‘ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশন’-এর তথ্য অনুসারে, শিশু নিপীড়নের উপাদান তৈরিতে ক্রমাগত এআইয়ের ব্যবহার চালাচ্ছে অনলাইন নিপীড়করা।
Published : 02 Feb 2025, 03:13 PM
শিশুদের যৌন নিপীড়নের ছবি তৈরি করে এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টুলের ব্যবহার ঠেকাতে আইন প্রণয়নকারী প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে ব্রিটেন।
শনিবার দেশটি বলেছে, যেসব এআই শিশুদের যৌন নিপীড়নের ছবি তৈরি করে, সেগুলোর ব্যবহার অবৈধ ঘোষণা করবে তারা। এর মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন্দ্রীক যৌন নিপীড়ন বিষয়ক নতুন আইন চালু করবে দেশটি।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস-এ শিশুদের খোলামেলা ছবি রাখা, তোলা, তৈরি করা, দেখানো বা পাঠানো অপরাধ। এ নতুন আইনের আওতায় শিশুদের বাস্তব জীবনে পোশাক পরা ছবি ‘নগ্ন’ দেখাতে এআই টুলের ব্যবহারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
‘ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশন’-এর তথ্য অনুসারে, শিশু নিপীড়নের উপাদান তৈরিতে ক্রমাগত এআইয়ের ব্যবহার চালাচ্ছে অনলাইন নিপীড়করা। ২০২৪ সালে শিশুদের এ ধরনের ছবির সংখ্যা প্রায় পাঁচগুণ হয়েছে। আর এমন সময় এ পদক্ষেপ নিল ব্রিটেন।
“অনলাইন নিপীড়কদের কার্যকলাপের কারণে প্রায়ই শিশুরা সরাসরি শারীরিক ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়, যা আমাদের জানা,” বলেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার।
“অনলাইনে ও অফলাইনে শিশুদের প্রতি যৌন নিপীড়ন ঠেকানো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যাতে নতুন ও উদীয়মান অপরাধ থেকে জনগণকে আরও ভালোভাবে রক্ষা করতে পারি আমরা।”
ব্রিটিশ সরকার বলেছে, অনলাইনে নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে এআই টুল ব্যবহার করে নিপীড়করা। পাশাপাশি ভুয়া ছবি দিয়ে লাইভ ছবি স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমেও শিশুদের ব্ল্যাকমেইল করে তাদেরকে আরও নির্যাতনে বাধ্য করে তারা।
নতুন এই ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে রয়েছে শিশু যৌন নিপীড়নের উপাদান তৈরির জন্য ডিজাইন করা বিভিন্ন এআই টুল রাখা, ছবি তৈরি বা পাঠানো ও তথাকথিত এআই ‘শিশুনিপীড়কদের জন্য নির্দেশাবলী’ রাখার বিষয়টি, যা মূলত প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়।
এ আইনের আওতায় আরেকটি নির্দিষ্ট অপরাধকে টার্গেট করার কথা বলেছে দেশটি। শিশু যৌন নির্যাতনের কনটেন্ট পাঠানো বা বণ্টন করা হয় এমন ওয়েবসাইট যারা চালায় তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনার কথা রয়েছে এতে। এ ধরনের ওয়েবসাইট যাচাইয়ের জন্য কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত টুলও সরবরাহ করবে সরকার।
পার্লামেন্টে ‘অপরাধ ও পুলিশিং’ বিলে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এর আগে এ মাসের শুরুতে দেশটি বলেছিল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ‘ডিপফেইক’ ভিডিও, ছবি বা অডিও ক্লিপ তৈরি করা এবং শেয়ার করাকেও ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে তারা।