অবশেষে লন্ডনের কালো ক্যাবের জন্য সাদা পতাকা উবারের

| ছবি: রয়টার্স

দীর্ঘ এক দশকের রেষারেষির মধ্যেই লন্ডন শহরের ঐতিহ্য হিসাবে পরিচিত কালো ট্যাক্সি ক্যাবের সঙ্গে যুক্ত হতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবার।

লন্ডনের এই ক্যাবগুলো চালাতে হলে শহরটিতে জালের মতো ছড়িয়ে থাকা হাজারটা অলিগলি মুখস্ত করে তার পরীক্ষাও দিতে হয় চালকদের। উবার এই চালকদের জীবিকায় ঝুঁকি সৃষ্টি করছে, দীর্ঘদিন যাবত এই অভিযোগ করে আসছেন তারা।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে নতুন সেবা চালু করবে উবার, যার মাধ্যমে কালো ক্যাবের চালকেরা প্ল্যাটফর্মটিতে যুক্ত হতে পারবেন, এবং প্রথম ছয় মাস তাদের থেকে কোনো কমিশন নেবে না মার্কিন কোম্পানিটি।

কিন্তু কালো ক্যাব চালকদের একটা বড় অংশ এমন প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন তারা এমন অফার কখনোই তাদের চাওয়া ছিলো না।

“উবারের অতি নিন্ম নিরাপত্তা রেকর্ড এবং অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে লন্ডন শহরের ঐতিহ্য, বিশ্ববিখ্যাত কালো ট্যাক্সি ক্যাবের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই।” – বলেছেন লাইসেন্সড ট্যাক্সি ড্রাইভার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এলটিডিএ) সাধারণ সম্পাদক স্টিভ ম্যাকনামারা।

কালো ক্যাবগুলো হ্যাকনি ক্যারিজ নামেও পরিচিত, যেটি লন্ডনের একমাত্র বাহন যা রাস্তা কিংবা ট্র্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী ওঠাতে পারে। যাত্রীরা চাইলে অন্যান্য অ্যাপের মাধ্যমেও এই ক্যাবগুলোকে বুক করতে পারে।

উবারের পাঁচটি শীর্ষ বাজারের মধ্যে লন্ডন একটি, এবং কোম্পানিটি প্যারিস, নিউ ইয়র্ক এবং রোমের মতো এই শহরের ট্যাক্সি চালকদেরও তাদের প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করতে চাইছে। যাতে ভবিষ্যতে যাত্রী এবং চালক উভয়েই উপকৃত হবে বলে দাবি করেছে কোম্পানিটি।

লন্ডনের ক্যাব চালকেরা প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে তাদের ও প্ল্যাটফর্মটির মধ্যকার সম্পর্কের পুরনো বৈরিতা দূর হতে পারে, মন্তব্য উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

এই বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করলে ক্যাব চালকেরা ২০১৪ সালে রাস্তা অবরোধ করে উবারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে, এবং তারপরও প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে সরব থেকেছে তারা।

হামিদ হামিদি নামের লন্ডনের একজন ক্যাব চালক রয়টার্সকে বলেছেন, একদম শুরুতেই তিনি উবারে নাম লেখাতে চান, এবং এর ফলে তার রোজগারে “অনেক সুবিধা” বাড়বে।

“শেষ পর্যন্ত, আরও বেশি যাত্রী ট্রিপ বুকিং দেওয়ার অর্থ, ক্যাবে আরও বেশি আয়” হবে, বলেন তিনি।