চীনের প্রশ্নবিদ্ধ ও ভেজাল আইনই প্রতিষ্ঠানের ব্যাবসার জন্য মূল প্রতিবন্ধকতা দাবী করেছে আলিবাবা, জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসি।
২০১৬ সালের অগাস্ট পর্যন্ত ৩৮ কোটি নকল পণ্য চিহ্নিত করেছে আলিবাবা। কিন্তু তার মধ্যে অল্প পরিমাণই আইনের মাধ্যমে সমাধান করা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গেল বছর প্রায় ৪,৫০০ এমন জালিয়াতি শনাক্ত করা হয় যার মধ্যে ১,১৮৪টিকে আইনের আওতায় আনা গিয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৩টির দণ্ডাদেশ জারি করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানানো হয়।
সংবাদমাধ্যমটিকে আলিবাবা জানায়, “ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইন প্রয়োগ করার কোন ক্ষমতা তাদের নেই।”
এ বছরের শুরুর দিকে আলিবাবা দুই জন ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করে। এর প্রথমটি নথিভুক্ত হয়। আর পরেরটি যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ দ্বারা কালো তালিকাভূক্ত করা হয়।
এই নকল পণ্যগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আলিবাবার জন্য ক্ষতিকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি দেশটিতে ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। আলিবাবা চেয়ারম্যান জ্যাক মা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানান তাদের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী সামনের ৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।