‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্পের জন্য ২০২০ সালে প্রথমবার আট হাজার কোটি টাকার এ বিনিয়োগ বন্ড ছেড়ে অর্থ উত্তোলন করে সরকার।
Published : 30 Apr 2023, 10:11 PM
পানি সরবরাহের সরকারি একটি প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী শরিয়াহভিত্তিক সুকুক (ইজারা সুকুক) বন্ড পুঁজিবাজারে লেনদেন করা যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্পের জন্য ২০২০ সালে প্রথমবার আট হাজার কোটি টাকার এ বিনিয়োগ বন্ড ছেড়ে অর্থ উত্তোলন করেছিল সরকার।
রোববার এক সার্কুলারে এ প্রকল্পের কাজ এক তৃতীয়াংশ বাস্তবায়ন হওয়ায় তা পুঁজিবাজারে ‘সেকেন্ডারি মার্কেটে’ লেনদেনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি দেশের পুঁজিবাজারে শরিয়াভিত্তিক প্রথম বন্ড হিসেবে ‘বেক্সিমকো গ্রিন- সুকুক আল ইসতিসনা’ এর লেনদেন শুরু হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) তিন হাজার কোটি টাকার ওই বন্ডের লেনদেন শুরু হয়।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলেছে, ‘‘শরিয়াহভিত্তিক ৮ হাজার কোটি টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি সরকার বিনিয়োগ সুকুক (ইজারা সুকুক) ইস্যু করা হয়, যা কেবল অভিহিত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয়যোগ্য ছিল।
বেক্সিমকোর সুকুক বন্ডের লেনদেন শুরু
‘‘বর্তমানে প্রসপেক্টাসে বর্ণিত শর্তানুসারে এই প্রকল্পের এক-তৃতীয়াংশ বাস্তবায়ন হওয়ায় সুকুকটি সম্মতমূল্যে সেকেন্ডারি মার্কেটে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।’’
নতুন এ সিদ্ধান্তে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সুকুক বন্ড পুঁজিবাজারে লেনদেন করতে আর কোনো বাধা থাকলো না।
এখন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এবং দুই স্টক এক্সচেঞ্জ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে তা লেনদেনের পদক্ষেপ নেবে।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকার শরিয়াহভিত্তিক এ বন্ড ইস্যু করে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ বন্ডে বিনিয়োগকারীরা বার্ষিক ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
প্রকল্প শেষে বিনিয়োগকারীরা মূল টাকা ফেরত পাবে। ২০২০ সালে সুকুক ইস্যু ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংককে এ বন্ডের ‘স্পেশাল পারপাস ভেহিকল’ বা এসপিভি এবং ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব দেয় সরকার।
সুকুক বন্ড সংক্রান্ত সব ধরনের পদক্ষেপ ও বিরোধ নিষ্পত্তিরও দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বন্ড কিনতে পারে। ব্যক্তি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো এ বন্ড কিনতে হলে ব্যাংকের মাধ্যমে কিনতে হয়।