যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তি আলোচনার টেবিলে আছে। ইসরায়েল সেটি অনুমোদন করেছে। এখন কেবল হামাসের স্বাক্ষরের অপেক্ষা।
Published : 03 Mar 2024, 07:18 PM
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য রোববার মিশরের রাজধানী কায়রোয় পৌঁছেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাসের প্রতিনিধি দল। ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য তারা কায়রোয় গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তি আলোচনার টেবিলে আছে। ইসরায়েল সেই চুক্তি অনুমোদন করেছে। এখন কেবল হামাসের স্বাক্ষরের অপেক্ষা।
তবে বিবাদমান দুই পক্ষ ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কোনও অগ্রগতির সামান্যই তথ্য দিয়েছে।
হামাসের প্রতিনিধিরা পৌঁছানোর পর এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, চুক্তি এখনো টেবলে নেই। ওদিকে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকেও তাদের প্রতিনিধিদের আলোচনায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে সরকারিভাবে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।
আলোচনার বিষয়ে ব্রিফিং দিয়ে একজন বলেছেন, হামাস এখনও জীবিত থাকা জিম্মিদের পূর্ণ তালিকা না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল কায়রোর আলোচনা থেকে দূরে সরে থাকতে পারে।
জিম্মিদের এই তালিকা দেওয়ার সময় এখন আসেনি বলে হামাস এতদিন এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে এসেছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তা।
তবুও মার্কিন এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, এ মুহূর্তে যুদ্ধবিরতির পথ সোজাসাপ্টা। টেবিলে এরই মধ্যে একটি চুক্তি আছে। এটি একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি।
চুক্তি হলে গাজা যুদ্ধে এই প্রথম দীর্ঘকালীন যুদ্ধবিরতি হবে। এ পর্যন্ত গত নভেম্বরে মাত্র এক সপ্তাহের জন্য লড়াইয়ে বিরতি হয়েছিল।
বিবিসি জানায়, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে- এমন কথা হামাস জানিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মিশরের গণমাধ্যমে হামাসের এক সূত্র বলেছে, তাদের দাবি ইসরায়েল মেনে নেবে কিনা তার ওপর নির্ভর করছে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি।
গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি আছে বলে ত্রাণ সংস্থাগুলোর সতর্কবার্তার পর সেখানে যুদ্ধবিরতি করার জন্য চাপ বেড়েছে।