আবার আসবে গ্যালাক্সি নোট ৭?

২০১৬ সালে চিরতরে বিদায় জানানো গ্যালাক্সি নোট ৭ হ্যান্ডসেট আবারও নতুনভাবে আনার পরিকল্পনা করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2017, 01:19 PM
Updated : 22 Feb 2017, 01:21 PM

দক্ষিণ কোরীয় এই ইলেকট্রনিক জায়ান্ট ভারত ও ভিয়েতনামসহ উদীয়মান বাজারগুলোতে এই হ্যান্ডসেটের বিশেষায়িত এক সংস্করণ বিক্রি করবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। দক্ষিণ কোরীয় দৈনিক হ্যানকিউংয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ স্যামসাংকে সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে আর পরিবেশবিষয়ক জরিমানা এড়াতে সহায়তা করবে।

২০১৬ সালে জুনে আসা মূল গ্যালাক্সি নোট ৭ এ ব্যবহৃত অনেক উপাদানগুলোই নতুন আনা হ্যান্ডসেটগুলোতে ব্যবহার করা হবে। তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাটারি সক্ষমতা ৩৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার থেকে ৩২০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার বা ৩০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

২০১৬ সালে ২ অগাস্ট উন্মোচন আর ১৯ অগাস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া নোট ৭ ফ্ল্যাগশিপ হ্যান্ডসেট নিয়ে শুরু থেকেই নানা বিপত্তির মুখে পড়ে স্যামসাং। বাজারে আসার পর নতুন সব ফিচার দিয়ে আলোচক- সমালোচকদের আলোচনা গরম করার আগেই চলে আসে এই স্মার্টফোন ব্যাটারি থেকে আগুন লাগা আর বিস্ফোরণের অভিযোগ। অভিযোগের সংখ্যা যখন বাড়ছে তখন চীন ছাড়া সারা বিশ্বে বাজারে আসে ২৫ লাখ নোট ৭ ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানায় প্রতিষ্ঠানটি, এক পর্যায়ে বাদ যায় না চীনও। শেষ অবধি বাজার থেকে এই হ্যান্ডসেট চিরতরে তুলে নিতে বাধ্য হয় স্যামসাং।

চলতি বছর জানুয়ারিতে গ্যালাক্সি নোট ৭ স্মার্টফোন মাত্রাতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া ও এতে আগুন ধরে যাওয়ার পেছনে এর লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিকে দায়ী করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। সে সময় এক সংবাদ সম্মেলনে স্যামসাং কর্মকর্তারা জানান, হাজার হাজার ডিভাইস ও ব্যাটারি নিয়ে সামগ্রিক পরীক্ষা চালানোর পর ডিভাইসটির হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারে কোনো ত্রুটি থাকার ধারণা বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ও স্বাধীন তদন্তে ’নোট ৭ ঘটনার জন্য ব্যাটারিগুলো দায়ী ছিল’ বলে সিদ্ধান্ত পাওয়া গেছে বলেও জানান তারা। 

নোট ৭ -এ ব্যবহৃত আসল ব্যাচের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিগুলোর অভ্যন্তরীণ গঠনে সমস্যা খুঁজে পাওয়া গেছে। এই ত্রুটির কারণে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক ইলেক্ট্রোডগুলোর স্তর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ক্ষেত্রে ব্যাটারিগুলোর এক কোণা দেবে গিয়ে ঋণাত্মক ইলেক্ট্রোডস-এর স্তর বাকিয়ে ফেলে। পরে সরিয়ে আনা ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আনা ব্যাটারিগুলোতে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক ইলেক্ট্রোডস-কে আলাদা করতে ব্যবহৃত অত্যন্ত চিকন উপাদান ফেটে গিয়ে আগুন ধরায়।