সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর রূপান্তর ঘরেটছে মার্কেটপ্লেস হিসাবে। ফলে পণ্য, সেবা এবং এসবের মানের কারণে ক্রেতাদের ক্ষতি হলে তাতে দায় রয়েছে কোম্পানিগুলোর।
Published : 15 Nov 2023, 06:08 PM
প্রযুক্তি জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর এক আবদার নাকচ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক ফেডারেল বিচারক। সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো অল্পবয়স্কদের আসক্ত করে তুলছে ও তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে বিপর্যয় ডেকে আনছে- এই মর্মে হওয়া মামলা নাকচ করে দেওয়া হোক - এই ছিল কোম্পানিগুলোর চাওয়া।
সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারে অহরহ উদ্বেগ, বিষন্নতা এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতাসহ নানারকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যার ভোগাকে কারণ দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শতশত মামলা এই রায়ের আওতায় পড়বে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অকল্যান্ড ডিস্ট্রিক জাজ ইয়োভান গনজালেস রজার্সের আদালতে আবেদনকারী হিসাবে ছিল গুগল ও ইউটিউবের মালিক কোম্পানি অ্যালফাবেট, ফেইসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিক মেটা, টিকটকের মালিক বাইটড্যান্স, এবং স্ন্যাপচ্যাটের মালিক স্ন্যাপ।
বিচারক রজার্স ওই আবেদন নাকচ করে দেন মঙ্গলবার।
মামলাগুলোয় বাদীরা প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে উল্লিখিত অনৈতিক চর্চা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
রায়ের পর বাদী পক্ষের প্রধান তিন আইনজীবি লেক্সি হাজাম, প্রিভিন ওয়ারেন এবং ক্রিস সিগার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন- “যেসকল পরিবার সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, আজকের এই রায় তাদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বিজয়।”
একশো ৪০টিরও বেশি স্কুল ডিস্ট্রিক্ট একইরকম মামলা করেছে সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে। ৪২টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য দায়ের করা এইসব মামলার কোনো কোনোটি রিচারক রজার্সের আদালতেও উঠবে। সেইসঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতেও একই অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে মেটার বিরুদ্ধে।
অ্যালফাবেটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, অভিযোগগুলো “একেবারেই সত্য নয়”।
“শিশু সুরক্ষা সবসময়ই আমাদের কাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”
টিকটকের একমুখপাত্র তাদের “জোরালো নিরাপত্তা নীতিমালা” এবং “প্যারেন্টাল কন্ট্রোল” থাকার করা বলেছেন।
এ বিষয়ে প্রশ্নে জবাবে মেটা সাড়া দেয়নি এবং স্ন্যাপও কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানায়, বলেছে রয়টার্স।
মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী অনুসারে কোম্পানিগুলো এমন মামলার আওতামুক্ত এবং তারা কমিউনিকেশন্স ডিসেন্সি আইন নামে ফেডারেল আইনের সুরক্ষা পাবেন - এমন দাবিকে ৫২ পাতার রায়ে নাকচ করে দেন রজার্স।
কোম্পানিগুলোর যুক্তি ছিল, ফেডারেল আইনের অনুচ্ছেদ ২৩০ ব্যবহারকারীদের পোস্ট করা কনটেন্টে থেকে প্ল্যাটফর্মকে দায়মুক্তি দেয়।
অন্যদিকে রজার্স তার রায়ে বলেন, প্ল্যাটফর্মগুলোর মার্কেটপ্লেস হিসাবে রূপান্তর ঘরেটছে। ফলে পণ্য বা সেবার কারণে কোম্পানিগুলোর দায় রয়েছে।