এদের মধ্যে একজন প্রকৌশলী আরেকজন শৌখিন রকেট নির্মাতা। বড়দিন সেলিব্রেট করতে তারা ক্রিসমাস ট্রিবাহী ‘ক্রাইস্টমিসাইল’ বানিয়েছিলেন মাত্র তিন দিনে।
Published : 26 Dec 2022, 04:29 PM
বড়দিন উদযাপন করতে রকেটের সঙ্গে ক্রিসমাস ট্রি জুড়ে দিয়ে সেই রকেট উৎক্ষেপণ করেছেন একদল শৌখিন রকেট নির্মাতা। রকেটের এই অভিনব যাত্রা নির্মাতাদের মন ভরাতে না পরলেও, প্যারাসুট থাকায় নিরাপদেই ক্রিসমাস ট্রি নিয়ে ভূমিতে ফিরেছে সেটি।
রকেটের ওপর ৮ ফুটিউচ্চতার ক্রিসমাস ট্রি বসিয়ে সেই রকেট উৎক্ষেপণের মূল পরিকল্পনা ছিল দুই ইউটিউবারের। এর মধ্যে জাইলা ফক্সলিন একজন প্রকৌশলী আর জো বার্নার্ড একজন শৌখিন রকেট নির্মাতা। বড়দিন উদযাপনের লক্ষ্যে তারা ক্রিসমাস ট্রিবাহী ‘ক্রাইস্টমিসাইল’ বানিয়েছিলেন মাত্র তিন দিনে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মোহাভি মরুভূমি থেকে রকেট উৎক্ষেপণও করেছেন তারা। মাথার ওপর বেশ কিছুক্ষণ চক্কর দিয়ে প্যারাসুট ব্যবহার করে নিরাপদেই মাটিতে নেমে এসেছে রকেটটি।
আর এর প্রাথমিক পরিকল্পনা, নির্মাণ প্রক্রিয়া আর উৎক্ষেপণ পর্যন্ত সব নিয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে পোস্ট করেছেন উভয় ইউটিউবার।
রকেট যাত্রী ক্রিসমাস ট্রির জন্য ৩০০ অলঙ্কারের নকশা করেছিলেন ফক্সলিন। বড়দিন উদযাপনের ঐতিহ্য মেনে তারকাসদৃশ অলঙ্কার ছিল সেই ক্রিসমাস ট্রির চূড়ায়। কিন্তু মূল রকেটটিকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগই নেই; পুরোদস্তুর সলিড-স্টেট রকেট মোটর ছিল এতে।
বিশেষ এই রকেটযাত্রার ভিডিও ধারণ করতে এর সঙ্গে একটি ‘ইনস্টা৩৬০ এক্স৩’ ক্যামেরা জুড়ে দিয়েছিলেন ইউটিউবার জো বার্নার্ড। রকেট থেকে আলাদা হয়ে গেলে নিরাপদ অবতরণের জন্য ক্যামেরাটির সঙ্গেও ছিল আলাদা প্যারাসুট। এ ছাড়াও রকেট যাত্রী ক্রিসমাস ট্রিকে এলইডি বাতির তার দিয়ে সাজানোর কাজটিও করেছিলেন বার্নার্ড নিজেই।
সূর্য অস্ত যাচ্ছে, এমন সময়ে ১৮ কেজি ওজনের ক্রিসমাস ট্রিবাহী রকেটটি লঞ্চ করেন ইউটিউবাররা। কিছুদূর উপরে উঠেই একদিকে কাত হয়ে ওড়া শুরু করে এটি।
তবে, এমন পরিস্থিতির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে রকেটের সঙ্গে প্যারাসুট বেঁধে দিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। প্যারাসুট খুলে নিরাপদেই নেমে আসে উড়ুক্কু ক্রিসমান ট্রি।
রকেটের ওপর গাছ বসিয়ে উৎক্ষেপণ খেপাটে ভাবনা মনে হলেও এর পেছনে যৌক্তিক কারণও আছে। আদতে বিজ্ঞান, গণিত আর প্রকৌশলের মত বিষয়গুলোর প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়াতে চাইছেন জাইলা ফক্সলিন এবং জো বার্নার্ডের মত ইউটিউবাররা।
বিজ্ঞান যে কেবল ল্যাবরেটরিতে ঘাড় গুজে অঙ্ক কষার বিষয় নয়; বরং নিখাদ বিনোদনের উৎসও হতে পারে, সেদিকেই আলোকপাতের চেষ্টা করেছেন তারা।