মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)-এর মাল্টি পারপাস কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট-এ সদ্য প্রতিষ্ঠিত পোস্টগ্রাজুয়েট রিসার্চ ল্যাবের উদ্বোধন এবং উক্ত ডিপার্টমেন্ট থেকে পরিচালিত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলাপমেন্ট শর্ট কোর্স-২০১৬ এর সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Published : 31 Aug 2016, 07:54 PM
উদ্বোধনকৃত পোস্ট গ্রাজুয়েট রিসার্চ ল্যাব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অত্যাধুনিক গবেষণার উপকরণ সমৃদ্ধ একটি সুসজ্জিত গবেষণাগার। এই গবেষণাগারে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের গবেষক আর শিক্ষকবৃন্দ সমসাময়িক উন্নত মানের গবেষণার সুযোগ পাবেন, এমনটাই জানানো হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এমআইএসটি-এর ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সালজার হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে জানান, দেশ এখন শ্রমনির্ভরতা থেকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অগ্রগতির নতুন পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, "২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে তারা দেশকে তথ্য প্রযুক্তি খাতে উন্নত দেশ হিসেবে তুলে ধরতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই লক্ষ্যে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণ প্রজন্মকে আরও উৎসাহী করতে বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে 'লিবারেশন আইসিটি ফর ডেভেলাপমেন্ট গ্রোথ' নামের প্রকল্প চালু করা হয়েছে।"
শর্ট কোর্সে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সনদ বিতরণের পর তাদের উৎসাহ দিয়ে পলক বলেন, সম্ভাবনার ভিত্তিতে সরকার 'আইসিটি ইনোভেশন ফান্ড' থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়াসহ সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তার এমন ঘোষণার পর উপস্থিত শিক্ষার্থীদের হাততালিতে ভরে উঠে পুরো হল।
"আমরা এরই মধ্যে 'থাওজ্যান্ড প্রজেক্ট বাই ২০২১' প্রকল্প হাতে নিয়েছি", যোগ করেন তিনি।
বক্তব্যের মাঝে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন প্রধান অতিথি। দেশে প্রযুক্তির অগ্রগতি বোঝাতে তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কে কে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন আর কয়জনের ফেইসবুক আইডি আছে জিজ্ঞাসা করেন। অনেকে দুই হাত তোলার পর, "আমি জানি অনেকের দুইটি করেও আইডি আছে"- মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের ফেইসবুকের পাশাপাশি টেক্সটবুক-এও নজর দিতে আহ্বান জানান মন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ২০২১ সালের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি খাতে প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণীকে নিযুক্ত করা হবে। এইজন্য সরকারের পক্ষ থেকে বছরে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এরই অংশ হিসেবে, ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত ল্যাব তৈরি করা হবে। এমআইএসটি-তে 'গেইম টেস্টিং ল্যাব' তৈরির মাধ্যমে এর সূচনা হবে বলে তিনি জানান।
উদ্বোধন হওয়া এমআইএসটি'র এই হল নিয়ে তিনি বলেন, "নতুন তৈরি এই ল্যাবের মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে এমআইএসটি এর সম্পর্কের সূচনা হল মাত্র।"
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান কর্নেল এ বি এম হুমায়ুন কবির অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শাখা প্রধান, ফ্যাকাল্টি ডিনবৃন্দ, ডিপার্টমেন্টের প্রধানগণসহ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট-এর শিক্ষক আর শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।