ফেইশল রিকগনিশন ব্যবহারে খসড়া নীতিমালা প্রকাশ চীনের

চীনে পাবলিক টয়লেটে টিস্যু রোল ব্যবহার করার জন্যও চেহারা ব্যবহার করে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয় - এমন খবর প্রকাশ হলে তা জনমনে শঙ্কা তৈরি করে।

| ছবি: রয়টার্স

ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তির নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে খসড়া নীতিমালা প্রকাশ করেছে চীনের সাইবার স্পেস নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

প্রযুক্তিটির অতিব্যবহার নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দেওয়ার বাস্তবতায় এই খসড়া এল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।

নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা থাকলে এবং কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই কেবল ফেইশল রিকগনিশন বা চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা যাবে, বলেছে চীনের সাইবার স্পেস প্রশাসন (সিএসি)।

কারো পরিচয় যাচাইয়ের আগে তার অনুমতি নিতে হবে বলে এক বিবৃতিতে বলেছে সিএসি। আর, যেখানে বায়োমেট্রিক ছাড়া অন্যান্য শনাক্তকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে, সেখানে সেগুলোই প্রাধান্য পাবে।

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চেহারা বিশেষত ফেইশল রিকগনিশনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে চীনে। পাবলিক টয়লেটে টিস্যু রোল চালু করার জন্যও চেহারা ব্যবহার করে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়, স্থানীয় গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করে ২০২০ সালে। যা জনমনে শঙ্কা তৈরি করে এবং নজর কাড়ে নিরাপত্তা সংস্থাটির।

তারপর থেকে ফেইশল রিকগনিশনের অতিব্যবহারের কারণে চীনের বিভিন্ন আদালত এবং স্থানীয় সরকার অনেক কোম্পানিকে জরিমানা করেছে বলে লিখেছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

সিএসি’র খসড়া আদেশটিতে বলা হয়েছে, হোটেল কক্ষ, গণ স্নানকক্ষ, পোশাক পরিবর্তন কক্ষ, শৌচাগারসহ অন্যান্য স্থানে যেখানে কারো প্রাইভেসি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, সেখানে ছবি তোলা বা কোনো ধরনের পরিচয় যাচাই যন্ত্র স্থাপন করা যাবে না।

নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আরও যোগ করে কেবল জন নিরাপত্তায় এবং উন্মুক্তস্থানেই এই যন্ত্রগুলো স্থাপন করতে হবে এবং সেগুলোর পাশে স্পষ্ট করে সতর্কতা চিহ্ন যুক্ত করতে হবে।

ডেটা নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ করে চীনের এক গুচ্ছ নীতিমালা ও আইন তৈরি করার মধ্যেই এই খসড়া আদেশটি এলো। উল্লেখ্য, গ্রাহকদের ডেটা প্রাইভেসি রক্ষায় ও কোনো কোম্পানি দ্বারা গ্রাহক ডেটার অতিব্যবহার রোধে ২০২১ সালে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন প্রবর্তন করে চীন।