সিগনাল গ্রাহকরা শুক্রবার বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে অ্যাপটি ব্যবহার করতে না পারার অভিযোগ তোলেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সিগন্যাল জানিয়েছে, তাদের কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছিল এবং তা দ্রুততম সময়ে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।
ফেইসবুকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মতো বাংলাদেশেও কথা বলা ও মেসেজ চালাচালির জন্য জনপ্রিয়।
কিন্তু সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নতুন নীতিমালা জারির ঘোষণা দেয়। এতে লোকেশন এবং নম্বরসহ ফোনের কিছু তথ্য নেওয়া এবং তা ফেইসবুক, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে শেয়ার করার কথা জানায়।
এর প্রতিক্রিয়ায় সারাবিশ্বেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা দলে দলে অ্যাপটি ছাড়তে শুরু করে।
বিবিসি জানায়, এক সপ্তাহে হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোডের সংখ্যা ১ কোটি ১৩ লাখ থেকে ৯২ লাখে নেমে আসে।
এর বিপরীতে সিগনাল, টেলিগ্রাম ও বিপের মতো ভিডিও কলিং ও মেসেজিং অ্যাপ ডাউনলোড হু হু করে বাড়তে থাকে।
বিবিসি জানায়, গত ৪ জানুয়ারি হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ঘোষণা আসার আগের সপ্তাহে যেখানে সিগন্যালের ডাউনলোড সংখ্যা ছিল আড়াই লাখের কম, পরের এক সপ্তাহে তা বেড়ে ৮৮ লাখে গিয়ে উঠেছে।
ভারতে ডাউনলোড সংখ্যা ১২ হাজার থেকে বেড়ে ২৭ লাখ হয়েছে। বাংলাদেশেও অনেকে সিগন্যালে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
টেলিগ্রামের গ্রাহকও বাড়ছে দ্রুত গতিতে। এক সপ্তাহে এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ থেকে কোটি এক কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশে তুরস্কের অ্যাপ বিপ ডাউনলোডের সংখ্যা এই সময়ে সবচেয়ে বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে গ্রাহক হারিয়ে কিছুটা পিছু হটেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
তারা আগে বলেছিল, নতুন শর্ত প্রতিপালন না করলে ৮ ফেব্রুয়ারি তারা ব্যবহারকারীর একাউন্ট বন্ধ করে দেবে।
এখন তারা এই সময়সীমা ১৫ মে নাগাদ পিছিয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করতে বলেছে, তারা কোনো গ্রাহকের ফোন কিংবা মেসেজ আড়ি পেতে দেখে না এবং সেটা ফেইসবুকও করবে না।