বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পে সহায়তার লক্ষ্যে এমন সাইবার আক্রমণ চালিয়ে তিনশ কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা।
Published : 08 Feb 2024, 06:17 PM
বিশাল সংখ্যক সাইবার হামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করছে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ, ধারণা করা হচ্ছে এ হামলাগুলোর উৎপত্তিস্থল উত্তর কোরিয়া।
জাতিসংঘের এক অপ্রকাশিত প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পে সহায়তার লক্ষ্যে এমন সাইবার আক্রমণ চালিয়ে তিনশ কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা।
“জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের নিষেধাজ্ঞা ক্রমাগত উপেক্ষা করে যাচ্ছে ‘ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া (ডিপিআরকে)’,” উত্তর কোরিয়ার আনুষ্ঠানিক নাম ব্যবহার করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলকে জানিয়েছে নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষক এক স্বাধীন প্যানেল।
“তারা পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এমন নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় সক্ষম পদার্থও বানাচ্ছে। যদিও তাদের সর্বশেষ প্রকাশ্য পারমাণবিক পরীক্ষাটি হয়েছিল ২০১৭ সালে,” প্রতিবেদনে লেখেন পর্যবেক্ষকরা, যেটি দেখার সুযোগ হয়েছে রয়টার্সর।
এ ছাড়া, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পিয়ংইয়ং কক্ষপথে একটি স্যাটেলাইট স্থাপন করেছে ও ‘পারমাণবিক আক্রমণ চালানোর মতো’ একটি সাবমেরিনও নিজস্ব অস্ত্রভাণ্ডারে যোগ করেছে বলে দাবি পর্যবেক্ষকদের।
দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা কাউন্সিলের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
২০০৬ সালের পর থেকেই জাতিসংঘের একাধিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে দেশটি, যেখানে ‘ওয়েপন অফ ম্যাস ডিস্ট্রাকশন (ডব্লিউএমডি)’ বা পারমাণবিক অস্ত্র বিকাশে দেশটির প্রয়োজনীয় আর্থিক যোগান বন্ধের চেষ্টা করে আসছে কাউন্সিল।
“প্যানেলটি ডিপিআরকে’র ৫৮টি সন্দেহজনক সাইবার আক্রমণ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে, যেখানে ২০১৭ ও ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিভিন্ন ক্রিপ্টোমুদ্রা সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে প্রায় তিনশ কোটি ডলারের সম্পদ বেহাত হয়ে যায়। অনুমান বলছে, সে অর্থ ডিপিআরকে’র ডব্লিউএমডি বিকাশে সাহায্য করেছে,” লিখেছেন পর্যবেক্ষকরা।
পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য জানতে রয়টার্স নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের উত্তর কোরিয়া মিশন দপ্তরে যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিক সাড়া মেলেনি। আর এমন হ্যাকিং বা সাইবার আক্রমণের অভিযোগ আগে থেকেই নাকচ করে আসছে পিয়ংইয়ং।
কূটনীতিকরা বলছেন, এ মাসের শেষ নাগাদ বা মার্চের প্রথম দিকে প্রকাশ পেতে পারে জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি।