বিনিয়োগ ও মুনাফায় উল্লম্ফনের খবরে দাম বাড়ল এমআই সিমেন্টের

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এম আই সিমেন্ট ৩১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে পাবনায় নতুন আপলোড ও ডেলিভারি ইউনিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2021, 10:48 AM
Updated : 27 May 2021, 10:48 AM

সিমেন্ট খাতের কোম্পানিটির চলতি হিসাব বছরের জানুয়ারি-মার্চ তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফায় ব্যাপক উল্লম্ফন হয়েছে।

কোম্পানিটি প্রতি শেয়ারে ২ টাকা ৭০ পয়সা মুনাফা করেছে, যা আগের বছর এই সময় ছিল ২৯ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এই দুই খবরে এম আই সিমেন্টের শেয়ারের দাম বেড়েছে।

ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার মঙ্গলবার ৬৭ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল; বৃহস্পতিবার তা বেড়ে ৬৯ টাকা ৮০ পয়সায় সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের এক পর্যায়ে দাম ৭৩ টাকা ৪০ পয়সাও হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার এম আই সিমেন্ট জানিয়েছে, পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার কাজির হাটে একটি স্বয়ংক্রিয় আপলোড ও ডেলিভারি ইউনিট স্থাপন করতে পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই ইউনিটের জমি কেনা এবং অবকাঠামো তৈরিসহ সব মিলিয়ে ৩১ কোটি টাকার মত খরচ হতে পারে। এর কাজ শেষ হবে চলতি বছরের জুলাই মাসে।

কোম্পানি সাড়ে ২৮ কোটি টাকায় একটি জাহাজ বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।

তাদের মাদার ভ্যাসেল এমভি ক্রাউন ভিক্টোরি পুরনো হয়ে যাওয়ায় তারা এটি বিক্রি করে দিচ্ছে।

এদিকে অনিরীক্ষিত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ জানুয়ারি-মার্চ তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফার ওপর ভর করে কোম্পানিটির নয় মাসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭৩ পয়সা।

আগের বছর এই শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৬০ পয়সা।

গত বছর মোট ১৩ কোটি টাকা লোকসান করেছিল এম আই সিমেন্ট। লোকসানে থাকা কোম্পানিটি হঠাৎ করেই ভালো মুনাফা দেখিয়েছে।

তৃতীয় প্রন্তিকে মুনাফা বেড়েছে প্রতি শেয়ারে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।

২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।

২০১৭ অর্থবছরে এম আই সিমেন্ট মুনাফা করেছিল ৬৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি নগদ ২ টাকা।

২০১৮ অর্থবছরে ৩১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা মুনাফা করে বিনিয়োগকারীদের প্রতি শেয়ারে দেড় টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়।

২০১৯ অর্থবছরে কোম্পানিটি ২৫ কোটি ১১ লাখ টাকা মুনাফা দেখিয়েছিল; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ১ টাকা।

২০২০ অর্থবছরে ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা লোকসান করলেও প্রতি শেয়ারে ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

পুঁজিবাজারে এই কোম্পানির ১৪ কোটি ৮৫ লাখ শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৬৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে দশমিক  শূন্য ৭  শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার আছে।

এম আই সিমেন্টের বর্তমান বাজার মূলধন ১ হাজার ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ২৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।