“আমাদের ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট-এ এমন কিছু নেই যা কোনো প্ল্যাটফর্মকে আইনসিদ্ধ কনটেন্ট সরাতে বাধ্য করে।”
Published : 09 Jan 2025, 03:26 PM
ইইউ’র ডেটা আইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সেন্সর করা হচ্ছে বলে মেটা প্রধান মার্ক জাকারবার্গের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপীয় কমিশন।
বুধবার ইউরোপীয় কমিশন জাকারবার্গের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তাদের নজর কেবল বিভিন্ন বড় প্লাটফর্মে অবৈধ কনটেন্ট সরানোর দিকে।
মেটা সম্প্রতি নিজেদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ প্রোগ্রাম বাতিল করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স। জাকারবার্গ বলেছেন, গোটা বিশ্বে সেন্সরশিপ বন্ধ করতে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি।
“ইউরোপে সেন্সরশিপকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি আইন রয়েছে, যা ক্রমাগত বাড়ছে। ফলে সেখানে উদ্ভাবনী কিছু তৈরি করাকে কঠিন করে তুলছে এসব আইন।”
ইউরোপীয় কমিশনের ইইউ নির্বাহী বলেছেন, তাদের ডিজিটাল পরিষেবা আইন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মকে বৈধ কনটেন্ট সরাতে বাধ্য বা অনুরোধ করে না। বরং শিশু বা ইইউ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন কনটেন্ট সরানোর জন্য অনুরোধ করে তারা।
“আমাদের পক্ষ থেকে সেন্সরশিপের যে কোনো দাবি আমরা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছি,” বলেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান মুখপাত্র পলা পিনহো।
এদিকে, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রযুক্তি সার্বভৌমত্ব, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও গবেষণা বিষয়ক মুখপাত্র টমাস রেগনিয়ার বলেছেন, “আমাদের ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট-এ এমন কিছু নেই যা কোনো প্ল্যাটফর্মকে আইনসিদ্ধ কনটেন্ট সরাতে বাধ্য করে।”
জাকারবার্গ বলেছেন, নিজেদের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রাম বাতিল’সহ ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস-এ ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর মতো ‘কমিউনিটি নোট’ চালু করবে তারা, যেখানে পোস্টের নির্ভুলতা সম্পর্কে মন্তব্যের বিষয়টি থাকবে ব্যবহারকারীদের ওপর।
কমিশন বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই ধরনের ব্যবস্থা ব্যবহারের জন্য কোনো প্ল্যাটফর্মকে একটি ঝুঁকি মূল্যায়ন পরিচালনা করতে হবে এবং এটি ইইউ নির্বাহীর কাছে পাঠাতে হবে।
ইইউ’র একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইইউ কনটেন্ট মডারেশনের জন্য কী ধরনের ফর্ম গ্রহণ করা উচিত তা নির্ধারণ করেনি তারা। এক্ষেত্রে ‘কমিউনিটি নোট’ একটি সম্ভাবনাময় বিষয় হতে পারে।
“একটি প্ল্যাটফর্ম যে মডেলই বেছে নিক না কেন তা কার্যকর হওয়া দরকার এবং আমরা সে বিষয়টিই দেখছি... তাই আমরা কেবল বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের গৃহীত ও প্রয়োগ করা ব্যবস্থা বা কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ নীতিগুলোর কার্যকারিতা ইইউ আইনের আওতায় পরীক্ষা করে দেখছি,” বলেছেন মুখপাত্র।