বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের গ্যালাক্সি নোট ৭ ফোন ফেরতের এই ঘটনায়, স্যামসাং গ্রাহকরা বিকল্প প্রতিষ্ঠানের দিকে চলে যাবেন বলেই ধারণা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা। এ ক্ষেত্রে বিকল্প তালিকায় এগিয়ে রাখা হচ্ছিল স্যামসাংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপলের আইফোনকে।
নোট ৭ ফেরত নেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জানান, এমন গ্রাহকদের মধ্যে ২৭ শতাংশই একটি স্মার্টফোন কিনতে গেলে স্যামসাংকে এগিয়ে রাখবেন, জরিপের ফলাফল এমনটাই বলে। আর যারা ফেরত নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে অবগত নন, ২৫ শতাংশ গ্রাহক স্যামসাং ডিভাইসকে আগে বেছে নেবেন।
জরিপে আরও জানা যায়, স্যামসাং গ্রাহকরা তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি অসম্ভব আস্থাশীল। বর্তমানে স্যামসাং স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন এমন গ্রাহকদের মধ্যে ৯১ শতাংশই পরবর্তী স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে স্যামসাং-ই বেছে নেবেন, আর যদি শুধু স্মার্টফোন না বলে স্যামসাং পণ্যের কথা বলা হয় তাহলে শতকরা হারটা আরও এক বেড়ে যায়।
ব্র্যান্ডের প্রতি আনুগত্য যে শুধু স্যামসাং গ্রাহকদেরই আছে তা নয়। বর্তমান আইফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৯২ শতাংশ আরেকটি আইফোনই পরবর্তী স্মার্টফোন কেনার সময় বেছে নেবেন। অ্যাপল পণ্যের ক্ষেত্রে এটি ৮৯ শতাংশ।
স্যামসাংয়ের ফোন ফেরত নেওয়ার বিষয়টি গ্রাহকদের মনে কতটা প্রভাব ফেলেছে এ বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। স্যামসাং ফোন কিনতে এখন লোকেরা কতটা আগ্রহী তা নিয়েই এই জরিপ করা হয়েছে, তারা সরাসরি কতটা প্রভাবিত হয়েছেন তা নিয়ে নয়।
এর আগে স্যামসাং জানায়, নোট ৭ ফেরত দিয়ে অধিকাংশ গ্রাহক বদলে অন্য আরেকটি মডেলের স্যামসাং স্মার্টফোন নিতে চেয়েছেন। এ নিয়ে বিস্তারিত আর কিছু না জানালেও, দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ নোট ৭ ডিভাইস ফেরত দিয়ে অর্থ বা অন্য কোনো ফোন বদলে নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই এই জরিপ চালানো হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৩৭৫ জন স্যামসাং ফোন আর ৩১৫৮ জন আইফোনের মালিক।