পুরো বিষয়টিই হতো নির্ধারিত পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে।
‘লাইক পেট্রোল’ অ্যাপটির মেক্সিকোভিত্তিক ডেভেলপার সের্গিও লুইস কুইনতেরো বলছেন, অ্যাপলের ‘নিষেধাজ্ঞা’কে চ্যালেঞ্জ জানাবেন তিনি। “প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ সরিয়ে দেওয়া প্রশ্নে আপিল করা হবে”। ডেভেলপারের এই জোর দাবির পেছনে যুক্তি হলো- অ্যাপটি শুধু ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীর ‘পাবলিক ডেটা’ ব্যবহার করে। --- খবর বিবিসি’র।
ফটো শেয়ারিং সাইট ইন্সটাগ্রাম ওই অ্যাপের উপর নাখোশ আরও আগে থেকে। মাসখানেক আগে ‘জোরপূর্বক’ অ্যাপটি বন্ধ করে দেওয়ারও চেষ্টা করেছে ইন্সটাগ্রাম। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। ইন্সটাগ্রামের অভিযোগ, ‘অনুমতি ছাড়াই ব্যবহারকারীদের ডেটায় হাত দিচ্ছে অ্যাপটি।’
‘লাইক পেট্রোল’ ডেভেলপার কুইনতেরো বলছেন ভিন্ন কথা। কুইনতেরোর ভাষ্যে, ব্যবহারকারীরা অ্যাপে যা দেখতে পান, তা আলাদাভাবে “সংরক্ষণ করা হয় না”। ওই ডেটাগুলো শুধু ব্যবহারকারীর ডিভাইসেই থাকে। ব্যবহারকারীরা যদি অ্যাপের সব ডেটা মুছে দেন, তাহলে ওই ‘ডেটা’ পুরেপুরি মুছে দেওয়া সম্ভব।
বিবিসি উল্লেখ করেছে, লাইক পেট্রোল নামের ওই অ্যাপটি শুধু আইওএস প্ল্যাটফর্মেই ছিলো। গুগল প্লে স্টোরে ওই নামে কোনো অ্যাপ নেই।
অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, নতুন কোনো ব্যবহারকারী আর অ্যাপটি ‘ডাউনলোড’ করতে পারবেন না। তবে, যাদের ডিভাইসে অ্যাপটি আগে থেকেই আছে, তাদের কোনো সমস্যা হবে না।
অ্যাপটি কিন্তু অ্যাপ স্টোরে বেশ ভালো রিভিউ পেয়েছিল। এরকমই অ্যাপ স্টোর রিভিউতে একজন লিখে রেখেছেন, “আমার কিশোর বয়সী সন্তানদের অ্যাকাউন্টে নজর রাখার জন্য বেশ কাজে দেয়।”
তবে অধিকাংশ প্রযুক্তি ব্লগই অ্যাপটির বিপক্ষে কথা বলেছে। এ প্রসঙ্গে রেড গোট সাইবার সুরক্ষা’র প্রতিষ্ঠাতা লিসা ফোর্টে বলেছেন, “আমাদের ডেটা ও গোপনতা অনেক মূল্যবান।” এ ধরনের অ্যাপগুলো বেশ বড় ধরনের অনুপ্রবেশকারী। “অ্যাপ ডাউনলোডে সতর্কতা” অবলম্বন করুন। সবসময় “ফোন আপডেট রাখুন”।
উল্লেখ্য, ব্যবহারকারীদের আরও গোপনতা দিতে অক্টোবরে নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ‘ফলোয়িং ট্যাব’ও সরিয়ে নিয়েছে ইন্সটাগ্রাম। ব্যবহারকারীদের অভিযোগ ছিল, ওই ট্যাবটির মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা তাদের “অনলাইন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারছেন”।