গেইমিং শিল্পে ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী খেলোয়াড় হয়ে উঠছে সৌদি আরব। গেইমিং খাতের কয়েকটি বড় প্রকাশকদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব রয়েছে পিআইএফ-এর।
Published : 13 Mar 2025, 05:25 PM
পোকেমন গো গেইম কিনতে এর নির্মাতা কোম্পানি নিয়ান্টিক-এর গেইমিং বিভাগকে সাড়ে তিনশ কোটি ডলার দেবে সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) বা বিনিয়োগ তহবিল।
এ গেইমটিতে বাস্তব জগতের মতো ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করা যায় এমন ভার্চুয়াল প্রাণীদের শিকার করতে হয় গেইমারদের। ফোনের স্ক্রিনে এমন বাস্তব জগত অগমেন্টেড রিয়ালিটি ব্যবহার করে তৈরি করেন নির্মাতারা।
প্রায় এক দশক আগে চালু হওয়ার পরও ‘পোকেমন গো’ এখন পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়ের মোবাইল গেইমগুলোর একটি, যেখানে প্রতি মাসে এর তিন কোটি গেইমার রয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
এ চুক্তিটি সৌদি আরবের গেইমিং শিল্পের বিকাশে তাদের সর্বশেষ পদক্ষেপ, যেখানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শত শত কোটি ডলার ব্যয় করছে দেশটি।
সৌদি আরবের গেইম কেনার তালিকায় নিয়ান্টিক-এর অন্যান্য গেইমও রয়েছে। যেমন ‘মনস্টার হান্টার নাও’ ও ‘পিকমিন ব্লুম’ও।
এসব গেইম ‘স্কোপলি ইনকর্পোরেটেড’-এর অংশ হয়ে উঠবে, যা ২০২৩ সালে চারশ ৯০ কোটি ডলারে কিনেছিল পিআইএফ-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘স্যাভি গেইমস গ্রুপ’।
মোবাইল গেইমিংয়ের দুনিয়ার অন্যতম বড় নাম স্কোপলি, যার সবচেয়ে সফল গেইম ‘মনোপলি গো’। এ গেইমটি ৫ কোটিরও বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে এবং তিনশ কোটি ডলারেরও বেশি আয় করেছে।
পোকেমন নিজেই নিনটেন্ডো, গেইম ফ্রিক ও ক্রিয়েচার্স-এর মতো গেইমিং কোম্পানির যৌথ মালিকানায় রয়েছে, যারা গেইমটি তৈরির জন্য নিয়ান্টিককে ব্র্যান্ডটির লাইসেন্স দিয়েছে।
এক ব্লগ পোস্টে নিয়ান্টিক-এর ‘পোকিমন গো’ দলের প্রধান এড উ বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন এই পদক্ষেপটি হবে গেইমের ভবিষ্যতের জন্য ‘একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ’।
“পোকেমন গো আমার কাছে কেবল একটি গেইম নয়, এটি আমার জীবনের কাজ। আমি বলছি না যে, পোকিমন গো একই রকম থাকবে। কারণ গেইমটি সবসময়ই উন্নয়নের মধ্যে ছিল।
“তবে আমরা কীভাবে এটি তৈরি ও বিকাশ করবো সে বিষয়টি অপরিবর্তিত থাকবে এবং আমি আশা করি, গেইমিং অভিজ্ঞতাটিকে আরও উন্নত করতে পারব আমরা।”
বিবিসি লিখেছে, গেইমিং শিল্পে দিন দিন শক্তিশালী খেলোয়াড় হয়ে উঠছে সৌদি আরব। নিনটেন্ডো, ইলেকট্রনিক আর্টস ও টেক টু ইন্টারেক্টিভ-এর মতো গেইমিং শিল্পের কয়েকটি বড় প্রকাশকদের মধ্যে অংশীদারিত্ব রয়েছে পিআইএফ-এর।
ইস্পোর্টস শিল্পেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সৌদি আরব। গত বছর ইস্পোর্টস বিশ্বকাপ’সহ বড় টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে দেশটি, যার পুরষ্কার ছিল ছয় কোটি ডলারেরও বেশি।
২০২৭ সালের পরিকল্পিত অলিম্পিক ইস্পোর্টস গেইমেরও আয়োজন করবে রিয়াদ।