উন্নত ফেসিয়াল রিকগনিশন ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৩১ বছর বয়সী ওই অপরাধীকে আটক করে পুলিশ। ‘আর্থিক অপরাধের’ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, বলা হয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর-এর প্রতিবেদনে।
আটককৃত ওই ব্যক্তি নাম বলা হয়েছে অ্যাও। পূর্ব চীনের ন্যানচ্যাং শহরে জ্যাকি চেউংয়ের কনসার্টের টিকেট প্রবেশদ্বারে তাকে শনাক্ত করে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি। পরে আসনে বসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা লি জিন বলেন, “আমরা যখন তাকে আটক করি তিনি পুরোপুরি হতচকিত ছিলেন। তিনি চিন্তা করেননি যে ৬০ হাজারের ভিড় থেকে পুলিশ তাকে এত তাড়াতাড়ি আটক করবে।”
১৭ কোটি সিসিটিভি ক্যামেরার বিশাল পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক রয়েছে চীনের। সামনের তিন বছরের মধ্যে আরও ৪০ কোটি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।
দেশটিতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেপ্তারের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। আগের বছর আন্তর্জাতিক বিয়ার উৎসব থেকে এই প্রযুক্তিতে ২৫ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে চীনা পুলিশ।
কনসার্টে যোগ দিতে ৯০ কিলোমিটার পাড়ি দেন অ্যাও। গ্রেপ্তারের ভিডিওতে তিনি বলেন, “যদি জানতাম, আমি সেখানে (কনসার্টে) যেতাম না।”
ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহারের দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি চীন। সম্প্রতি দেশটির ঝেংঝু-তে পুলিশের সানগ্লাসেও এই প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরু হয়েছে।