বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ সোমবার এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে সকল ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের পাঠিয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ এবং ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দিতে পারবে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৪টি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার মধ্যে ২৩টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত।
করোনভাইরাস মহামারীর সঙ্কটের মধ্যে আর্থিক খাতের ঝুঁকি কমাতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণায় সীমা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে সর্বোচ্চ কত লভ্যাংশ দেওয়া যাবে সে বিষয়টি সেখানে স্পষ্ট না হওয়ায় সোমবার নতুন সার্কুলারে তা স্পষ্ট করা হল।
২৪ ফেব্রুয়ারির সার্কুলারে বলা ছিল, প্রভিশন সংরক্ষণ করতে গিয়ে যারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিশেষ অনুমতি (বাকিতে সংরক্ষণ) নিয়েছে, সেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাধারণভাবে বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে বিশেষ বিবেচনায় সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।
যেসব কোম্পানির শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি, সে সকল প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া কোনো লভ্যাংশ ঘোষনা করতে পারবে না।
যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিএআর (ক্যাপিটাল এডিকুয়েসি রেশিও) ১০ শতাংশের কম এবং শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে, সেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানও লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না।
এর বাইরে ব্যাংক বহির্ভূত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের হার ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।