মহাকাশ বর্জ্য মোকাবেলার অন্যতম কার্যকর উপায় হতে পারে একে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে ফেলা অথবা এদেরকে নীচের দিকে নামিয়ে আনা যাতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
Published : 19 Feb 2024, 01:12 PM
ভবিষ্যতে মহাকাশ বর্জ্য পরিষ্কারের সম্ভাবনা পরখ করে দেখতে নতুন একটি নমুনা স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠিয়েছে জাপানভিত্তিক অ্যারোস্পেস কোম্পানি অ্যাস্ট্রোস্কেল।
রোববার নিউ জিল্যান্ড থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয়েছে ‘অ্যাডরাস-জে’ নামের এ মহাকাশযানটি, যা এখন অবস্থান করছে মহাকাশ কক্ষপথে। আর স্যাটেলাইটটি পাঠানো হয়েছে মার্কিন কোম্পানি রকেট ল্যাবের তৈরি ‘ইলেক্ট্রন’ রকেটে করে। রকেটটি বাছাই করেছে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা, যা তাদের ‘কমার্শিয়াল রিমুভাল অফ ডেব্রিস ডেমোন্সট্রেশন’ প্রকল্পের ‘ফেইজ ১’ বা প্রাথমিক ধাপ।
স্যাটেলাইটটি গিয়ে মিলিত হবে পুরোনো এক জাপানি রকেটের ওপরের ধাপের সঙ্গে, যা ২০০৯ সাল থেকেই মহাকাশ কক্ষপথে অবস্থান করছে।
পৃথিবীর কক্ষপথে কয়েক দশক ধরে পরিচালিত মহাকাশ অভিযানগুলো থেকে যে বর্জ্য জমা পড়েছে, তা একটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের বিষয়। আর এ সমস্যা মোকাবেলায় কাজ করছে বিশ্বের বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এমনকি বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানিও এর সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
মহাকাশ বর্জ্য মোকাবেলার অন্যতম কার্যকর উপায় হতে পারে একে কক্ষপথ থেকে সরিয়ে ফেলা অথবা এদেরকে নীচের দিকে নামিয়ে আনা যাতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়।
এদিকে, প্রথম স্যাটেলাইট হিসেবে মহাকাশের এক বড় টুকরা ধ্বংসস্তুপ পরীক্ষা করে দেখার লক্ষ্য নিয়েছে অ্যাডরাস-জে, যেখানে ভূপৃষ্ঠ থেকে পাওয়া ডেটার ওপর নির্ভর করে এর অবস্থান নির্ণয় করা হবে।
আগামী কয়েক মাসে স্যাটেলাইটটি নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি পৌঁছানোর চেষ্টা করবে ও ছবি তুলে এর সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দেখবে, যেখানে ধ্বংসস্তুপটি সরানোর যোগ্য কি না, সে পরীক্ষাও থাকবে।
“অ্যাডরাস-জে এরইমধ্যে নিজের দায়িত্ব শুরু করেছে ও কয়েকটি মহাকাশ বর্জ্যের সঙ্গে মেলবন্ধনের জন্যেও প্রস্তুত এটি,” এক্স-এ লিখেছে কোম্পানিটি।
“মহাশূন্যে টিকে থাকার প্রেক্ষাপটে নতুন এক যুগ শুরু হল এতে!”