৪৫ দিনে ‘মঙ্গলে মানুষ পাঠানো রকেটে’ বিনিয়োগ নাসার

ধারণাটি এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডা’র অধ্যাপক রায়ান গসের কাছ থেকে। তার দাবি, এই ‘বাইমোডাল’ নকশা সুদূর মহাকাশ অভিযান খাতে ‘বিপ্লব ঘটাবে’।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2023, 11:19 AM
Updated : 24 Jan 2023, 11:19 AM

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এমন এক পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন রকেট তৈরির পেছনে বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে, যা মঙ্গলগ্রহে যাত্রার সময় সাত মাস থেকে কেবল ৪৫ দিনে নামিয়ে আনতে পারবে।

‘বাইমোডাল নিউক্লিয়ার থার্মাল রকেট’ নামে পরিচিত নভোযানটি সৌরজগতে মানুষ ও পণ্য বহনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে, আন্তঃগ্রহ যাত্রায় দীর্ঘ সময় বিকিরণে উন্মুক্ত হয়ে থাকার ঝুঁকিও কমে আসবে।

ধারণাটি এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডা’র অধ্যাপক রায়ান গসের কাছ থেকে। তিনি দাবি করেন, এই ‘বাইমোডাল’ নকশা সুদূর মহাকাশ অভিযান খাতে ‘বিপ্লব ঘটাবে’।

বিশাল ঝুঁকির পাশাপাশি বিশাল প্রাপ্তিযোগ আছে এমন বেশ কিছু প্রকল্পে বিনিয়োগে লক্ষ্যস্থির করেছে নাসা। আগামী কয়েক দশকে মহাকাশ অভিযানে নাটকীয় ফল দেওয়ার এমন অন্যতম সম্ভাবনাময় উদ্যোগ হিসেবেই এতে অর্থায়ন করছে নাসা।

“সরকার ও এই পুরো শিল্প এক সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে মহাকাশে পারমাণবিক যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।”--বলেন ‘স্পেস টেকনোলজি মিশন’ বিভাগে নাসার সহকারী প্রশাসক জিম রয়টার।

“নকশা বিষয়ক এইসব চুক্তি মহাকাশ অভিযানে ব্যবহারযোগ্য পারমাণবিক ইঞ্জিন তৈরির উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ। একদিন এটি বিভিন্ন নতুন অভিযান ও চোখ ধাঁধানো আবিষ্কারের দিকেও হয়তো আমাদের নিয়ে যাবে।”

‘৫০ থেকে ৮০’র দশক পর্যন্ত, মহাকাশ যাত্রায় পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারে ‘নিউক্লিয়ার-থার্মাল প্রোপালশন (এনটিপি)’র সম্ভাবনা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন মহাকাশ প্রকল্পে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে।

২০০০ দশকে, ‘নিউক্লিয়ার-ইলেকট্রিক প্রোপালশন (এনইপি)’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুন এক ধরনের রকেট তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়েছিল নাসা। এটি রকেটের ইঞ্জিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহার করেছে, যা থ্রাস্ট হিসাবে ব্যবহারের জন্য ‘বিদ্যুচ্চৌম্বকীয় ফিল্ড’ তৈরি করে গ্যাসকে আয়নিত করতে পারে।

অধ্যাপক গসে’র প্রস্তাবনায় ‘এনটিপি’ ও ‘এনইপি’ উভয় প্রযুক্তির সংমিশ্রণে ‘বাইমোডাল’ প্রক্রিয়ায় তাত্ত্বিকভাবে রকেটের গতি দ্বিগুণ করা সম্ভব, আর উভয় প্রযুক্তিই এটি উৎপাদন করতে পারবে বলে উঠে এসেছে ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে।