উঁচুতে কোনও সেলুলার সিগন্যাল না থাকলেও যাত্রীদের ফোন ক্রমাগত সংযোগের জন্য কাছাকাছি কোনও নেটওয়ার্কের খোঁজ করতে পারে। এমনটি পাইলটের সংযোগ লাইনে বাধার তৈরি করে।
Published : 30 Mar 2025, 02:04 PM
প্লেনে চড়ার সময় আমাদের হাতে থাকা ফোনটিকে অ্যারোপ্লেন মোডে রাখা উচিত তা আমরা সকলেই জানি। তবে, বেশিরভাগ ভ্রমণকারীরাই হয়তো জানেন না প্লেনে চড়াকালীন কেন তাদের ফেনটিকে অ্যারোপ্লেন মোডে রাখা দরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্মার্টফোনে অ্যারোপ্লেন মোড সক্রিয় করার প্রযুক্তিগত কারণ হচ্ছে মোবাইল ফোন থেকে আসা রেডিও সংকেত যাতে প্লেনের ন্যাভিগেশন সিস্টেমে, চলাচলের পথে এবং প্লেনের নামা ওঠার সময় বাধা তৈরি করতে না পারে।
প্লেনে ফোনকে অ্যারোপ্লেন মোডে রাখার আরও একটি কারণ আছে।
“প্লেনের ক্রুরা সত্যিই চান যে, যাত্রীরা যেন গুরুত্বপূর্ণ সময় বিশেষ করে প্লেনের উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় মনোযোগী হন। যাত্রীরা সবাই যদি তাদের মোবাইল ফোনে কথা বলেন ও তাদের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় তবে তখন তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার বিষয়টি কঠিন হয়ে উঠতে পারে,” বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সাগুন এভিয়েশন কনসাল্টিং’-এর পাইলট রস সাগুন।
প্লেনে অ্যারোপ্লেন মোড চালু না করলে কী হবে?
অনেক উঁচুতে কোনও সেলুলার সিগন্যাল না থাকলেও যাত্রীদের ফোন ক্রমাগত সংযোগের জন্য কাছাকাছি কোনও নেটওয়ার্কের খোঁজ করতে পারে। আর এমন ঘটনা পাইলটের সংযোগ লাইনে বাধা তৈরির কারণ হতে পারে।
অ্যারোপ্লেন মোড চালুর কথা ভুলে গেলেও যাত্রীদের স্মার্টফোনটির মারাত্মক কোনও ক্ষতি বা ক্র্যাশ হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই কম।
“তবে ৭০, ৮০, ১৫০ জন যাত্রী নিয়ে যখন একটি প্লেন আকাশে ওড়ে ওই সময় তিন বা চারজন যাত্রীর কল এলে তা প্লেনের আশপাশে রেডিও টাওয়ারের সঙ্গে সংযোগ তৈরির চেষ্টা শুরু করবে। ফলে আশপাশে রেডিও টাওয়ারও রেডিও তরঙ্গ পাঠাতে শুরু করবে। এসব রেডিও তরঙ্গ পাইলটদের ব্যবহৃত হেডসেটের রেডিও তরঙ্গে বাধা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে,” বলেছেন সাগুন।
তবে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক ও বিশেষভাবে তৈরি কিছু টুল আসার সঙ্গে সঙ্গে কিছু এয়ারলাইনস কোম্পানি এরইমধ্যে যাত্রীদের প্লেনের মধ্যে এমন যোগাযোগ ব্যবস্থা দিচ্ছে, যা পাইলটদের কাজে কোনও বাধা তৈরি করে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ ও যুক্তরাজ্যের ফ্লাইটেও একই ধরনের প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। বর্তমানে অনেক ফ্লাইটে ওয়াই ফাইও মেলে।