গোটা এশিয়া জুড়ে বায়ুর গুণমান পরীক্ষণের প্রকল্পের অংশ হিসাবে নাসা তাইওয়ানের কিছু অংশে গবেষণা বিমান মোতায়েন করেছে।
Published : 29 Feb 2024, 02:34 PM
তাইওয়ানের আবহাওয়ায় বাতাসের মান ব্যবস্থাপনা উন্নতির লক্ষ্যে সেখানে নিজেদের দ্বিতীয় গবেষণা বিমান পাঠিয়েছে নাসা, যা ‘এশিয়া এয়ার কোয়ালিটি’ নামের এক প্রকল্পের আওতাধীন।
বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের পরিবেশ মন্ত্রণালয় বলেছে, এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি বিমান পাঠিয়েছিল নাসা।
মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ডিসি৮’ ও ‘জিথ্রি’ নামে দুটি গবেষণা বিমান পাঠানোর জন্য প্রস্তুত ছিল নাসা। তবে ‘ডিসি৮’ বিমানের ইঞ্জিনটি অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার কারণে শুধু ‘জিথ্রি’ বিমানটিই তাইওয়ানে পাঠানো হয়৷
এর মধ্যে ‘জিথ্রি’ বিমানটি বায়ু দূষণের কারণ জানাবে ও দূষণকারী ব্যবস্থার বিভিন্ন ‘থ্রিডাইমেনশনাল’ বা ত্রিমাত্রিক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন নিয়ে উচ্চ রেজুলিউশনে নির্ভুল তথ্য দেবে।
এর আগের এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, গোটা এশিয়াজুড়ে বাতাসের গুণমান পরীক্ষণের অংশ হিসাবে তাইওয়ানের কিছু অংশে গবেষণা বিমান মোতায়েন করেছে নাসা।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় যোগ করেছে, এই গবেষণা বিমানটিকে পুরোপুরি প্রস্তুত করে স্থিতিশীল আবহাওয়ার মধ্যে চালানো হয়েছিল। এ ছাড়া, ২৩ ফেব্রুয়ারি কোরিয়ায় তুষারপাত হওয়ার কারণে তাইওয়ানে নিজেদের মূল ফ্লাইটটি বাতিল করার কথা জানায় নাসা।
মন্ত্রণালয়ের ‘মনিটরিং অ্যান্ড ইনফরমেশন’ বিভাগের প্রধান শেই পিং হুই তাইওয়ানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএ’কে বলেছেন, বুধবার ‘ডিসি৮’ বিমানটি কাজ করতে না পারলেও একই দিন সকাল ১০টায় তাইওয়ানে পৌঁছানো ‘জিথ্রি’ বিমানটি স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে ও দেশটির ভূপৃষ্ঠ পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যও সংগ্রহ করে চলেছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ‘জিথ্রি’ বিমানটি মধ্য ও দক্ষিণ তাইওয়ানের টপোগ্রাফি বা ভূসংস্থান বিশ্লেষণ এবং কাওসিউং ও পিংতুং অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চালন ও বায়ু দূষণের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে ভূপৃষ্ঠের সাড়ে ২৮ হাজার (৮,৬০০ মিটার) ওপর দিয়ে ভ্রমণ করছে।
এ তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তাইওয়ানের প্রাসঙ্গিক সংস্থাগুলো দেশটির বায়ুর গুণগত মান পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা উন্নতিতে সহায়তার ক্ষেত্রে বিভিন্ন নতুন ব্যবস্থা ও কৌশল গ্রহণ করতে পারবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গবেষণা বিমানের বিষয়ে শেই বলেন, ‘ডিসি৮’ বিমানটি এ বছরই অবসরে যাবে। তাই এই প্রকল্পটিই সম্ভবত এর শেষ কাজ হতে চলেছে।
শেই বলেছেন, দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় নাসার সঙ্গে এ যৌথ উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে যাতে সংস্থাটির পাঠানো গবেষণা বিমানগুলো তাইওয়ানের পাশ দিয়ে উড়ে যেতে পারে। তবে, নাসার এশিয়া অংশের ঘাঁটি কোরিয়ার পিয়ংটেক শহরে অবস্থিত হওয়ায় স্থানীয় ফ্লাইটের সঙ্গে বিমানের সময়সূচী সমন্বয় করতে প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গেও আলোচনা করা জরুরী।
এ কারণে তাইওয়ানে নাসার পরবর্তী ফ্লাইটটি এখনও নিশ্চিত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন শেই।