এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ‘নিখোঁজ ক্রিপ্টোরানী’

এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার শীর্ষ দশে যোগ হয়েছেন এক কথিত ‘ক্রিপ্টোরানী’। ২০১৭ সালে নিখোঁজ হওয়ার পর ওই নারী নিজের চেহারাও পাল্টে ফেলেছেন বলে ধারণা করছে তদন্ত সংস্থাটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2022, 09:21 AM
Updated : 1 July 2022, 09:21 AM

রুয়া ইগনাতোভার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে চারশ কোটি ডলার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বর্তমান তালিকার শীর্ষ দশে একমাত্র নারী অপরাধী তিনি।

‘ওয়ানকয়েন’ নামে একটি ভুয়া ক্রিপ্টো মুদ্রা নিয়ে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় যোগ হয়েছে ইগনাতোভার নাম।

২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বুলগেরিয়ান এই নারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করার পর নিখোঁজ হন তিনি।

ওয়ানকয়েন জনসমক্ষে আসে ২০১৪ সালে। আরও বেশি মানুষের কাছে ক্রিপ্টো মুদ্রাটি বিক্রি করলেই সেখান থেকে কমিশন পেতেন এর প্রাথমিক ক্রেতারা।

কিন্তু এফবিআই বলছে, ওয়ানকয়েনের কখনোই কোনো আর্থিক মূল্য ছিল না এবং অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রার মতো কোনো ব্লকচেইনের অংশও ছিল না এটি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ, কার্যত ক্রিপ্টো মুদ্রার ছদ্মবেশে ‘পনজি স্কিম’ ছিল এটি।

প্রতারণায় ইগনাতোভার ভূমিকা নিয়ে ম্যানহাটনের শীর্ষ ফৌজদারি আইনজীবী ডামিয়ান উইলিয়ামস বলেছেন, “প্রতারণার জন্য একদম সঠিক সময়টি বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ক্রিপ্টো মুদ্রার শুরুর দিনগুলোর অস্থিরতাকে মূলধন হিসেবে ব্যবহার করেছেন তিনি।”

পালিয়ে থাকা আসামীকে ধরতে জনসাধারণ সহযোগিতা করতে পারবে বলে মনে করলেই এফবিআই তাদের নাম ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় যোগ করে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

কোনো তথ্য দিয়ে ইগনাতোভার গ্রেপ্তারে ভূমিকা রাখলে এফবিআই তার জন্য এক লাখ ডলারের পুরস্কারও ঘোষণা করেছে বৃহস্পতিবার। ২০১৯ সালেই ইগনাতোভার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতির আটটি অভিযোগ উঠেছে মার্কিন আদালতে।

এফবিআইয়ের পুরস্কার ঘোষণা ইগনাতোভার গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিবিসির জেমি বারলেট। ইগনাতোভার ওয়ানকয়েন প্রতারণা নিয়ে প্রতিবেদনে করে ক্রিপ্টো প্রতারণা ও জালিয়াতির বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নজরে এনেছিলেন ওই সংবাদকর্মীই।

“২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে রুয়া নিঁখোজ হওয়ার পর থেকে মামলায় সবচেয়ে বড় অগ্রগতি সম্ভবত এটাই,” যোগ করেন তিনি।

বারলেটের মতে, অন্তত ৫০ কোটি ডলার নিয়ে পালানোর কারণেই ইগনাতোভার খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, সহজেই নিজের পরিচয় লুকিয়ে আত্মগোপনে থাকতে পারছেন ওই নারী।

“আমরা মনে করি তার কাছে ভালো মানের ভুয়া পরিচয়পত্র আছে এবং সম্ভবত নিজের চেহারাও পাল্টে ফেলেছেন তিনি।”

বিবিসি জানিয়েছে, ইগনাতোভাবে শেষবার দেখা গিয়েছিল ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে, বুলগেরিয়া থেকে গ্রীসগামী ফ্লাইটে ওঠার সময়ে। তারপর থেকেই নিখোঁজ আছেন এই কথিত ‘ক্রিপ্টোরানী’।