“রাজনীতিতে নারীদের সরাসরি অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই অফলাইন ও অনলাইন উভয় জায়গাতেই নিরাপদ বোধ করতে হবে।”
Published : 21 Mar 2024, 02:14 PM
যুক্তরাজ্যের তিন চর্তুথাংশ নারী অনলাইনে রাজনৈতিক মত প্রকাশে ‘স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না’ বলে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
‘অ্যালান টিউরিং ইনস্টিটিউট’-এর নতুন এই গবেষণা অনুসারে, এই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করার পেছনে রয়েছে অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির শিকার হওয়ার শঙ্কা।
যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর করা এ সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ নারীর মধ্যে অনলাইনে বিদ্বেষ, বিদ্রুপ ও অন্যান্য ক্ষতিকর আচরণের শিকার হওয়ার ভয় কাজ করে। একই আচরণ পুরুষের বেলায় হলেও নারীদের ক্ষেত্রে অভিযোগ এসেছে পুরুষদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
সমীক্ষা অনুসারে, পুরুষ ও নারীরা সমানভাবে অনলাইনে ক্ষতিকর কনটেন্ট দেখতে পেলেও এর মধ্যে নারীদের অনলাইনে সরাসরি আপত্তিকর কনটেন্টের লক্ষ্যবস্তু হওয়ার অভিযোগই বেশি।
‘অ্যালান টিউরিং ইনস্টিটিউট’ সতর্ক করে বলেছে, যেহেতু অনলাইন এখন নানা ধরনের আলোচনার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে, তাই রাজনীতি বিষয়ক আলোচনায় নারীর অংশগ্রহন না থাকলে তা গণপরিসরে লিঙ্গ বৈষম্য বৃদ্ধিকেই নির্দেশ করবে।
“সমাজের সব ধরনের মানুষ যেন নিরাপদ বোধ করেন ও অনলাইনে অংশগ্রহণ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজে অপরিহার্য,” বলেছেন এ গবেষণার সহ-প্রধান ও ‘অ্যালান টিউরিং ইনস্টিটিউটে’র সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ড. ফ্লোরেন্স এনক।
“এখন এটা আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ২০২৪ সালে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ ভোট দেবেন ও নির্বাচনকে ঘিরে অনেক আলোচনাই চলে আসবে অনলাইনে।”
“রাজনীতিতে নারীদের সরাসরি অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই অফলাইন ও অনলাইন উভয় জায়গাতেই নিরাপদ বোধ করতে হবে।”
‘অ্যালান টিউরিং ইনস্টিটিউট’ আয়োজিত ‘ডেটা সায়েন্স ও এআই’ সংশ্লিষ্ট দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের সঙ্গে মিল রেখে প্রকাশ করা হয় গবেষণাটি।