চার হাজার ৩০০ বছর খোলা হয়নি, এমন এক পাথরের কফিনের ভেতর থেকে স্বর্ণ পাতায় মোড়ানো একটি মমি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
হেকাশেপেস নামে এক ব্যক্তির দেহাবশেষের এ মমিকে এখন পর্যন্ত মিশরে পাওয়া অন্যতম প্রাচীন এবং পূর্ণাঙ্গ অ-রাজকীয় মৃতদেহ মনে করা হচ্ছে।
কায়রোর দক্ষিণে সাক্কারা সমাধিক্ষেত্রে ৫০ ফুট খাদের নিচে পাওয়া ৪টি কবরের একটিতে এ সোনায় মোড়ানো মমি মেলে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
চারটি কবরে পাওয়া মমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় মমিটি বলা হচ্ছে খ্নুমজেদেফ নামে এক ব্যক্তির, যিনি একাধারে ছিলেন পুরোহিত, পরিদর্শক ও অভিজাতদের তত্ত্বাবধানকারী।
মেরি নামের এক ঊর্ধ্বতন প্রাসাদ কর্মকর্তার মমিও পাওয়া গেছে, যাকে ‘সিক্রেট কিপার’ খেতাব দেওয়া হয়েছিল, যা তাকে বিশেষ ধর্মীয় আচার পালনের অধিকার দিয়েছিল।
অন্য কবরে ফেতেক নামের এক বিচারক ও লেখক শুয়ে ছিলেন বলে অনুমান করা হচ্ছে, যেখানে বেশকিছু মূর্তিও পাওয়া গেছে। ওই এলাকায় এখন পর্যন্ত এই মূর্তিগুলোর চেয়ে বড় মূর্তি মেলেনি বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এসব কবরে মৃৎপাত্রসহ আরও জিনিসপত্রও পাওয়া গেছে।
এসবই খ্রিস্টপূর্ব দুই হাজার ৫০০-র কাছাকাছি সময় থেকে দুই হাজার ২০০ সালের মধ্যকার, বলেছেন মিশরের সাবেক পুরাকীর্তি মন্ত্রী প্রত্নতত্ত্ববিদ জাহি হাওয়াস।
“এই আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এটি রাজাদের সঙ্গে তাদের আশপাশে থাকা লোকদের সংযুক্ত করছে,” বলেছেন খননকাজে জড়িত আরেক প্রত্নতত্ত্ববিদ আলি আবু দেশিশ।
তিন হাজারেরও বেশি বছর ধরে সমাধিক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া সাক্কারা ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় আছে।
এক ডজনেরও বেশি পিরামিডের আবাসস্থল এই সাক্কারা প্রাচীন মিশরীয় রাজধানী মেম্ফিসেরও অংশ ছিল।
পর্যটন খাত পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা মিশরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তির খোঁজ মিলেছে।
চলতি বছর তাদের গ্র্যান্ড ইজিপ্সিয়ান মিউজিয়ামও খোলার কথা; এটি ২০২৮ সাল নাগাদ বছরে ৩ কোটি পর্যটককে আকৃষ্ট করবে বলে দেশটির সরকার আশা করছে।