গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নতুন চারটি ডেটা সেন্টার নির্মাণ করবে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি, জানিয়েছে রয়টার্স। আইবিএম-এর ইউরোপিয়ান অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সেবাস্তিয়ান ক্রাউস বলেন, “এই বিনিয়োগ যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির শক্তিমত্তা এবং ক্লাউড কম্পিউটিং বাজারের বিশাল সুযোগের বহিঃপ্রকাশ।”
চলতি বছরের জুনে ‘ব্রেক্সিট’ বা যুক্তরাজ্যের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগের আগে আইবিএম দেশটিতে তাদের ক্লাউড স্টোরেজ সেবার সক্ষমতার মূল্যায়ন করেছিল, কিন্তু তারা সেখানে দেশটির এমন সিদ্ধান্তের ফলে তাদের কর্মপন্থা পরিবর্তন করার কোন কারণ খুঁজে পান নি বলে জানিয়েছেন ক্রাউস।
“সকলেই এটা মানেন যে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির সুদৃঢ় অবস্থান অব্যাহত থাকবে এবং সেখানে উল্লেখযোগ্য সুযোগ থাকবে, হয় ব্রেক্সিটসহ অথবা ছাড়া।”
ভবিষ্যতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক আদৌ ভাল থাকবে কিনা সেই শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে টেক জায়ান্টরা বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে ব্রিটেনের প্রযুক্তির প্রতি প্রবল আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে তাদের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চাইছে। যার ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগের ঘোষণা এল।
আইবিএম-এর এমন ঘোষণার ফলে দেশটিতে তাদের মোট ডেটা সেন্টারের সংখ্যা দুই থেকে বেড়ে ছয়ে দাঁড়াবে। যদিও তারা ঠিক কি পরিমাণ অর্থ এতে বিনিয়োগ করছে তা প্রকাশ করা হয় নি।
ব্রেক্সিট-এর ফলে সম্প্রতি পরিবর্তিত ইইউ-এর ডেটা সুরক্ষা আইনের সঙ্গে ব্রিটেন একাত্মতা প্রকাশ করবে কিনা সেই বিষয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ক্রাউস-এর মতে আইবিএম বেক্সিট পরবর্তী যে কোনো দৃশ্যের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। যদি কোনো কারণে ভবিষ্যতে ব্রিটেন ইউরোপিয়ান মান মেনে না চলার সিদ্ধান্ত নেয় সেক্ষেত্রে সেখানে অবস্থিত এর বাকি ১০টি ডেটা সেন্টারকে কাজে লাগাবে প্রতিষ্ঠানটি।