আদতে এই চুক্তি প্রাইভেসি নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিল বলেই ভাষ্য ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ-এর।
অনেকটার চুপিসারেই এই প্রাইভেসি শিল্ড ধারণ করল মার্কিন সোশাল মিডিয়া জায়ান্টটি। এটি এমন এক চুক্তি যার মাধ্যমে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ইইউ নাগরিকদের ডেটা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্দিষ্ট কিছু বিজ্ঞাপনী তথ্যের জন্য প্রযোজ্য হবে।
সোশাল নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে প্রাইভেসি প্রচারণাকর্মীদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ইইউ-এর মধ্যকার 'সেইফ হার্বার' নামের চুক্তি বাতিল করে দিয়েছিল ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস (ইসিজে)। এ কারণে ফেইসবুকের সঙ্গে ইইউ'র নতুন এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে, এর মাধ্যমে ফেইসবুকের সমালোচকরা তাদের নজরদারি বাড়াবে বলেই ধারণা করে হচ্ছে।
ইইউ তাদের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য নিজ অঞ্চলের বাইরে যাওয়া ও সংরক্ষিত হওয়ার বিষয়টি কড়া নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেইফ হার্বার চুক্তি ছাড়া, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেটা পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক জটিল যাচাই বাছাই দিয়ে যেতে হয়।
প্রাইভেসি শিল্ড হচ্ছে ইউরোপীয়দের আরও বাড়তি নিরাপত্তা দিতে বানানো একটি চুক্তি। চলতি বছর জুলাই থেকে এই চুক্তি চালু হয়। ইতোমধ্যেই মার্কিন দুই প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল আর মাইক্রোসফট এই চুক্তি সম্পন্ন করেছে।
ফেইসবুক-এর এক মুখপাত্র এ খবর নিশ্চিত করে বলেন, "ইইউ-ইউএস প্রাইভেসি শিল্ড ফ্রেইমওয়ার্ক-এ আমাদের ব্যবসায়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে চুক্তি সই করা হয়েছে- ফেইসবুক অ্যাট ওয়ার্ক এবং অ্যাডস অ্যান্ড মেজারমেন্ট সেবা।"