সূর্য গবেষণায় মহাকাশযান পাঠাচ্ছে নাসা

সূর্য গবেষণায় অগাস্ট মাসে মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে নাসা। এ যাবতকালে মানুষের তৈরি যেকোনো বস্তুর চেয়ে সূর্যের কাছ থেকে এই গবেষণা চালাবে গাড়ির আকারের এই মহাকাশযানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2018, 03:07 PM
Updated : 23 July 2018, 03:07 PM

নতুন এই গবেষণায় নক্ষত্রের বেশ কিছু অজানা তথ্য সামনে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গাড়ির আকারের এই মহাকাশযানটির নাম বলা হয়েছে ‘পার্কার সোলার প্রোব’-- খবর আইএএনএস-এর।

ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স ডেল্টা IV হেভি রকেটের মাধ্যমে মহাকাশযানটি পাঠাবে নাসা। উৎক্ষেপণের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা না হলেও ৬ অগাস্টের আগে এর সম্ভাবনা নেই বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া।

সূর্যের বায়ুমণ্ডল প্রতিনিয়ত বাইরের দিকে চুম্বকায়িত উপাদান পাঠায়, যা প্লুটোর কক্ষপথের অনেক বাইরে আমাদের সৌর ব্যবস্থাকে ঘিরে ফেলছে।

চুম্বকায়িত শক্তির কয়েল বিস্ফোরিত হয়ে আলো ও কণার বিকিরণ তৈরি করে যা মহাকাশে ঘুরতে থাকে এবং বায়ুমণ্ডলে সাময়িক বাধা সৃষ্টি করে, কোনো কোনো সময় পৃথিবীর আশপাশে রেডিও এবং যোগাযোগ সিগনাল বিকৃত করে।

এই বিস্ফোরণের উৎপত্তির রহস্য রয়েছে সূর্যের মধ্যে। পার্কার সোলার প্রোব দিয়ে এই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন নাসা গবেষক।

পার্কার সোলার প্রোব-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক জনস হপকিনস অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাব-এর অ্যান্ডি ড্রিজম্যান বলেন, “মহাকাশযানটির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি হলো থার্মাল প্রোটেকশন সিস্টেম (তাপ ঢাল)। এটি মহাকাশযানটিকে ঘরের তাপমাত্রায় কার্যক্রম চালাতে দেয়।”

তাপ ঢালটি বানানো হয়েছে কার্বন-কার্বন যৌগিক উপাদান দিয়ে। প্রায় সাড়ে চার ইঞ্চি পুরু এই কার্বন ফোমের প্রায় ৯৭ শতাংশ বায়ু।