বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এই তথ্য জানিয়েছে বিএটিবি।
তামাক খাতের এই বহুজাতিক কোম্পানি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তৈরি পণ্য বিদেশে রপ্তানির উদ্দেশ্যে কারখানার উত্পাদন ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাভারের কারখানায় এই বিনিয়োগের পুরোটাই নিজেদের তহবিল থেকে খরচ করবে বিএটিবি।
এদিকে নতুন বিনিয়োগের খবরে কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে ঢাকার পুঁজিবাজারে এই শেয়ার ১৬১৬ টাকায় লেনদেন হয়।
বুধবার এ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬০২ টাকা ৯০ পয়সায়।
১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০২০ অর্থবছরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো শেয়ার প্রতি মুনাফা করেছে ৬০ টাকা ৪৮ পয়সা। এসময় তাদের শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৮৮ টাকা ৮৯ পয়সা।
আগের বছর এই সময় তাদের শেয়ারে প্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ৫১ টাকা ৩৭ পয়সা। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৯৮ টাকা ৮৫ পয়সা।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর পিই হয়েছে ২৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট।
২০১৭ অর্থবছরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো মুনাফা করেছিল ৭৮২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৬০ টাকা।
২০১৮ অর্থবছরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো মুনাফা করেছিল ১ হাজার ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৫০ টাকা এবং প্রতি একটি মেয়ারে নতুন ২টি শেয়ার।
২০১৯ অর্থবছরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো মুনাফা করেছিল ৯২৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৪০ টাকা।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ১৮ কোটি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে। সরকারের হাতে আছে দশমিক ৬৪ শতাংশ। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, বিদেশিদের হাতে ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার আছে।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের বর্তমান বাজার মূলধন ২৮ হাজার ৮৫২ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৮০ কোটি টাকা; রিজার্ভ ৩ হাজার ৩৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।