মিনিটেই চোখ দেখে হৃদরোগের ঝুঁকি বলে দেবে এআই!

রেটিনার শিরা ও ধমনীর ছবি বিশ্লেষণ করে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে বিদ্যমান তথ্য উপাত্তের সমন্বয় করে রোগীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি নির্ণয় টুলটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2022, 11:05 AM
Updated : 6 Oct 2022, 11:05 AM

এক মিনিটের কম সময়ে চোখ স্ক্যান করে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কতোটুকু, তা বাতলে দিতে পারবে নতুন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) টুল।

অভিনব এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চক্ষু বিশেষজ্ঞ আর স্বাস্থ্যখাতের কর্মীরা ক্যামেরা দিয়েই হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকির খোঁজে পরীক্ষা চালাতে পারবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এ ক্ষেত্রে রক্তচাপ পরীক্ষা বা রোগীর শরীর থেকে রক্ত নিয়ে পরীক্ষাগারে পাঠানোর কোনো প্রয়োজন পড়বে না বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।

‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ অপথালমোলজিস্ট’ সাময়িকীতে সম্প্রতি নিজেদের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন এর উদ্ভাবকরা।

গবেষণায় উঠে এসেছে, এআই ব্যবহার করে চোখের রেটিনার শিরা ও ধমনীর ছবি বিশ্লেষণ করে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কতোটা, তা নির্ধারণ করা সম্ভব।

গবেষকরা বলছেন, হৃদরোগের মাঝারি বা উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন যেসব মানুষ, তাদের পরীক্ষার জন্য কোনো হাসপাতালে না নিয়েই এ প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের শারীরিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা সম্ভব।

“এই এআই টুল ৬০ সেকেন্ড বা তারও কম সময়ের পরীক্ষায় বলে দিতে পারবে ঝুঁকির মাত্রা কতোটুকু,” গার্ডিয়ানকে বলেছেন গবেষণা প্রতিবেদনের মূল লেখক অধ্যাপক আলিজিয়া রুদনিচকা।

কোপেনহেগেনে আয়োজিত এক সম্মেলনে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন, সেইন্ট জর্জের স্ট্যাটিসটিকাল এপিডেমিওলজির এ অধ্যাপক বলেন, “হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে জীবন রক্ষা করতে পারে এ প্রযুক্তি।”

গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গবেষকরা এআই টুলটির নাম দিয়েছেন ‘কোয়ার্টজ’। রেটিনার শিরা ও ধমনির ছবি বিশ্লেষণ করে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে বিদ্যমান তথ্য উপাত্তের সমন্বয় করে রোগীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি নির্ধারণ করে টুলটি।

গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গবেষণার স্বার্থে ৪০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ৮০ হাজার ৫২ জন অংশগ্রহণকারীর রেটিনা স্ক্যান করে ছবি সংগ্রহ করেছিলেন গবেষকরা। ছবিতে রেটিনার শিরা ও ধমনিগুলো কতোটা চওড়া, কতোটা বাঁকা এবং দৈর্ঘ্য বিবেচনায় নিয়ে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটকসহ অন্যান্য অসুখের ঝুঁকি নির্ণয় করে কোয়ার্টজ।

পরবর্তীতে ৪৮ থেকে ৯২ বছর বয়সী আরও সাত হাজার ৪১১ জন অংশগ্রহণকারীর রেটিনার ছবিতে এআই টুলের মডেল প্রয়োগ করেন গবেষকরা। অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যের ওপর গড়ে সাত থেকে নয় বছর করে নজর রেখেছেন গবেষকরা।