টেসলা প্রধানের মামলার বিপরীতে ওপেনএআই বলেছে, মাস্কের সঙ্গে কোনও ধরনের ‘ফাউন্ডিং অ্যাগ্রিমেন্ট’ বা অন্য কোনও চুক্তি করেনি কোম্পানিটি।
Published : 13 Mar 2024, 03:12 PM
নিজেদের বিরুদ্ধে ইলন মাস্কের করা মামলাকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’, ‘ফালতু’ ও ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে আখ্যা দিয়েছে ওপেনএআই।
সোমবার আদালতে জমা দেওয়া এক নথিতে বিষয়টি উল্লেখ করে জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’র নির্মাতা কোম্পানিটি। এই মাসের শুরুতে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন স্টার্টআপ কোম্পানিটির এক সময়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। তার যুক্তি ছিল, ওপেনএআই নিজের মূল মিশন থেকে সরে এসেছে, যা হল মানবতার পক্ষে কাজ করা।
টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান মাস্কের দাবি, এআই স্টার্টআপ কোম্পানিটির প্রধান স্যাম অল্টম্যান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রকম্যান কোম্পানিকে ‘ওপেনসোর্স’ ও অলাভজনক হিসেবে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৫ সালে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে, এখন এর পরিবর্তে লাভের মুখ দেখার প্রতি বেশি মনযোগ দিয়েছে কোম্পানিটি।
মাস্কের অভিযোগ, লাভের মুখ দেখার মাধ্যমে এআই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠাকালীন চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
এর জবাবে আদালতে জমা দেওয়া এক নথিতে মার্কিন ধনকুবের মাস্কের এমন দাবিকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’, ‘ফালতু’, ‘অস্বাভাবিক’ ও ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে আখ্যা দিয়েছে ওপেনএআই।
টেসলা প্রধানের মামলার বিপরীতে ওপেনএআই বলেছে, মাস্কের সঙ্গে কোনও ধরনের ‘ফাউন্ডিং অ্যাগ্রিমেন্ট’ বা অন্য কোনও চুক্তি করেনি কোম্পানিটি।
ওপেনএআইয়ের দাবি, মাস্ক নিজের করা মামলায় যে সম্ভাব্য প্রতিষ্ঠাকালীন চুক্তির কথা উল্লেখ করেছেন, তা স্রেফ ‘তার নিজের বাণিজ্যিক স্বার্থ এগিয়ে নেওয়ার’ লক্ষ্যে নকশা করা।
আরও খবর:
মাস্কের ইমেইল প্রকাশ করে চলমান দ্বন্দ্বে ‘ঘি ঢালল’ ওপেনএআই
মাস্কের দাবি করা এ চুক্তিকে ‘কাল্পনিক’ বলেও আখ্যা দিয়েছে ওপেনএআই। পাশাপাশি, তারা উল্লেখ করে, ‘প্রাথমিকভাবে মাস্ক কোম্পানিটিকে সমর্থন করলেও পরবর্তীতে এটি ছেড়ে চলে যান। আর শেষমেশ তাকে ছাড়াই যে কোম্পানিটি সাফল্য অর্জন করতে পারে, সেটিও দেখেছেন তিনি।’
আদালতে জমা দেওয়া নথিতে ওপেনএআই বলেছে, মাস্কের দেওয়া প্রমাণেই দেখা যায়, কোম্পানিটি থেকে লাভের মুখ দেখতে চেয়েছিলেন মাস্ক নিজেই, যেখানে এর পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে রাখতে চেয়েছেন তিনি।
ওপেনএআইয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যেগুলোকে মাস্ক ‘মিথ্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বলে উঠে এসেছে মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে।