কোম্পানিটি ‘তিয়ানলং-৩’কে নকশা করছিল দুই স্তরের পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে, যা স্পেসএক্স’র ফ্যালকন ৯ রকেটের সমান ভরের পেলোড বহনে সক্ষম।
Published : 03 Jul 2024, 04:35 PM
সম্প্রতি ভুলে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছে চীনা এক স্টার্টআপ কোম্পানি, যার শেষ পরিণতি গিয়ে ঠেকেছে বিশাল এক বিস্ফোরণে।
রোববার এ বিস্ফোরণ ঘটার আগে মধ্য চীনে নিজেদের ‘তিয়ানলং ৩’ রকেটের স্থলভিত্তিক পরীক্ষা চালাচ্ছিল বেইজিংভিত্তিক কোম্পানি ‘স্পেস পাইওনিয়ার’, যখন লঞ্চপ্যাডের সঙ্গে রকেটটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও এর উৎক্ষেপণ ঘটে।
“উৎক্ষেপণের পর, রকেটের মধ্যে থাকা কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বন্ধ হয়ে যায় ও রকেটটি লঞ্চপ্যাডের দেড় কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমাংশে ভূপাতিত হয়,” এক বিবৃতিতে বলেছে কোম্পানিটি।
“রকেটের কাঠামো পাহাড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এমনকি পরীক্ষামূলক জায়গাটিও গংয়ের শহুরে এলাকা থেকে অনেক দূরে। আর রকেটটি পরীক্ষা করার আগে এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করতে ও আশপাশের লোকজনকে আগেই সরিয়ে নিতে আমরা স্থানীয় সরকারের সঙ্গেও কাজ করেছি। তদন্ত করার পর কোনো হতাহতের ঘটনাও দেখা যায়নি।”
Wow. This is apparently what was supposed to be a STATIC FIRE TEST today of a Tianlong-3 first stage by China's Space Pioneer. That's catastrophic, not static. Firm was targeting an orbital launch in the coming months. https://t.co/BY9MgJeE7A pic.twitter.com/L6ronwLW1N
— Andrew Jones (@AJ_FI) June 30, 2024
গত বছর প্রথম চীনা প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে রকেটে তরল জ্বালানি ব্যবহার করেছিল স্পেস পাইওনিয়ার, যেখানে তারা তিয়ানলং রকেটে কেরসিন ও তরল অক্সিজেন ব্যবহার করে কক্ষপথে ছোট একটি স্যাটেলাইট পাঠায়।
কোম্পানিটি ‘তিয়ানলং-৩’কে নকশা করছিল দুই স্তরের পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে, যা স্পেসএক্স’র ফ্যালকন ৯ রকেটের সমান ভরের পেলোড বহনে সক্ষম।
এ মুহুর্তে গোটা বিশ্বের মহাকাশ কক্ষপথে পাঠানো বিভিন্ন রকেট ব্যবস্থার মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় হচ্ছে ফ্যালকন ৯, যা ২০২৪ সালে এরইমধ্যে ৬০ বারের বেশি মহাকাশে গিয়েছে।
চীনা কোম্পানিটির লক্ষ্য ছিল, আসন্ন মাসগুলোয় চীনের দক্ষিণাংশে অবস্থিত হাইনান দ্বীপে তৈরি করা নিজেদের নতুন লঞ্চ ফ্যাসিলিটি থেকে প্রথম রকেট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা। তবে সাম্প্রতিক ঘটনার জন্য তাদের এ লক্ষ্যমাত্রা পেছাতে পারে।
এদিকে, সাম্প্রতিক এ দুর্ঘটনাটি রকেটের নির্মাণকাজে কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, সে সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি স্পেস পাইওনিয়ার। তবে তারা বলছে, তারা এর তদন্ত ‘যত দ্রুত সম্ভব’ শেষ করবে যাতে এর নির্মাণকাজ নিয়ে সামনের দিকে এগোনো যায়।