চ্যাটজিপিটি তিনি যোগ করলেন উইনডোজ ৩.১ পিসিতে

উইন্ডোজ ৩.১ পিসির জন্য চ্যাটজিপিটির একটি ক্ষুদে সংস্করণ বানিয়েছেন একজন ডেভলোপার, যা বহুকাল আগেই অতীত হয়ে যাওয়া ৩৮৬ চিপেও চালানো সম্ভব।

এই অজ্ঞাতনামা ডেভলাপার এর পূর্বে উইন্ডোজ ৩.১ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য উইন্ডেল গেইমসেরও একটি ক্লোন বানিয়েছিলেন। এবার নতুন সংস্করণটির নাম তিনি দিয়েছেন ‘উইনজিপিটি’।

“আমি চেয়েছি আমার ১৯৯৩ সালের ‘গেটওয়ে ৪ডিক্স২-৬৬’ পিসিটি এআই বিল্পব থেকে বঞ্চিত না হোক।”

“তাই আমি ওপেনএআইয়ের এপিআই দিয়ে উইন্ডোজ ৩.১ এর জন্য একটি এআই সহকারী বানিয়েছি” – হ্যাকার নিউজের একটি থ্রেডে তিনি লিখেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভার্জ।

নতুন এই উইনজিপিটি লেখা সি ল্যাঙ্গুয়েজে আর ওপেনএআইয়ের এপিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে টিএলএস ১.৩ ব্যবহার করে, তাই এটি তৈরিতে আধুনিক কোনো কম্পিউটারের ব্যবহার করতে হয়নি।

উইন্ডোজ ৩.১ এর জন্য অ্যাপটিকে বানাতে মেমোরি বন্টন সমন্বয়ের পাশাপাশি উইন্ডোজের একটি ১৬-বিটের সংস্করণের চালানোর উপযোগী করে ইউজার ইন্টারফেইস বানাতে পারা বেশ চমকপ্রদ ঘটনা।

নিওউইন ডটনেট বলেছে, কেবল মেমোরি সীমাবদ্ধতার কারণে কথোকপথনের বিষয়বস্তু হজম করতে না পারায় তে চ্যাটজিপিটির এই সংস্করণটি পুর্ণাঙ্গ জবাব দিতে পারছে না। আর উইনজিপিটির আইকন বানানো হয়েছে বোরল্যান্ড ইমেজ এডিটর দিয়ে যা মাইক্রোসফট পেইন্টের একটি ক্লোন, যা আইসিও ফরম্যাটের ফাইল তৈরি করতে সক্ষম।

“আমি ইউআইয়ের বেশিরভাগ অংশ সরাসরি সি-তে লিখেছি, যার অর্থ হলো ইউআইয়ের প্রতিটা অংশের জন্য আলাদাভবে কোড লিখতে হয়েছে।”

অজ্ঞাতনামা ডেভলোপার আরও বলেছেন “উইন্ডোজ ৩.১-এ যে কোনো প্রোগ্রাম চালানোর স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল সেট খুবই সীমিত, যা আমাকে খুবই অবাক করেছে।”

“আপনি হয়তো – পুশ বাটন, চেক বক্স, রেডিও বাটন, এডিট বক্স এগুলো পাবেন – তবে এর বাইরে আর কিছুই নেই, এমনকি অপারেটিং সিস্টেমটি যেসব ব্যবহার করেছে, সেগুলোও নয়।”

আপনার চিলেকোঠা, গারাজ কিংবা বেইজমেন্টে যদি এখনও একটি ধুলোয় ধূসরিত উইন্ডোজ ৩.১ যন্ত্র পড়ে থাকে তহলে আপনিও ১৬-বিট বা ৩২-বিটের উইনজিপিটি ডাউনলোড করতে পারবেন ডায়ালআপ ডটনেট থেকে, পুরনো উইন্ডোজ অ্যাপের জন্য যা সম্ভবত সবচেয়ে উপযুক্ত ডোমেইন।