বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটিকে মূলধন তোলার এ অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।
Published : 01 Sep 2022, 12:15 AM
পুঁজিবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড।
বুধবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটিকে মূলধন তোলার এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি জানিয়েছে, প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে নেওয়া অর্থের বড় অংশ ব্যবহার করা হবে এশিয়াটিকের ব্যবসা সম্প্রসারণে।
পাশাপাশি উৎপাদন ভবন নির্মাণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে বাকি টাকা।
২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে পুনঃমুল্যায়নসহ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য ৫৬ টাকা ৬১ পয়সা।
আর পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া সম্পদ মূল্য ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। এ সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হচ্ছে ৩ টাকা ৬৫ পয়সা। পাঁচ বছরের ভারিত গড় ইপিএস ৩ টাকা ২১ পয়সা।
বিএসইসির শর্ত অনুযায়ী, তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।
কোম্পানিটির আইপিওর ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করবে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।
বিএসইসি জানিয়েছে, বুক বিল্ডিং পদ্ধতির অনুযায়ী এশিয়াটিককে প্রথম পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি করা হবে নিলামের মাধ্যমে।
প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিক্রি হওয়া দরের (কাট অব প্রাইস) চেয়ে ৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে অথবা ২০ টাকা; দুটির মধ্যে যেটি কম হবে সে মূল্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীর নিকট শেয়ার বিক্রি করতে হবে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভূক্তির শর্ত হিসেবে গত বছরের অক্টোবরে রোড শো করেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি ট্যাবলেট, সিরাপ, ইনজেকশন, ক্যাপসুলসহ ২৫৫ ধরনের ওষুধ পণ্য তৈরি করে।