মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করবেন গুহা গবেষক?

ইলন মাস্ক-এর বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করছেন থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া ফুটবল দলের উদ্ধারে অংশ নেওয়া ব্রিটিশ গবেষক ভারনন আনসওয়ার্থ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2018, 12:03 PM
Updated : 17 July 2018, 12:24 PM

টুইটে টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান মাস্ক আনসওয়ার্থ-কে ‘পেডো গাই’ আখ্যা দেওয়ার প্রেক্ষিতে এ কথা জানান ওই গবেষক। মাস্ক ওই টুইট পরে মুছে ফেললেও এ লড়াই “এখানেই শেষ নয়” বলে অস্ট্রলিয়ান টিভি চ্যানেল ৭-এর কাছে জানিয়েছেন আনসওয়ার্থ।

কয়েক বছর ধরে থাইল্যান্ডেই আছেন ব্রিটিশ ওই গবেষক। ফুটবল দলটি আটকে পড়া থাম লুয়াং গুহা নিয়ে করছেন গবেষণা। ১২ কিশোরের এই দল আর তাদের কোচকে গুহা থেকে নাটকীয়ভাবে উদ্ধারে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এই কিশোরদের উদ্ধারে মাস্ক একটি “ক্ষুদ্র আকৃতির সাবমেরিন’ বানিয়ে তা নিয়ে থাইল্যান্ড যান। কিন্তু নানা উদ্ভাবনী ধারণা দেওয়ার পরিচিতি থাকা মাস্ক-এর বানানো ওই ডিভাইস ছাড়াই উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষ।

এই ডিভাইস নির্মাণকে “জনসংযোগের কৌশল” হিসেবে আখ্যা দেন আনসওয়ার্থ। তার দাবি, এই সাবমেরিন গুহাটির ৫০ মিটার পর্যন্ত যেতেও ব্যর্থ হতো। তিনি বলেন, “এর কাজ করার একদমই কোনো সুযোগ ছিল না। গুহার পথটি কেমন ছিল তা নিয়ে তার কোনো ধারণাই নেই।” মাস্ক-কে গুহা থেকে “চলে যেতে বলা হয়” আর তার সহায়তা উদ্ধার অভিযানের শীর্ষ কর্মকর্তারা পছন্দ করেননি বলেও দাবি করেন আনসওয়ার্থ। সেইসঙ্গে মাস্ক-কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “যেখানে ব্যথা লাগবে সেখানে তার সাবমেরিন লাগিয়ে রাখতে পারেন।”

টুইট যুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে মাস্ক জানান, তিনি “থাইল্যান্ডে থাকা এই ব্রিটিশ প্রবাসীকে কখনও” দেখেননি। তিনি আরও বলেন, “থাই নেভি সিল আমাদের সঙ্গ দিয়ে নিয়ে গিয়েছে- তারা চেয়েছিল আমরা চলে যাই এমন ধারণার পুরো বিপরীত এটি।” নিজের বানানো ডিভাইসটি ওই কিশোরদেরকে গুহা থেকে বের করে আনতে সক্ষম হতো দাবি করে মহাকাশযান নির্মাণ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা মাস্ক বলেন, “চূড়ান্ত উদ্ধার অভিযানের ভিডিও দেখাতে আমি এই লোককে চ্যালেঞ্জ করছি।”

ছয় মিনিট পর নিজের পরবর্তী টুইটে মাস্ক বলেন, “ভিডিও দেখানো নিয়ে মাথা ঘামানো লাগবে না”। সেইসঙ্গে কিশোররা যেখানে আটকে পড়েছিল সেখানে ডিভাইসটি পাঠিয়ে দেখাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন, সেইসঙ্গে আনসওয়ার্থ-কে ‘পেডো’ হিসেবে আখ্যা দেন তিনি।

শিশু যৌন নিপীড়নকারীর ইংরেজি ‘পেডোফাইল’ বোঝাতে সংক্ষেপে ‘পেডো’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

যুক্তরাজ্যের সাউথ অ্যান্ড মিড ওয়েলস কেভ রেসকিউ টিম-এর সদস্য রিক স্ট্যানটন এবং জন ভলানদেন এই উদ্ধার কাজে অংশ নেন। তারাই সবার আগে আটকে পড়া দলটির কাছে গিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে এই টুইটগুলো মুছে দেন মাস্ক, তবে তার আগেই এগুলো তার ২.২ কোটিরও বেশি ফলোয়ারের কাছে পৌঁছে যায়।

এই ঘটনায় আইনি লড়াইয়ে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নে আনসওয়ার্থ-এর সোজা জবাব- “হ্যাঁ”। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে ফেরার পর মাস্ক-এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও উল্লেখ করা হয় বিবিসি’র প্রতিবেদনে।

আরও খবর-