বাচনের দিন ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীর কথা মাথায় রেখে ভোট দিলেও এলে তারা আসলে ৫১টি ইলেকটোরাল কলেজের ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত করে তাদের হাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দায়িত্ব তুলে দেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে এই ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি নিশ্চিত করতে হয়। অর্ধশত রাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ২৭০টি পেলেই হাতে আসে হোয়াইট হাউজের চাবি।
কিন্তু কেন এই পদ্ধতি?
১৭৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান যখন প্রণয়ন করা হয় তখন একটি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা বাস্তবে অসম্ভব ছিল। এর কারণ ছিল দেশটির আয়তন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পশ্চাৎপদতা।
আর যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান প্রণেতারা চাননি রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে থাকা আইনপ্রণেতাদের হাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ুক। তারা এই ক্ষমতা দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে তুলে দিতে চাইলেন।
তাই সংবিধান প্রণেতারা ইলেকটোরাল কলেজ সৃষ্টি করলেন, প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে ইলেকটর দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিকা রাখার সুযোগ দেওয়া হল
সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বেশি জনসংখ্যার অঙ্গরাজ্যগুলো এক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করবে এই বিবেচনায় প্রতিটি রাজ্যে অন্তত তিনজন ইলেকটর থাকার নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়। ইলেকটরের এই ন্যূনতম সংখ্যা অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যার আকারের ওপর নির্ভর করে না। তবে এর বেশি ইলেকটরের সংখ্যা অঙ্গরাজ্যগুলোর জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় নির্ধারিত হয়।
দেশজুড়ে ভোটে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চেয়ে এ পদ্ধতিতে ছোট অঙ্গরাজ্যগুলোর বেশি বক্তব্য রাখার সুযোগ থাকায় তারা ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি সমর্থন করল।
ইলেটোরাল ভোটের সংখ্যা অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যার আকারের ভিত্তিতে নির্ধারিত হত বিধায় দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলো সরাসরি ভোটের চেয়ে এ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব রাখার সুযোগ পাওয়ায় তারাও এ পদ্ধতি সমর্থন করল।
কারণ এখানে জনসংখ্যার বড় একটি অংশ ছিল দাসরা। দাসদের ভোটাধিকার না থাকলেও আদমশুমারিতে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের তিন-পঞ্চমাংশ ধরে তাদেরও গণনা করা হত।
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি রাজ্য রয়েছে তবে তাদের বেশিরভাগই প্রায় সব সময় একই দলকে ভোট দেয়। বাস্তবে কেবল কয়েকটি মুষ্টিমেয় রাজ্য আছে যেখানে উভয় প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এই রাজ্যগুলো ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বা দোদ্যুল্যমান রাজ্য হিসাবে পরিচিত।
তথ্যসূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স
05 Nov 2024, 02:55 PM
কোন অঙ্গরাজ্যে কত ইলেকটোরাল ভোট?
২০২০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এবারও সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়, ৫৪টি। এরপর রয়েছে টেক্সাস ৪০, ফ্লোরিডায় ৩০, নিউ ইয়র্ক ২৮, ইলিনয় ও পেনসিলভেইনিয়ায় ১৯টি করে।
এছাড়া ওহাইওতে ১৭, জর্জিয়ায় ১৬ ও নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৬, মিশিগান ১৫, নিউ জার্সিতে ১৪, ভার্জিনিয়াতে ১৩, ওয়াশিংটনে ১২, আরিজোনা, টেনেসি, ম্যাসাচুসেটস ও ইন্ডিয়ানায় ১১, মিনেসোটা, উইসকনসিন, ম্যারিল্যান্ড, মিজৌরি ও কলোরাডোতে ১০, অ্যালবামা ও সাউথ ক্যারোলাইনায় ৯, কেন্টাকি, অরেগন ও লুইজিয়ানায় ৮, কনেটিকাট ও ওকলাহোমায় ৭, মিসিসিপি, আরকানস, ক্যানজাস, আইওয়া, নেভাডা ও ইউটায় ৬; নিউ মেক্সিকো ও নেব্রাস্কায় ৫; ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার, মেইন, রোড আইল্যান্ড, আইডাহো ও হাওয়াইতে ৪; মন্টেনা, নর্থ ডেকোটা, ভার্মন্ট, ডেলাওয়ার, ওয়াইওমিং, সাউথ ডেকোটা, আলাস্কা ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় ৩টি করে ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
05 Nov 2024, 02:16 PM
তথ্যকণিকা: যুক্তরাষ্ট্রে ভোট হয় যেভাবে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জনগণের সরাসরি বা প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন না। ভোটাররা মঙ্গলবার যে ভোট দিচ্ছেন, তাতে প্রতিটি রাজ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেকটর নির্বাচিত হবেন। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যে প্রার্থী অর্ধেকের বেশি ইলেকটরের সমর্থন বা ইলেকটোরাল ভোট পাবেন, তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ (ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া) মোট ইলেকটোরাল কলেজ ৫১টি। ভোটাররা এই ৫১টি ইলেকটোরাল কলেজের ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত করেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে এই ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি নিশ্চিত করতে হয়।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীরা ভোটারদের কাছ থেকে যে ভোট পান তাকে বলা হয় পপুলার ভোট। আর ইলেকটোরাল কলেজের ভোটকে বলা হয় ইলেকটোরাল ভোট।
কোন অঙ্গরাজ্যে কতজন ইলেকটর থাকবেন তা সেখানকার মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। একটি রাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পান, তিনি ওই রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোটও পেয়ে যান। এ নিয়মকে বলে ‘উইনারস টেইক অল’। নেব্রাস্কা ও মেইন বাদে বাকি সব রাজ্যে এ নিয়ম প্রযোজ্য। নেব্রাস্কা ও মেইনে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ইলেকটোরাল ভাগ করে দেওয়া হয়।
ইলেকটোরাল কলেজের এ নিয়মের কারণে পেনসিলভেইনিয়া, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যালোলিনা ও অ্যারিজোনার মত অঙ্গরাজ্যগুলো জয়-পরাজয় নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স
05 Nov 2024, 02:13 PM
05 Nov 2024, 02:01 PM
প্রত্যাবর্তন না ইতিহাস?
কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বরাবরই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দুই প্রার্থীর মধ্যে। মঙ্গলবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি ভাইস প্রেসিডেন্টকেও নির্বাচিত করবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা।
হোয়াইট হাউজের দখল নিতে এবার লড়াই হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে।
এ নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হবে ৭৮ বছর বয়সে। অপরদিকে কমলা হ্যারিসের বয়স ৬০ বছর।
রাজনীতির ক্যারিয়ারে খাদের কিনার থেকে উঠে আসা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যদি মঙ্গলবারের ভোটে জিতে যান, তাহলে সেটা হবে একবার হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা।
আর ভোটারদের রায় যদি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের পক্ষে যায়, তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প তার রানিং মেট হিসেবে বেছে নিয়েছেন ওহাইওর সেনেটর জেডি ভ্যান্সকে। আর হ্যারিসের রানিং মেট টিম ওয়ালজ মিনেসোটার গভর্নর। অর্থাৎ, ভাইস প্রেসিডেন্ট হবেন ভ্যান্স বা ওয়ালজের মধ্যে একজন।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
05 Nov 2024, 01:43 PM
যুক্তরাষ্ট্রে ভোটগ্রহণ শুরু
রেওয়াজ অনুযায়ী মঙ্গলবার প্রথম প্রহরেই ভোট দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত সংলগ্ন নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের ছোট শহর ডিক্সভেল নচের ভোটাররা। আর এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
ডিক্সভেল নচের হেমলেট এলাকার সাবেক বালসামস হোটেলের হেল হাউসে স্থানীয় ভোটাররা তাদের রায় জানান। তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফলও ঘোষণা করা হয়। ওই কেন্দ্রে পড়া ৬টি ভোট ভাগ হয়ে গেছে দুই শিবিরে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প দুজনই পেয়েছেন তিনটি করে ভোট।
জনমত জরিপেও এ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছিল। তবে কেন্দ্রভিত্তিক এই ফল থেকে সারা দেশের চূড়ান্ত ফলের আভাস পাওয়া যায় না।
২০২০ সালে এই কেন্দ্রে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জিতেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তার আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনে এ কেন্দ্রে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন জিতেছিলেন; কিন্তু সারা দেশের ভোট শেষে হোয়াইট হাউসে পৌঁছে গিয়েছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
তথ্যসূত্র: সিএনএন
05 Nov 2024, 01:34 PM
লাইভ ব্লগে স্বাগত!
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আমাদের লাইভ ব্লগে স্বাগত! সঙ্গে আছি লাবণ্য কাবিলী, আফসার বিপুল ও রোকন রাকিব।