এআই অ্যাপটি প্রশিক্ষিত হয়েছে ছয় হাজার বেড়ালের ছবি দেখে। নির্মাতাদের দাবি, এর নির্ভুলতা ৯৫ শতাংশেরও বেশি।
Published : 15 Jun 2024, 03:32 PM
বেড়ালের চেহারা দেখে সে কষ্টে আছে কি না, সে বিষয়টি শনাক্ত করে এমন এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক রোমাঞ্চকর অ্যাপ বানিয়েছেন জাপানের পশু চিকিৎসক ও অ্যাপ নির্মাতারা।
অ্যাপটির নাম ‘ক্যাটসমি!’, যা যৌথভাবে বানিয়েছে অ্যাপ নির্মাতা কোম্পানি ‘কেয়ারোলজি’ ও টোকিওভিত্তিক ‘নিহন ইউনিভার্সিটি’র গবেষকরা।
এআই অ্যাপটি প্রশিক্ষিত হয়েছে ছয় হাজার বেড়ালের ছবি দেখে। নির্মাতাদের দাবি, এর নির্ভুলতা ৯৫ শতাংশেরও বেশি।
অ্যাপটি নিয়ে কাজ করেছেন নিহন ইউনিভার্সিটি’র ‘অ্যানিমেল মেডিকেল সেন্টার’-এর প্রধান কাজুয়া এডামুরা। তার দাবি, তার মতো পশু চিকিৎসকরা প্রাণীদের কষ্টে থাকার বিষয়টি কিছুটা আঁচ করতে পারলেও, এদের মালিকদের পক্ষে তা শনাক্ত করা অনেক জটিল বিষয়।
“৭০ শতাংশের বেশি বয়স্ক বেড়ালেরই বাত বা ব্যাথা আছে। তবে, তাদের মাত্র দুই শতাংশই হাসপাতালে যায়,” বলেন অধ্যাপক এডামুরা।
“তাই চূড়ান্ত পরীক্ষা করার বদলে আমরা এই অ্যাপকে একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করি যাতে মালিকরা বুঝতে পারেন, তার পোষ্যের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক কি না।”
গত বছর জাপানে অ্যাপটির উন্মোচনের পর থেকে এখন পর্যন্ত এটি ব্যবহার করেছেন দুই লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।
টোকিও’তে নিজের ১৪ বছর বয়সী বেড়াল চি’র সঙ্গে বাস করেন মায়ুমি কিতাকাতা। বেড়ালটির চেহারা পড়ে দেখতে প্রতিদিনই এই অ্যাপ ব্যবহার করেন তিনি।
“সে এমন এক বয়সে আছে, যেখানে তার বিভিন্ন রোগ হওয়ার ঝুঁকি আছে,” বলেন কিতিকাতা।
“তাই ভেটের পরামর্শ নিলেও হাসপাতালে যতটা সম্ভব কম যাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করা ওর ও আমার দু’জনের জন্যেই খুব জরুরী।”
জাপানে পোষ্য প্রাণী রাখার বিষয়টি খুবই জনপ্রিয়। সম্প্রতি ‘জাপান পেট ফুড অ্যাসোসিয়েশন’ অনুমান প্রকাশ করেছে, বেড়াল বা কুকুর আছে এমন মানুষের সংখ্যা গত বছর দেশটিতে ছিল প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ, যা সেখানকার ১৫’র কম বয়সী শিশুদের সংখ্যার চেয়েও বেশি।