হামাস সমর্থক শত শত অ্যাকাউন্ট সরানোর দাবি এক্স সিইও’র

ছবি: রয়টার্স

এক্স থেকে সরানো হয়েছে হামাস সমর্থক শত শত অ্যাকাউন্ট --এমনই দাবি করেছেন সামাজিক মাধ্যমটির সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো।

ইয়াকারিনো আরও বলেন, ইসরায়েলে আক্রমণ চালানোর পর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র দলটির লেবেলযুক্ত হাজার হাজার কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এর আগে এক্স-এর মালিক ইলন মাস্ককে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের শিল্প প্রধান থিয়েরি ব্রেটন, যেখানে হামাসের আক্রমণ চালানোর পর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুল তথ্যের বিপরীতে ইইউ’র অনলাইন কনটেন্ট সংশ্লিষ্ট নীতিমালা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

ব্রেটন আরও বলেন, তার কাছে খবর ছিল যে, এর আগে টুইটার নামে পরিচালিত সামাজিক মাধ্যমটি থেকে অবৈধ কনটেন্ট ও ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি, ইয়াকারিনোর জবাব বিশ্লেষণ করে তার দল পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে, এমন কথাও বলেন তিনি।

সম্প্রতি চালু করা ‘ডিএসএ’র শর্ত অনুসারে, এক্স ও ফেইসবুক’সহ বিভিন্ন শীর্ষ সামাজিক মাধ্যম থেকে অবৈধ কনটেন্ট সরাতে হবে। আর জননিরাপত্তা ও নাগরিক আলোচনার মতো বিষয়গুলোতে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইয়াকারিনো বলেছেন, এই পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত কাজ করার লক্ষ্যে নিজেদের অভ্যন্তরীণ দলকে ঢেলে সাজিয়েছে এক্স। তবে এতে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে, তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেননি তিনি।

তিনি আরও যোগ করেন, আক্রমণের পরপরই বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি দল গঠন করেছে কোম্পানিটি।

“বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে আমরা আপনার ও আপনার দলের সঙ্গে বৈঠক’সহ সকল পদক্ষেপকেই স্বাগত জানাই।” --ব্রেটনের উদ্দেশ্যে এক্স-এ পোস্ট করা চিঠিতে বলেন ইয়াকারিনো।

ওই চিঠি অনুসারে, ইইউ’র বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে তাদের ৮০টির বেশি অবৈধ কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ রেখেছে এক্স।

বুধবার মেটাকেও একই সতর্কবার্তা দিয়েছেন ব্রেটন। আর ইসরাইলে আক্রমণ চালানোর পর কোম্পানি সামাজিক মাধ্যমগুলোতে এই ধরনের ক্ষতিকারক কনটেন্ট কীভাবে ঠেকাবে, ইইউ’কে তা জানাতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি।