‘জি ফোল্ড ৬’ ফোনের দাম শুরু এক হাজার আটশ ৯৯ ডলার থেকে। গত বছরের মডেলের চেয়ে এর দাম বেড়েছে মাত্র একশ ডলার।
Published : 11 Jul 2024, 05:55 PM
নিজেদের নতুন ফোল্ডএবল ফোনের প্রথম ঝলক দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরীয় টেক জায়ান্ট স্যামসাং।
এখন পর্যন্ত ফ্ল্যাগশিপ মডেলটির সবচেয়ে দামী সংস্করণ এটি, যা এর আগের মডেলগুলোর চেয়ে ওজনে হালকা ও পাতলা। আর প্রিমিয়াম শ্রেণির ফোনের বাজারে অ্যাপলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর লক্ষ্যে এআই সক্ষমতাও যোগ হয়েছে এতে।
এদিকে, স্মার্টওয়াচের মতো পণ্যের চাহিদা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন হেলথ মনিটরিং সুবিধাও আনছে স্যামসাং। আর সহজে হেলথ মনিটরিং ও স্ক্রিন নিয়ন্ত্রণের সুবিধা দিতে বুধবারের ‘আনপ্যাকড’ আয়োজনে নতুন ‘স্মার্ট রিং’ও উন্মোচন করেছে কোম্পানিটি।
বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিটি নিজেদের প্রথম ফোল্ডএবল শ্রেণির ফোন চালু করেছিল ২০১৯ সালে। তবে ডেটা সরবরাহক কোম্পানি ক্যানালিসের তথ্য অনুসারে, বুধবারের উন্মোচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ, ২০২৩ সালে কোম্পানির ফোল্ডএবল ফোনের শিপমেন্ট কমে এসেছে ৬৩ শতাংশে, যা ২০২২ সালেও ছিল ৮১ শতাংশ। একই সময়ে বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
এর প্রতিক্রিয়ায়, গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ‘গ্যালাক্সি জি ফোল্ড ৬’ ফোনটিকে একেবারে হালকা ও পাতলা ধাঁচের করে বানিয়েছে স্যামসাং।
এমনকি এর ব্যাটারির আয়ু, ক্যামেরার রেজোলিউশন বাড়ানোর পাশাপাশি ফোনকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য এতে একটি নতুন বায়ুশূন্য চেম্বারও যোগ হয়েছে। আর এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার আগে গ্রাহকদের সাক্ষাৎকারও নিয়েছে কোম্পানিটি।
বুধবারের আয়োজনে কোম্পানি ‘জি ফ্লিপ ৬’ ফোনের দাম ধরেছে এক হাজার ৯৯ ডলার। আর ‘জি ফোল্ড ৬’ ফোনের দাম শুরু এক হাজার আটশ ৯৯ ডলার থেকে। গত বছরের মডেলের চেয়ে এর দাম বেড়েছে মাত্র একশ ডলার, যেখানে তিন বছর ধরে ফোনের দাম একই রাখার পর এর কাঁচামাল কেনার খরচ কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় এমনটি করেছে স্যামসাং।
এতে বিভিন্ন নতুন এআই সক্ষমতাও এনেছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে রয়েছে ‘লিসনিং মোড’ নামের একটি সুবিধা, যাকে ‘গ্যালাক্সি বাডস’ ইয়ারফোনে যুক্ত করলে কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করার সুযোগ মিলবে। এমনকি নতুন এআই সক্ষমতা আনতে গুগলের সঙ্গেও কাজ করেছে স্যামসাং, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন গাণিতিক সমীকরণ সমাধান করার সুবিধাও।
এ ছাড়া, গ্যালাক্সি ওয়াচে বিভিন্ন নতুন স্বাস্থ্যবিষয়ক সুবিধা এনেছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন নতুন সেন্সর ও একটি তিন ন্যানোমিটারের চিপ, যা গত বছরের মডেলের চেয়ে তিনগুণ বুটিং ও প্রসেসিংয়ের কার্যকারিতা দিয়ে থাকে।
স্যামসাং বাজি ধরেছে, এইসব হেলথ মনিটরিং সুবিধা তাদের নতুন গ্যালাক্সি রিং ডিভাইসের জন্য বড় চাহিদা তৈরি করবে, যে পণ্যটির বিকাশে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করেছে কোম্পানিটি। তিন গ্রাম ওজনের এ রিংয়ের এর দাম ৩৯৯ ডলার, যা গোসল বা সাঁতার কাঁটার সময়ও পরে থাকা যাবে। আর এটি নিয়মিত ব্যবহারকারীর হার্ট রেট ও বিষণ্ণতার মাত্রা মনিটর করতে সক্ষম। পাশাপাশি, স্যামসাং ফোনের ক্যামেরা বা অ্যালার্ম নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক এটি।
২৪ জুলাই থেকে দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বাজারে পণ্যগুলো পাওয়া যাবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।