জরিপে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইমোজির তালিকায় ‘লাফিং আউট লাউড’-এর পরেই আছে ‘থাম্বস আপ’ । তৃতীয় স্থানে আছে ‘রেড হার্ট’ ❤️। যথাক্রমে চার আর পাঁচ নম্বর জায়গা দখলে আছে ‘উইংক অ্যান্ড কিস’ আর ‘স্যাড ফেইস উইথ টিয়ার’ ইমোজি দু’টির।
১৭ জুলাই, শনিবার পালন করা হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে। এই উপলক্ষে ৭ হাজারের বেশি ব্যবহারকারীর উপর নতুন জরিপ চালিয়েছিলেন অ্যাডোবি (এডিবিই)-র গবেষকরা। আর তাতেই উঠে এসেছে ‘মডার্ন ডে হায়রোগ্লিফিক্স’ হিসেবে পরিচিত ইমোজিগুলো নিয়ে নানা মজার তথ্য। সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, জরিপে অংশগ্রহন করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবহারকারীরা।
২০১৪ সালে ১৭ জুলাই দিনটিকে ‘ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইমোজিপিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জেরেমি বার্জ। সেই থেকে প্রতিবছর অনানুষ্ঠানিক ‘হলিডে’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে এই দিনটি। ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে সামনে রেখেই ‘২০২১ গ্লোবাল ইমোজি ট্রেন্ড রিপোর্ট’ শিরোনামে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডোবি।
অ্যাডোবির জরিপে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইমোজিগুলোর পাশাপাশি উঠে এসেছে সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর ইমোজির তালিকাও। আর সেই তালিকার শীর্ষ তিনে আছে, ‘এগপ্ল্যান্ট’ , ‘পিচ’ , আর ‘ক্লাউন’ ইমোজিগুলো।
জরিপের ফলাফল বলছে, ৯০ শতাংশ ব্যবহারকারী মনে করেন ভার্চুয়াল জগতে মনের ভাব প্রকাশ সহজ করে দেয় ইমোজি। ৮৯ শতাংশ ব্যবহারকারীর মতে ভাষার ভিন্নতার ফলে সৃষ্ট যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতা দূর করতেও সাহায্য করে ইমোজিগুলো। আর ৬৭ শতাংশ ব্যবহারকারীর মতে অনলাইনে ইমোজি ব্যবহারকারীরা অন্যদের তুলনায় বেশি বন্ধুসুলভ।
শুধু তাই নয়, মুখোমুখি বা ফোনে কথা বলার থেকে ইমোজি দিয়েই নিজের আবেগ প্রকাশে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য পান বলে জানিয়েছেন জরিপে অংশগ্রহনকারীদের একটা বড় অংশ। ৫৫ শতাংশ বলছেন, ইমোজির ব্যবহার তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এই প্রসঙ্গে অ্যাডোবি টাইপফেইস ডিজাইনার ও ফন্ট ডেভেলপার পল ডি.হান্ট এক ব্লগ পোস্টে বলেন, “ইমোজিগুলো ‘বেশি মিষ্টি’ বলে সমালোচনা করেন অনেকেই, কিন্তু এই ‘বেশি মিষ্টি’ ধাঁচটাই অনলাইন যোগাযোগের কাটখোট্টা দিকটা সহজ করে দেয় সবার জন্য”।