এ পরিবর্তন আসতে পারে এ বছর বা আগামী বছরের মধ্যে। জাকারবার্গ বলেন, “এ বছর কিছু অ্যাকাউন্টকে ওজি ফেইসবুকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে রোমাঞ্চিত আমি”।
Published : 01 Feb 2025, 05:34 PM
মূল ফেইসবুকে ফিরে যেতে চান প্লাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। অর্থাৎ ‘আগের দিনে যেভাবে ব্যবহৃত হত’ তেমন অবস্থায় এটিকে ফিরিয়ে আনতে চান তিনি।
একসময়ের বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক এখন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও সাংস্কৃতিক প্রাসঙ্গিকতা কমে যাওয়ার কারণে রীতিমতো ধুকছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
বর্তমানে ‘ব্লু অ্যাপ’ নামে পরিচিত অ্যাপটির জায়গা নিয়েছে ফেইসবুকের মূল কোম্পানি মেটার অন্যান্য পণ্য বিশেষ করে ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ।
জাকারবার্গ বলেছেন, প্লাটফর্মটিকে ‘বর্তমানের চেয়ে সাংস্কৃতিকভাবে আরও প্রভাবশালী’ করতে চান তিনি। পাশাপাশি ফেইসবুকের এই পরিবর্তন “আমাদের পণ্যের উন্নয়নকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকে নিয়ে যেতে পারে, যেখানে হয়তো গত কয়েক বছর ধরে আমরা তেমন মনোযোগ দিতে পারিনি’।
মেটার ত্রৈমাসিক ফলাফল ঘোষণার সময় এসব বলেন তিনি। এ সময় নতুন এআই টুল বিকাশে শত শত কোটি ডলার বরাদ্দেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাকারবার্গ।
ফেইসবুকের এ পরিবর্তনের মানে কী অর্থ হতে পারে সে সম্পর্কে খুব কম তথ্যই দিয়েছেন তিনি। জাকারবার্গ বলেছেন, আপাতত এ বিষয়ে “এর চেয়ে বেশি কোনও তথ্য নেই তার কাছে। আর এটি বিনিয়োগের একটি ক্ষেত্র ও আমি এমন কিছু করতে চাচ্ছি, যার জন্য আমার কিছু সময় লাগবে।
“এর মানে হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে আমরা কিছু পণ্যের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার জন্য অর্থ খরচ করবো, যাতে ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক ফলাফলকে আমরা অন্যতম গুরুত্বের জায়গা করে তুলতে পারি। এর অংশ হিসেবে ফেইসবুক আগের দিনে যেভাবে ব্যবহৃত হত সেভাবে ফিরে আসতে পারে”।
এ পরিবর্তন এ বছর বা আগামী বছরের মধ্যে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। জাকারবার্গ বলেন, “এ বছর কিছু অ্যাকাউন্টকে ওজি ফেইসবুকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে রোমাঞ্চিত আমি”।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মেটা ঘোষণা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে মূলত মনোযোগ দিয়েছে ইনস্টাগ্রামের মতো কোম্পানিটির অন্যান্য অ্যাপের ওপর, যেখানে রিলসের মতো নতুন বিভিন্ন ফিচার চালু করেছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টটি। পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেটাভার্স নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথাও বলেছে তারা।
জাকারবার্গ বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদে এআই অবকাঠামোতে ‘শত শত কোটি ডলার’ বিনিয়োগ করবে মেটা এবং ২০২৫ সাল হবে মেটাভার্সের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর’।
এদিকে, কোম্পানিটির ত্রৈমাসিক ফলাফলে দেখা গেছে, চতুর্থ প্রান্তিকে লাভের মুখ দেখার পাশাপাশি ও রাজস্ব বেড়েছে মেটার। ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তিকে কোম্পানির আয় ২ হাজার ৮৩ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৯ শতাংশ বেশি।